|| ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে আমন রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছে বিরামপুরের কৃষকেরা- দৈনিক বাংলার অধিকার
প্রকাশের তারিখঃ ১৮ জুলাই, ২০২১
দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলা খাদ্যশস্যের ভান্ডার হিসেবে বেশ সু-পরিচিত। এবার এই আমন মৌসুমে উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার রোপা আমন রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকেরা। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রোদ-বৃষ্টি ও তীব্র গরমকে উপেক্ষা করে মাঠে নেমে এখন দিন-রাত বীজতলা থেকে চারা তোলা,জমি চাষ ও মই দেওয়াসহ রোপা আমন ধান রোপণে মেতে উঠেছে উপজেলার কৃষকেরা।
সরজমিনে গিয়ে জানা যায় যে,উপজেলার ৪নং দিওড় ইউনিয়নের ছোট মানুষমুড়া গ্রামের গোলাম মোস্তফা বলেন,আমি ৫-৬ বিঘা জমিতে আমন ধান চাষ করছি। প্রতি বছরের ন্যায় আগাম আমন চাষের জন্য মাঠে নেমেছি। তাই এবারও আগাম চাষের জন্য মাঠে নামছি। আগাম আমন ধান চাষ করলে একদিকে যেমন ভালো ফলন হয়,অন্যদিকে পোকা-মাঁকড় কম থাকায় ভালো ফসল পাওয়া যায়।
পৌরসভা দোশরা পলাশবাড়ী গ্রামের দবিরুল ইসলাম বলেন,আমি ৬-৭ বিঘা জমিতে আমন ধান চাষ করছি। আগাম আমন ধান চাষ করলে একদিকে যেমন ফলন ভালো হয়, অন্যদিকে পোকা-মাঁকড় কম থাকায় ভালো ফসল পাওয়া যায়।
বিরামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নিক্সন চন্দ্র পাল জানান,বিরামপুর উপজেলার একটি পৌরসভা ও ৭টি ইউনিয়নে এবার ১৭ হাজার ৪শ ১১হেক্টর জমিতে আমন রোপনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। আমন আবাদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে উপজেলার ৭শ ৩০জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে কৃষি প্রণোদনার সার বীজ বিতরণ করা হয়েছে। ধানের অধিক দাম ও কৃষি প্রণোদনা পেয়ে কৃষকরা লক্ষ্যমাত্রার অধিক বীজতলায় বীজ বপন করেছেন। ইতিমধ্যে কৃষকরা আগাম জাতের আমন চারা রোপন শুরু করেছে। কৃষকদের রোপনকৃত চারার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে গুটি সর্না,সর্না-৫, ব্রি-৩৪,৫১,৭১,৭৫, হাইব্রিড ও বিনা-১৭,২০ জাতের ধান।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.