১৫ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস
বগুড়ায় ইউপি বিএনপি নেতার তান্ডবে অসহায় সৎ ভাই ওমর ফারুক। বাংলায় প্রবাদ আছে "জোর যার মুল্লুক তার" হয়েছে তেমনি। ঘটনাটি ঘটেছে জেলার শেরপুর উপজেলার বিশালপুর ইউনিয়নের জামাইল নামক স্থানে। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় জামাইলের বাসিন্দা মৃত খয়বার আলী শেখ এর ১ম পক্ষের স্ত্রীর মেজ ছেলে খলিলুর রহমান (৫১) তার সৎ ভাই ওমর ফারুক (৩৫) এর বেশ কয়েকটি জায়গা পেশিবলে দখল রেখেছেন। ওমর ফারুকের বসতবাড়ীর (মুল ফটকে) দরজার সামনে যাতায়াত বন্ধ করতে দিয়েছেন বাঁশের বেড়া, ঘটনা স্থলে গিয়ে বিষয়টির পূর্ণ সত্যতা পাওয়া যায়। [video width="640" height="352" mp4="https://dainikbanglarodhikar.com/wp-content/uploads/2021/08/received_999835617475051.mp4"][/video] খলিলুর রহমান একই ভাবে ওমর ফারুকের বাড়ীর পিছন পার্শ্বে বাঁশের বেড়া দিয়ে প্রমান দিয়েছেন বিবেকহীনতার অবৈধ বাহুবলের। খলিলের সাথে যুক্ত হয়ে ওমর ফারুকের বাড়ীর সীমানায় হাউজ (চৌবাচ্চা) নির্মাণ করে ফায়দা লুটছেন তারই চাচাতো ভাই মৃত আঃ জব্বারের ছেলে আঃ গফফার (৬৫)। ভুক্তভোগী ওমর ফারুকের কাছ থেকে জানা যায়, জামাইল বাজারে রাস্তার পাশে তার নিজ নামের কিছু জায়গা দীর্ঘদিন যাবত ভোগ দখল করে আসছিল তার সৎ ভাই খলিল। বিগত কয়েক দিন পুর্বে দোকান ঘর করার জন্য ওমর ফারুক তার সৎ ভাই খলিলের কাছ থেকে নিজ জায়গা চেয়েই পড়ে যায় বিপাকে। সে কিছু জায়গা পেলেও মেলেনি সঠিক প্রাপ্য, ওমর ফারুক প্রাপ্ত জায়গায় ঘর নির্মাণ শুরু করেও সৎ ভাই ও দুই ভাতিজার লাঠি আর ক্ষমতার দাপটে শেষ করতে পারেনি ঘরের কাজ। দীর্ঘদিন যাবত খলিল জায়গাটি একাই ভোগ করে আসছিলো বলে জানা যায়। জায়গাটি বাধ্য হয়ে ছেড়ে দেয়ার পরেই শুরু হয় খলিলের অবৈধ ক্ষমতার কান্ড। একে একে বের হয়ে আসে বিবেক ও মনুষ্যত্বহীন খলিলের কান্ড। ওমর ফারুকের বাড়ীর রাস্তা, বাড়ীর পেছনে জায়গা দখল করে গাছ লাগানো, পারিবারিক কবরস্থানকে নিজ কাজে ব্যবহার করে স্বার্থ হাসিল করছেন এই বিবেকহীন খলিল। এছাড়াও পৈত্রিক সম্পত্তির সঠিক হিসেব সৎ ভাইদের দিতে চান না খলিল। ওমর ফারুক আরো বলেন, আমার অসম্পূর্ণ কাজ এখন পর্যন্ত সম্পন্ন করতে পারি নাই। কাজ করতে গেলেই খলিল ও তার দুই ছেলে লাঠি ও রড নিয়ে আমাকে ও মিস্ত্রিদের তাড়া করে, ফলে প্রান ভয়ে অসম্পূর্ণ কাজ সম্পুর্ণ করতে ব্যর্থ হই। তাদের প্রতিবেশী ও এলাকাবাসী জানান, খলিল দীর্ঘদিন যাবৎ তার অবৈধ পেশীবল দেখিয়ে এই সব অমানবিক ও বিবেকহীন কাজ করে যাচ্ছে। এলাকাবাসী আরো (দৈনিক বাংলার অধিকার) জানান, আমরা খলিলের এসব অবৈধ কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করতে গেলে আমাদের মামলা-হামলা সহ মারপিটের হুমকি ধামকি প্রদান করে খলিল। স্থানীয় ইউপি সদস্য বলেন, এই বিষয়গুলো নিয়ে এলাকায় একাধিকবার শালিস হলেও খলিলের একঘেয়েমি ও অবৈধ অদৃশ্য শক্তির জন্য সুস্থ সমাধান করা সম্ভব হয়নি। অভিযুক্ত খলিলের কাছে বিষয়গুলোর সত্যতা জানতে চাইলে তিনি এগুলোকে ভিত্তিহীন কথা বলে উড়িয়ে দেন, কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপট বলছে আরেকটি। খলিল আরো বলেন আমি অনৈতিক বা পেশীবলে কোন কাজ করিনি, যা করেছি সঠিক করেছি। এদিকে ভুক্তভোগী ওমর ফারুক অসহায় ও নিরুপায় হয়ে চেয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ ও সুস্থ স্থায়ী সমাধান। এ ব্যাপারে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ শহিদুল ইসলাম এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন এ ব্যপারে আমার জানা নেই থানায় কোনো অভিযোগ হয়নি, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।