|| ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
পাইকগাছা সন্তান তপন কান্তি ঘোষ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব পদে পদায়ন-দৈনিক বাংলার অধিকার
প্রকাশের তারিখঃ ৩০ মে, ২০২১
পাইকগাছা তথা কপিলমুনি-হরিঢালীর সন্তান জনাব তপন কান্তি ঘোষ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সুযোগ্য সচিব পদে পদায়ন হয়েছেন। তপন কান্তি ঘোষ ৩০ মে, ২০২১ তারিখে সচিব হিসেবে এ মন্ত্রণালয়ে পাদায়িত হন। এর পূর্বে ৭ জুলাই ২০২০ থেকে অদ্যাবধি মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন। তিনি ২০১৯ সালের ৫ ডিসেম্বর সরকারের সচিব পদে যোগদান করেন। তিনি বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান এর দায়িত্বেও কর্মরত ছিলেন। তপন কান্তি ঘোষ খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার হরিঢালী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম শ্রীনিবাস চন্দ্র ঘোষ ও মায়ের নাম রাধা রানী ঘোষ। তিনি হরিঢালী ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ১৯৭৯ সালে মাধ্যমিক ও সরকারী ব্রজলাল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে ১৯৮১ সালে উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে অর্থনীতিতে বিএসএস (সম্মান) এবং এমএসএস ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি Bangladesh Institute of Development Studies থেকে Advanced Course on Economics & Quantative Techniques সম্পন্ন করেন। এছাড়া Alliance Francaise থেকে ফরাসী ভাষায় ডিপ্লোমা কোর্স সম্পন্ন করেন। ১৯৮৯ সালে তিনি ৮ম বিসিএস এর প্রশাসন ক্যাডারের সদস্য হিসেবে সরকারি চাকরিতে যোগদান করেন। কর্মজীবনে জনাব তপন কান্তি ঘোষ মাঠ প্রশাসনে সহকারী কমিশনার, সহকারী কমিশনার (ভূমি), প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসেবে বিভিন্ন জেলায় দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডে "সমন্বিত সমাজ উন্নয়ন প্রকল্প" এর প্রকল্প পরিচালক পদে তিন বছরের অধিককাল কর্মরত ছিলেন। ২০১১ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত তিনি বেলজিয়ামের ব্রাসেলস- এ অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে কমার্শিয়াল কাউন্সেলর ও মিনিস্টার (কমার্স) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বেলজিয়াম ও লুক্সেমবার্গের সাথে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্কোন্নয়নে কাজ করা ছাড়াও তিনি ইউরোপিয় ইউনিয়নের নির্বাহী বিভাগ ইউরোপিয় কমিশন এবং ইউরোপিয় পার্লামেন্ট এর সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করেন। রানা প্লাজার মর্মান্তিক দুর্ঘটনা পরবর্তীতে বাংলাদেশের রপ্তানির প্রধান বাজার ইউরোপিয় ইউনিয়নের ২৮টি দেশে শুল্ক মুক্ত সুবিধা বহাল রাখার জন্য ইউরোপিয় কমিশন ও ইউরোপিয় পার্লামেন্টের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিষয়ক কমিটির (INTA) অসংখ্য কার্যক্রমে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরেন এবং দেশের বাণিজ্য সুবিধা সমুন্নত রাখতে নিরলস প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখেন। ইউরোপিয় ইউনিয়ন, বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্র ও আইএলও এর যৌথ কর্মসূচি “Sustainability Compact’’ প্রনয়ণ, বাস্তবায়ন ও মনিটরিং এর সকল কাজে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের রপ্তানি অনুবিভাগে তিনি যুগ্মসচিব ও অতিরিক্ত সচিব হিসেবে ২০১৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। এ সময় দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি প্রনয়ণ ও বিভিন্ন দেশের সাথে যৌথ বাণিজ্য কমিটির সভায় প্রতিনিধিত্ব করেন। এছাড়া রপ্তানি নীতি, স্বর্ণ নীতিমালা প্রনয়ণসহ ব্যবসা সহজীকরণ ও রপ্তানি বৃদ্ধিতে বিভিন্ন নীতি প্রনয়ণ ও বাস্তবায়নে অগ্রনী ভূমিকা পালন করেন। তিনি ইউরোপিয় ইউনিয়ন, আইএলও আয়োজিত বিভিন্ন সভা ও সম্মেলনে যোগদান করেন। Organisation for Economic Cooperation and Developmant (OECD) কর্তৃক ২০১৮ ও ২০১৯ সালে প্যারিসে আয়োজিত Responsible Business Conduct বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে তিনি প্যানেল বক্তা হিসেবে অংশগ্রহণ করেন। বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের সদস্য হিসেবে তিনি ইউরোপ, এশিয়া ও আমেরিকা মহাদেশের বিভিন্ন দেশ ভ্রমন করেছেন।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.