উপজেলার বাঘড়া ইউনিয়নের বাঘড়া গ্রামের মৃত আহমদ আলী বেপারীর ছেলে সোহরাব বেপারীর নামে এ তথ্য গোপনেরর অভিযোগ উঠে। সোহবার বেপারীর নিজের ক্রয়কৃত ও পৈত্রিক সম্পত্তি থাকা সত্বেও তিনি তথ্য গোপন করে সরকারী খাস সম্পত্তি বন্দোবস্ত নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সরে জমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাঘড়া মৌজাস্থিত ১নং খতিয়াভুক্ত আরএস ৭০৪১ ও ৭০৪২নং দাগের ৬৪ শতাংশ সরকারী খাস সম্পত্তি দীর্ঘদিন যাবৎ ঐ এলাকার মোসলেম শিকদারের ছেলে আলতাফ সিকদার ঘরবাড়ি উত্তোলন করে এবং বিভিন্ন প্রকার গাছপালা সৃজন করে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছেন এবং ঐ সরকারী খাস সম্পত্তি ভুমিহীন হিসেবে বন্দোবস্ত পাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবরে আবেদনও করেন। কিন্তুুু সোহরাব বেপারী নিজের প্রকৃত তথ্য গোপন রেখে ভূমিহীন সেজে বন্দোবস্ত নেয়ায় আলতাফগংদের ভুমিহীন বন্দোবস্ত পাওয়া সময় সাপেক্ষের ব্যাপার।
স্থানীয় মোতালেব নামে একজন বলেন, এটি একটি সরকারী খাস সম্পত্তি। যাহা চতুর সোহরাব বেপারীর নিজের ব্যক্তি মালিকানা বেশকিছু সম্পত্তি থাকা সত্বেও তিনি এ সম্পত্তি কিভাবে ভুমিহীন হিসেবে বন্দোবস্ত পায়। সোহরাব বেপারী এর আগে অনেক সরকারি খাস সম্পত্তির ভূয়া কাগজ পত্র তৈরী করে অন্যত্র বিক্রি করে অনেক টাকার মালিক হয়েছেন। এ ব্যাপারে সোহরাব বেপারীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমিই এই জমির মালিক। বিগত ২০০০ সনে এই সম্পত্তি সরকারের কাছ থেকে বন্দোবস্ত নিয়েছি। আমার বন্দোবস্তকৃত সম্পত্তি প্রতিবেশী আলতাফ শিকদারগং দখল করার পায়তারা করে আসছে। তথ্য গোপন করে ভুমিহীন সেজে সরকারী সম্পত্তি বন্দোবস্ত নেয়ার ব্যাপারে বাঘড়া ইউনিয়ন সহকারী তহসিলদার আল-আমিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যখন এ সম্পত্তি বন্দোবস্ত নেয় তখন আমি এই কর্মস্থলে ছিলাম না। প্রকৃত ভুমিহীন লোকজন আসলে আমরা তাদেরকে এ সম্পত্তি ভুমিহীন বন্দোবস্ত দিব।