|| ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
কমলনগরে মেঘনা নদীতে বিলিন খালেক সাহেবের বাড়ি- দৈনিক বাংলার অধিকার
প্রকাশের তারিখঃ ১২ জুলাই, ২০২১
কমলনগরে মেঘনা নদীর পানি কমার সাথে সাথে নদীর তীব্র স্রোতের কারণে ভাঙনের তীব্রতা বেড়েছে। গত কয়েক দিনে নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে উপজেলার চর ফলকন ইউনিয়নের খালেক সাহেব বাড়ীসহ অনেক পুরানো বাড়ী। হুমকির মুখে আরো হাওলাদার বাড়ীসহ মসজিদ । এতে নদী ভাঙন কবলিত এলাকার মানুষ আতংকের মধ্যে রয়েছে। অনেক পরিবার তড়িঘড়ি করে তাদের ঘরবাড়ি অন্য অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছে।
১২ জুলাই সকালে সরজমিনে গেলে চর ফলকন গ্রামের ঐতিহ্যবাহী খালেক সাহেব বাড়ি মেঘনা গিলে খাচ্ছে। ভয়াবহ ভাঙনে ২ একর জমির এই বাড়ীর বেশিরভাগ অংশ এখন রাক্ষুসে মেঘনার পেটে। ওই বাড়ির আশ-পাশেও ব্যাপকভাবে ভাঙছে। আতঙ্ক পুরো এলাকাজুড়ে।
ভাঙন ঠেকাতে পাশে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ডাম্পিং করা হলেও, তা যথেষ্ট নয়।
গত কয়েক দিনে ভাঙনে বাড়ির নারিকেল-সুপারি বাগান তলিয়ে গেছে। বিলীন হয়েছে বসতঘর ও ভিটা।
বয়স্ক সাবেক বেসরকারি কর্মকতা মোঃ খালেক সাহেব বসতভিটে হারিয়ে এখন শোকে পাথর।
ভিটেমাটি হারানো খালেক সাহেবের স্ত্রী আমেনা বেগম জানান,,৬০ বছরের স্বামী কষ্টের জমানো টাকা দিয়ে তিল তিল করে সাজানো ২ একর জমির বাড়ী আজ নদী ভাঙ্গন শেষ হয়ে যাবে। যে বাড়ীর বিভিন্ন ফল ও পুকুরের মাছ বিক্রি করে বছরে আয় হতো লাখ টাকা।
আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুজজাহের সাজু বলেন, মেঘনার ভাঙন রোধে তিন হাজার ৮৯ কোটি ৯৬ লাখ ৯৯ হাজার টাকার একটি প্রকল্প সম্প্রতি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন হয়েছে। অর্থ ছাড় হলে ভাঙন প্রতিরোধে শিগগির কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, ভাঙনরোধে আপদকালীন প্রকল্পের আওতায় কমলনগর ও রামগতি উপজেলার ১০টি স্পটে জিও টিউব ব্যাগে এ বাঁধ নির্মাণ করা হবে। প্রতিটি স্পটে ছয় মিটার দৈর্ঘ্য ও এক দশমিক ২৫ মিটার ব্যাসের বালুভর্তি ২০০টি করে জিও টিউব ব্যাগ দিয়ে বাঁধগুলো নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.