|| ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
নওগাঁয় কোরবানির উদ্বৃত্ত পশু চাহিদার তুলনায় বেশি – দৈনিক বাংলার অধিকার
প্রকাশের তারিখঃ ১৪ জুলাই, ২০২১
নওগাঁ জেলায় এ বছর তিন লাখ আশি হাজার চার শত একানব্বই টি কোরবানীর পশু প্রতিপালন করা হয়েছে। জেলায় চলতি বছর চাহিদা রয়েছে তিন লাখ পশুর। সে হিসেবে পশু উৎপাদনে নওগাঁ জেলা উদ্বৃত্ত। জেলার চাহিদা মিটিয়ে এ জেলা থেকে কোরবানীর পশু বরাবরই ঢাকা, চট্রগ্রাম, কুমিল্লা সহঅন্যান্য জেলায় সরবরাহ করা হয়ে থাকে। জেলার ভারপ্রাপ্ত প্রাণী সম্পাদ অফিসার মোঃ হেলাল হোসেন জানিয়েছেন আসন্ন কোরবানীকে সামনে রেখে জেলার এগারো টি উপজেলায় মোট একত্রিশ হাজার তিন শত চল্রিশ টি খামারে এসব পশু প্রতিপালন করা হয়েছে। কোরবাণীর পশুর মধ্যে রয়েছে অষ্টানব্বই হাজার আট শত তিরাষি টি ষাড়,বত্রিশ হাজার চার শত উনত্রিশ টি বলদ, ছত্রিশ হাজার এক শত পনর টি গাভী গাভী,ছয় হাজার নয় শত ষাইট টি মহিষ। এ ছাড়াও ছাগল রয়েছে এক লাখ চুয়াত্তর হাজার চার শত সাইত্রিশ টি ভেড়া রয়েছে, পঁচিশ হাজার ছয় মত একান্ন টি এবং অন্যান্ন রয়েছে চার শত চব্বিশ টি।জেলার প্রাণী সম্পাদ বিভাগের তথ্য মতে উপজেলা ভিত্তিক খামাড়,ষাড়,বলদ এবংগাভীর সংখ্যা হচ্ছে। নওগাঁ সদর উপজেলায় তিন হাজার ছয়শত ত্রিশটি খামাড়ে তের হাজার তিন শত বিরাশি টি ষাড়, দুই হাজা পাঁচ শত একানব্বই টি বলদ ও দুই হাজার পাঁচ সাতাত্তর টি গাভী। রাণী নগর উপজেলায় এক হাজার আট শত পঙ্চাশ টি খামাড়ে সাত হাজার এক শত এগারো টি ষাড়, আট শত চৌদ্দ বলদ ও তি হাজার এক শত উন সত্তর টি গাভী। আত্রাই উপজেলায় এগার হাজার দুই শত ছয়চল্লিশ টি খামাড়ে পাঁচ হাজার সাত শত বিরাশি টি ষাড়,আট শত ষোলটি বলদ ও নয় শত চুয়াত্তর টি গাভী। মহাদেব পুর উপজেলায় এক হাজার দুই শত চল্লিশ টি খামাড়ে আট হাজার দুই শত উনত্রিশ টি ষাড়, এক হাজার চার শত ষোলটি বলদ ওদুই হাজার আট টি গাভী। পত্নীতলা উপজেলায় এক হাজার আট শত পাঁচ টি খামারে সাত হাজার এক শত তেত্রিশ টি ষাড়, এক হাজার আট শত পঁয়ত্রিশ টি বলদ ও দুই হাজার দুই শত আটান্ন টি গাভী। ধামইরহাট উপজেলায় দুই হাজার চারশত আটাত্তর টি খামাড়ে এগার হাজার নয় শত তিপান্ন টি ষাড়,সাত হাজার এক শত সপ্তাশি বলদ ও ছয় হাজার পাঁচ শত ষোলটি গাভী। সাপাহার উপজেলায় তিন হাজার সাত শত বিরা নব্বইটি খামাড়ে সাত হাজার সতের টি ষাড়, তিন হাজার তিন শত ছাব্বিশটি বলদ ওদুই হাজার চার শত আটত্রিশ টি গাভী। পোরশা উপজেলায় দুই হাজার উনষাইট টি খামারে ছয় হাজার আট শত ছিয়াষট্টি টি ষাড়, তিন হাজার নয় টি বলদ ও দুই হাজার সাত শত সাতাইশ টিগাভী। নিয়ামতপুর উপজেলায় এক হাজার পাঁচ শত সাইত্রিশটি খামাড়ে ছয় হাজার চুয়াল্লিশ ষাড়,এক হাজার নয়শত পাঁচ টি বলদ ও এক হাজার পাঁচ শত পুঁচাত্তর টি গাভী এবং মান্দা উপজেলায় সাত হাজার সাত শত পুঁচাশি টি খামাড়ে আঠারো হাজার সাত শত অষ্টানব্বই টি ষাড়, ছয় হাজার আট শত চল্লিশটি বলদ ওআট হাজারআট হাজার ছিয়ানব্বই টি গাভী। জেরার ভার প্রাপ্ত প্রাণী সম্পাদ অফিসার মোঃ হেলাল হোসেন বলেছেন দেশে লকডাউন চললেও জেলা প্রাণী সম্পাদ অফিস থেকে পশু ক্রয় বিক্রয় নামে অনলাইণ ভিত্তিক একটি মোবাইল মাকেটিং ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। এই অ্যাপে জেলার বিভিন্ন খামাড়ীদের ঠিকানা, গরুর ছবি,গরুর আনুমানিক ওজন,মুল্য ইত্যাদি উল্লেখ করে পোষ্ট দেয়া হচ্ছে।এত মোটামুটি ভালোই সাড়া পাওয়া যাচ্ছে।প্রতিনিয়ত গরু,ছাগল,ভেড়া ইত্যাদি বিক্রি হচ্ছে।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.