|| ২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২৩শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
বিরামপুরে অর্ধ গলিত লাশ উদ্ধার ঘটনায় ঘাতক স্বামী আটক -দৈনিক বাংলার অধিকার
প্রকাশের তারিখঃ ১১ জুন, ২০২১
বিরামপুর থানা পুলিশ খাঁনপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড সাতানি খোশালপুর গুচ্ছ গ্রামের ডীপ ঘরে স্ত্রীকে হত্যা করে মাটিতে পুঁতে রাখার অভিযোগে ঘাতক স্বামী কে আটক করে। ভিকটিমের লাশ উদ্ধারের দিনেই ঘাতক স্বামীকে আটক করে পুলিশ। কিন্তু হদিস মেলেনি নবজাতকের।
এলাকাবাসী ও মৃত্যের পরিবার সুত্রে প্রকাশ- একই এলাকার মৃত: আব্দুর রহমান এর পুত্র
বিয়ে পাগল আব্দুর রউফ(৪৫) বর্তমানে ৪ স্ত্রীর তার । ভরন পোষন না দেওয়ায় প্রথম দ্বিতীয় স্ত্রী অন্যের বাড়িতে ঝি এর কাজ করে। তৃতীয় স্ত্রীকে নিয়ে ঐ গ্রামে অন্যের পানি সেচের ডিপ টিউওবয়েল ভাড়া নিয়ে কৃষকদের জমিতে পানি সেচের দেখাশুনা করত ঘাতক আব্দুর রউফ। চতুর্থ স্ত্রী ভিকটিম হাসিনা বেগমের মা নবাবগঞ্জ উপজেলার ৩নং গোপালগঞ্জ ইউনিয়নের কালাইচড়া কৃন্দলপুর গ্রামের মৃত: মজিবর রহমানের স্ত্রী মাসুরা বেওয়া (মাসু) জানান-তার মেয়ে হাসিনা বেগমের সাথে ২ বছর আগে আব্দুর রউফ সাথে বিয়ে হয়। সেখানেই সে বসবাস করত। ঐখানে তাদের কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। গত ১৩/১৪ দিন আগে তার মেয়ে হাসিনা বেগম তাকে জানায়,তার স্বামী নবজাতক কন্যাটি নিতে চায়না। অন্যের কাছে দত্বক দিতে বলে তাতে তার মেয়ে রাজি না হওয়ায় তাকে মারপিট করে আগুনে পুড়ে হত্যা করেছেন বলে দাবী তার। ডিপ ঘরে তার মেয়ে হাসিনা তার নবজাতক সন্তানটি সেখানে থাকত। তার মেয়ের লাশ উদ্ধার হলেও নবজাতক শিশুটি এখন নিখোঁজ এবং তাকে উদ্ধারের দাবী জানান মাসুরা বেওয়া।
প্রকাশ, (৯জুন) গত বুধবার শ্রমিকেরা বাগানে আকাশ মনির চার লাগানোর সময় পার্শ্বের একটি পানি দেওয়া ড্রেনে উক্ত ভিকটিমকে দহ্য পদার্থ দিয়ে শরীর পুড়িয়ে মাটিতে পুঁতে রাখার সংবাদে ভিকটিমের অর্ধ গলিত লাশ পুলিশ উদ্ধার করে ঐ দিন রাত বিরামপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে মামলা নং-৯, তাং ০৯.০৬.২০২১ইং মামলার প্রেক্ষিতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘাতক স্বামী আব্দুর রউফকে পালিয়ে থাকা অবস্থায় একটি গ্রাম থেকে পুলিশ তাকে আটক করে। বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুমন কুমার মহন্ত নেতৃত্বে পুলিশ ও গণমাধ্যম কর্মীদের নিয়ে উক্ত ঘাতক আব্দুর রউফ এর দেওয়া তথ্যমতে-নবজাতক সন্তানকে উদ্ধার করার জন্য তার বাড়িতে গেলে তৃতীয় স্ত্রী বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। এসময় আব্দুর রউফ তার ঘর থেকে স্ত্রীকে হত্যা করে পুতে রাখার আলামত একটি কোদাল পুলিশকে দেয়। পুলিশ তা আলামত হিসাবে জব্দ করে। এ সময় ঘাতক আব্দুর রউফ পুলিশ ও গণমাধ্যমকর্মী ও শত শত মানুষের উপস্থিতিতে প্রকাশ করে য়ে, গত শনিবার রাতে মাঠের মধ্যে ডিপ ঘরে একাকি তার স্ত্রী হাসিনা বেগম এসে ঘরে তোলার দাবীতে চাপ দেয়। ঘটনার সময় ডিপ ঘরে তর্কতর্কির এক পর্যায়ে নিজের গায়ের বোরখায় আগুন দিলে সে আগুনে অঞ্জান হয়ে পড়লে অঞ্জান অবস্থায় কাধে করে প্রায় ১কিমি দূরে নিয়ে গিয়ে জীবন্ত মাটিতে পুতে রাখার কথা স্বীকার করে ঘাতক আব্দুর রউফ। পরে পুলিশ আসামীকে নিয়ে ডিপ ঘরে গিয়ে ভিকমিরে পুড়িয়ে হত্যা করার কয়েকটি আলামত সংগ্রহ করে। পরীক্ষার জন্য ভিকটিমের মা ও ভিকটিমের লাশ দিনাজপুর এম রহিম মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে বলে থানা সুত্রে জানা যায়। আজ (১১জুন) শুক্রবার স্ত্রীকে হত্যার দায়ে আটক ঘাতক আব্দুর রউফকে দিনাজপুর আদালতে প্রেরণ করেছেন বলে থানা সুত্রে জানা যায়।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.