নওগাঁর ধামইরহাটে অসহায় কৃষকের বাড়ীর খলিয়ান দখলে ব্যর্থ হয়ে ওই পরিবারকে ৭দিন ধরে অবরুদ্ধ করে রেখেছে এক প্রভাবশালী।
গ্রামের লোকজন, শিক্ষার্থী, মসজিদের মুসল্লীরাও এক প্রকার অবরুদ্ধ পরিবেশে অস্থিরতা প্রকাশ করেছেন।
সুবিচারের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে সুরাহা না হওয়ায় মানবেতর বন্দি জীবন যাপন করছে এই ভুক্তভোগী পরিবার।
বিষয়ে ধামইরহাট থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে। ধামইরহাট থানার লিখিত অভিযোগ সূত্র জানা যায়, উপজেলার খেলনা ইউনিয়নের রসপুর গ্রামে মৃত মফিজ উদ্দিনের ছেলে ইকবাল হোসেন তার নিজ বাড়ীতে দীর্ঘ ৩ যুগ ধরে বসবাস করছেন, ওই বাড়ীর খলিয়ান দিয়ে প্রতিবেশীরা সবসময়ই যাতায়াত করত।
সম্প্রতি প্রভাবশালী আহাদ আলীর ছেলে মোহাম্মদ আলী গং অসহায় ইকবাল হোসেনের খলিয়ান সে জায়গা দখল করে।
এবং জানা যায়, যানবাহন চালানোর রাস্তা তৈরীর জন্য ভাঙ্গা ইটের খোয়া নিয়ে দখলের চেষ্টা করে,
এতে ভুক্তভোগী ইকবাল হোসেন বাধা দেয়। এতে মোহাম্মদ আলী গং ক্ষিপ্ত হয়ে ইকবাল হোসেনের বাড়ীর চারিধারে বাঁশ-খুটির বেড়া দিয়ে ঘিরে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখে।
ভুক্তভোগীর ছেলে শাকিল হোসেন রাতের আধারে বাড়ীর পিছন দিয়ে ঘরে প্রবেশ করতে চাইলে দাঙ্গাবাদ রোমান, ওসমান ও নুর আলমসহ মোহাম্মদ আলীর লোকজন তাদের ধাওয়া করে।
তবে অভিযোগ কৌশলে এড়িয়ে গিয়ে মোহাম্মদ আলী বলেন,‘আমার জমি আমি ঘিরে রেখেছি, আর তারা তো বাড়ির বাইরেই ঘোরাফেরা করছে, অবরুদ্ধ তো নেই।
চারিধারে বেড়া দিয়ে ঘিরে রাখার প্রসঙ্গে মোহাম্মদ আলীর সাথে কথা বললে তিনি কোন সদুত্তর দেননি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আমিনুর রহমান দৈনিক বাংলার অধিকার কে জানান , যে রাস্তা নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে দন্দ প্রকৃত পক্ষে সেটি রাস্তা নয় একটি গলি মাত্র, রেকর্ডীয় ২টি রাস্তা আছে।, এটি উভয় পক্ষের মধ্যে সমঝোতা না হওয়ায় এই ঘটনা, তবে বাড়ীটি ঘিরে রাখা ঠিক হয়নি এটি একটি বাংলাদেশের আইনে অপরাধ।
স্থানীয় প্রতিবেশী মেহেদী হাসান বলেন, কোন পরিবারের চতুর্দিকে ঘিরে রাখলে সে তো হতাশায় মারা যাবে।
অপর প্রতিবেশী রহিম বক্স বাড়ী অবরুদ্ধ করার বিষয়ে প্রতিবাদ জানান।
ধামইরহাট থানার ডিউটি অফিসার জানান গত ৮ই আগস্ট রাতে অভিযোগ হাতে পেয়েছি। এ.এসআই শাজাহান বলেন, আমি আজকেই তদন্তে যাব এবং প্রকৃত ঘটনা উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।