ফেনীর ছাগলনাইয়া মহামায়া ইউনিয়নে সাহেদা আক্তার নামে এক গৃহবধূকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে ৫ নং মহামায়া ইউনিয়নের পূর্বদেবপুর গ্রামে নাছির মেম্বারের বাড়িতে। শুক্রবার (৬ আগস্ট) এব্যাপারে মাটিয়াগোধার ডুবাই প্রবাসী মোঃ সেলিম’র স্ত্রী সাহেদা আক্তার বাদী হয়ে ছাগলনাইয়া থানায় হাজির হয়ে পূর্বদেবপুরের মৃত রুহুল আমিন সওদাগরের ছেলে জসিম উদ্দিন (৫৫), নাছির উদ্দিন মেম্বার (৩৮), জসিম উদ্দিন’র স্ত্রী শাহেনা আক্তার (৪৫) ও মোঃ হানিফ (৪৮) কে আসামী করে অভিযোগ দায়ের করেন।
এবং বাদী সাহেদা আক্তার লিখিত অভিযোগে দৈনিক বাংলার অধিকার কে জানান – আসামীদের সাথে পূর্বে পরিচিত থাকায় আসামী জসিম উদ্দিন ওরপে জসিম ডাকাত দুই দফায় আমার নিকট তিন লাখ আশি হাজার টাকা এবং আমার ব্যবহৃত ৭ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়।
এবং পরক্ষনেই আসামীদ্ধয়দের কাছ থেকে টাকা ও স্বর্ন দাবি করলে দিচ্ছে দিবে বলে তালবাহানা শুরু করে।
আমি এলাকার স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গকে সাথে নিয়ে চাপ প্রয়োগ করলে ৬ আগস্ট ২০২১ তারিখে দিবে বলে প্রতিশ্রুতি দেয়।
প্রতিশ্রুতি দেওয়া মোতাবেক আসামীদের বাড়িতে হাজির হলে উপরোক্ত আসামীগন একযোগে আমাকে চুলের মুঠি ধরে, টানাহেঁচড়া করে এবং হাতে থাকা লাঠিসোঁটা ও দামা দিয়ে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্য আসে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গা ফুলা জখম করে।
এসময় আসামীগন আমার গোপন অঙ্গে হাত দিয়ে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে।
আসামীগন সুযোগ বুঝে আমার ব্যবহৃত ১৪ আনা ওজনে গলার চেইন, একটি গ্যালাক্সি এ-৩২ চুরি করে নিয়ে যায়। এবং আমার ভাড়ায় ব্যবহৃত সিএনজির গ্লাস ভেঙ্গে পেলে। আসামীগন প্রকাশ্য বলতে থাকে থানা কোন ধরনের অভিযোগ দায়ের করলে প্রাননাশের হুমকি দেয়।
বাদী আরো জানান, এবিষয়ে আশেপাশের লোকজন অবগত আছে। আমার ভাড়া করা সিএনজি ড্রাইভার আমাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে এসে চিকিৎসা করায়। যার চিকিৎসা রেজিঃ নং- ০৬/৭৫০। আমি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে বীনিত অনুরোধ জানাচ্ছি আমার টাকা পয়সা সহ স্বর্নলংকার গুলি উদ্ধার করে এবং আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য আহবান জানাচ্ছি।
এবিষয়ে ছাগলনাইয়া থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ শহীদুল ইসলাম জানান, অভিযোগ পত্র পেয়েছি, তদন্ত করে আসল দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।