পাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ সুজন কুমার সরকারের মোবাইল নম্বর ক্লোন করে প্রতারণার মাধ্যমে বিকাশে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।পাইকগাছা থানা পুলিশ লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ থানার সহযোগীতায় অভিযান চালিয়ে কাকিলা নামক স্থান থেকে আ জ ম সামছুদ্দিন মাসুদ( ৩৮) কে গ্রেপ্তার করা হয়। সে রংপুর জেলার মিঠাপুকুর থানার জীবনপুর গ্রামের মৃত তাজুল ইসলামের ছেলে। এ ঘটনায় পাইকগাছা থানায় প্রথমে জিডি ও পরে মামলা হয়েছে।
মামলার এজাহার ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গাইনি চিকিৎসক সুজন কুমার সরকার বলেন,একটি অজ্ঞাত নম্বর থেকে সিভিল সার্জন খুলনা ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার মাধ্যমে চাকুরি ক্ষতির ভয়ভীতি দেখিয়ে ৫০ হাজার টাকা দাবী করে। অজ্ঞাত ঐ ব্যক্তি নিজেকে স্বাস্থ্য বিভাগের এডিশনাল সেক্রেটারি নাজমুল হক পরিচয় দিয়ে গত ১৭ জুন ঐ টাকা দাবী করলে ডাক্তার ৩৩ হাজার টাকা একটি অজ্ঞাত নম্বরে বিকাশ করেন। বিকাশ হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত হতে রিং করলে নম্বরটি বন্ধ পান। এ সময় তার সন্দেহ হয় তিনি প্রতারিত হয়েছে এমন ধারনা করে ওসি পাইকগাছাকে জানালে থানায় একটি জিডি করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সুকান্ত বলেন তথ্য প্রযুক্তি মাধ্যমে প্রতারকে সন্ধান ও প্রমান পেয়ে এস আই তাকবীর হোসেন ও এএসআই নাজমুল হোসেনকে সাথে নিয়ে অভিযান চালিয়ে কালিগঞ্জ থানার সহায়তায় প্রতারককে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রতারকের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে পীরগঞ্জ থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান করে বিকাশ প্রতারনা চক্রের সাথে জড়িতদের সনাক্তপুর্বক গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হয় বলে পুলিশ জানায়। রোববার রাত ৮ টার দিকে ধৃত প্রতারককে পাইকগাছা থানায় আনা হয়। ওসি এজাজ শফী জানান,অভিযোগের বিষয়টি অধিক গুরুত্ব দিয়ে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে পুলিশ সুপার খুলনার নির্দেশে এ অভিযান পরিচালনা করে প্রতারককে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে।সোমবার সকালে আইনি প্রক্রিয়ায় তাকে পাইকগাছা উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়েছে। বিজ্ঞ আদালত আসামী মাসুদ কে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।