দিনাজপুর জেলার বিরামপুর উপজেলা কৃষিতে অগ্রগামী হলেও উপজেলা বিভিন্ন প্রান্তে মাঠ জুড়ে সবুজের সমারহ। মাঠে মাঠে কৃষক গ্রীষ্মকালীন ফসলাদী চাষাবাদে ব্যস্ত কৃষক কিছুদিন পূর্বে অতি বৃষ্টি এবং শ্রাবণ মাসের মাঝামাঝিতে ও বৃষ্টি না হওয়ায় মরিচের ক্ষেতগুলো মরে ও গাছ শুকিয়ে যাওয়ায় ফলন কম হয়েছে।
কাঁচা মরিচে আগুন লেগেছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়(৯আগষ্ট) সোমবার রিরামপুর নতুন বাজারে কাঁচা মরিচের আগুন লেগে বেড়ে প্রতি কেজি খুচরা কাঁচা মরিচের দাম দোকান ভেদে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা পযর্ন্ত বিক্রি হচ্ছে।
গত সপ্তাহে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া কাঁচা মরিচের দাম এক লাফে বেড়ে হয়েছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা। ব্যবসায়ীরা এক পোয়া (২৫০ গ্রাাম) কাঁচা মরিচ ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি করছেন। গত সপ্তাহে এক পোয়া কাঁচা মরিচ ছিল ১৫ থেকে ২০ টাকা।
এদিকে ভয়াবহ করোনা মহামারীতে চলছে টানা লকডাউন। বন্ধ রয়েছে গণপরিবহন- দোকান -পাট, বিপনী বিতান। কাঁচা বাজার গুলো চলছে দুপুর পর্যন্ত। খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষের এমনিতেই নেই আয়, উপার্জন। বেড়েছে ব্যায় তার মধ্যে আবার কাঁচা মরিচে আগুন দাম উঠেছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি।
কাঁচা মরিচ ব্যবসায়ী বিরামপুর পৌর শহরের মামুদপুর গ্রামের আব্দুল মজিদ জানান, মোকামে/পাইকারী বাজারে মরিচ আমদানি কম। বৃষ্টি কম হওয়ায় মরিচ উৎপাদন কমও কম হয়েছে। বাজারে চাহিদা বেশি থাকায় আমাদেরকে বেশি দামে মরিচ কিনতে হচ্ছে। পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের খুচরা মূল্য ১৪০ টাকা দরে কিনতে হচ্ছে। আমরা বিক্রি করছি ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি দরে।
বাজার করতে আসা ইউনুছ আলী কাঁচা মরিচ কিনেছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি হতাশা নিয়ে বলেন, বাজারে অনেক পণ্য দাম কম বেশি তো আছেই। তার মধ্যে আবার মরিচে আগুন ও লাগাম ছাড়া দাম। আমরা গরীব মানুষ লকডাউনের কারণে এমনিতেই আয় রোজগার নেই। এতো দাম দিয়ে কাঁচা মরিচ কিনবো কিভাবে।