|| ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
ক্লোজকৃত এসআই লাকী ভুয়া ঠিকানা দিয়ে চাকরি নেন- দৈনিক বাংলার অধিকার
প্রকাশের তারিখঃ ১১ জুলাই, ২০২১
পুলিশ দম্পতির পাল্টাপাল্টি মামলায় সাময়িক বরখাস্ত হওয়া এসআই সুমাইয়া বেগম লাকীর বিরুদ্ধে এবার ভুয়া ঠিকানা দিয়ে চাকরি নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া লাকীর বিরুদ্ধে জবরদখল ও দাপট দেখিয়ে পারিবারিক ভাঙ্গন সুষ্টি করায় তাঁর বড় ভাই এবং ভাইয়ের শ্বশুরবাড়িতে থেকে পুলিশের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ পড়েছে। লাকী সর্বশেষ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি রাজশাহী মেট্রোতে উপপরিদর্শক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গত ৩০ জুন তাকে সিআইডির সদর দপ্তর থেকে বরখাস্ত করা হয়।
জানা যায়, ২০১৩ সালের চাকরি নেওয়ার সময় নাম, ঠিকানা, শিক্ষাগত ও থানা রেকর্ড যাচাইয়ের রাজধানীর হাজারীবাগ থানার নিউ পৌর মাকের্ট বাড্ডা নগর এলাকায় নিজে স্থায়ী এবং অস্থায়ী ঠিকানা ব্যবহার। যা যাচাইকালে হাজারীবাগ থানার এসআই বজলার রহমান সঠিক পাননি বলে ঢাকা জেলার পুলিশ সুপারকে প্রতিবেদন দেন। এতে তিনি উলেখ করেন হাজারীবাগ যে স্থায়ী ঠিকানা ব্যবহার করেছেন সেটি ভুয়া। এছাড়া তিনি জানতে পারেন তার স্থায়ী ঠিকানা পাবনার বেড়া উপজেলার ঘোপসিলেন্দা এলাকায়।
সংশিষ্টরা জানান, লাকীর নিজের জন্মস্থান স্থায়ী ঠিকানার স্থলে ভুয়া ঠিকানা ব্যবহার করে অন্যায় করেছেন। এর পেছনে নিশ্চয়ই কোনো না কোনো কারণ আছে। কারণ তার জন্মস্থান এলাকায় ভিটেমাটি না থাকলেও অনন্ত আত্মীয়—স্বজনরা আছে। সেটা ব্যবহার করতে পারতেন। পরে বিষয়টি জানাজানির পর জন্মস্থান ঠিকানা কাগজ পত্রে ব্যবহার করতে দেখা গেছে। এছাড়া লাকীর আছে জবর—দখলের অভিযোগ। স্বামীর পরিবার ছাড়াও আপন ভাই এবং ভাইয়ের শ্বশুরবাড়ির পক্ষ থেকেও পুলিশের সর্বোচ্চ পর্যায়ে তার বিরুদ্ধে দেওয়া হয়েছে অভিযোগ। এসব অভিযোগে লাকীর বিরুদ্ধে এখনো কোনো ধরণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
উলেখ্য, পারিবারিক কলহে গতবছরের ২৫ অক্টোবর স্বামী ওবায়দুল কবির সুমন লাকীর বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগর আদালতে ২০ লাখ টাকার একটি যৌতুকের মামলা করেন। এ মামলায় ওয়ারেন্টও জারি হয়। পরে ২৭ জানুয়ারি জামিন নেন এসআই লাকী। এ মামলা তারিখ (২৭ জানুয়ারি) থেকে তাকে ‘বরখাস্ত’ দেখানো হয়েছে।
অন্যদিকে তাঁর স্বামীওবায়দুল কবির সুমন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড টান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটে উপ—পরিদর্শক (এসআই) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ২০২০ সালের ২০ ডিসেম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে লাকীর করা মামলায় একই বছরের ২৯ ডিসেম্বর আদালতে জামিন নেন সুমন। এতে বাহিনীর শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে গত ১ জুন এক আদেশে তাকে বরখাস্ত করে ডিএমপি।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.