|| ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের হলদিবাড়িয়া খেয়াঘাট থেকে সৈয়দপুর কমিউনিটি ক্লিনিক পর্যন্ত রাস্তাটির বেহাল অবস্থা-দৈনিক বাংলর অধিকার
প্রকাশের তারিখঃ ২৭ মে, ২০২১
পটুয়াখালী জেলা কলাপাড়া উপজেলার ৫নং নীলগঞ্জ ইউনিয়নের দক্ষিণ হলদিবাড়িয়া খেয়া ঘাট থেকে সৈয়দপুর কমিউনিটি ক্লিনিক পর্যন্ত রাস্তাটির বেহাল অবস্থা। রাস্তাটি অত্র এলাকার একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। ঢাকা টু কুয়াকাটা মহাসড়কের সাথে সংযোগ স্থাপনকারী এ রাস্তাটি দিয়ে প্রতি দিন অসংখ্য মোটরসাইকেল অটোরিকশা সহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলাচল করে। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে রাস্তাটির অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয় হয়ে পড়েছে। রাস্তাটি বিভিন্ন স্থানে ভাঙ্গন ও গর্ত সৃষ্টি হয়ে যাতায়াতের সম্পূর্ণ অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। কয়েক বছর পূর্বে রাস্তাটিতে ইট বসানো হয়েছিল। কিন্তু বহুদিন যাবত সংস্কারের কাজ না হওয়ায় রাস্তার ইট গুলো খসে পরেছে এবং কোন কোন স্থানের মাটিও ভেঙ্গে পড়ে যাচ্ছে। বর্তমানে এ রাস্তা দিয়ে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়াছে। অথচ এই রাস্তার পাশেই একটি বাজার স্কুল-মাদ্রাসা ও একটি কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে। পার্শ্ববর্তী ডালবুগঞ্জ ইউনিয়নের শত শত মানুষ প্রতিদিন চলাচল করে। এখানকার কৃষকরা পরিবহনের অভাবে তাদের উৎপাদিত ফসলের ভালো দাম পাচ্ছে না। জরুরি অবস্থায় রোগীদের অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নেয়া সম্ভব হচ্ছে না বলে অনেক ভোগান্তির শিকার হতে হয়। তাই রাস্তাটির আশু সংস্কারের ব্যবস্থা না করা হলে অত্র এলাকার জনগণের দূর্ভোগের সীমা থাকবে না। সেরে জমিনে গিয়ে দেখা যায় যে, রাস্তাটির অবস্থা খুবই খারাপ। যানবাহন চলাচলে মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই। বিভিন্ন স্থানে গর্ত এবং ইট গুলো খসে পড়ে গেছে। এলাকা বাসি রাস্তা টি দ্রুত সংস্করণ করে পাকা করনের দাবি জানান। স্থানীয় আঃ মজিদ ঢালী জানান, ইট বসানো পর থেকে অদ্য পর্যন্ত কোন ধরনের সংস্কারের কাজ করা হয় নাই। এই রাস্তাটি দিয়ে পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নের শত শত মানুষ চলাচল করে।খেয়া ঘাটের এই রাস্তাটি দ্রুত সংস্কার করে পাকা করনের দাবি জানান। স্থানীয় আব্দুল খালেক মাস্টার বলেন এই রাস্তাটি চলাচলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি পাকা হলে স্থানীয় মানুষের দূর্ভাগা লাগোভ হবে। স্থানীয় চৌকিদার মোঃ ছাবের আহমদ বলেন ঘূর্ণিঝড় ইয়াস এর কারণে রাস্তাটি বেরীবাঁধের বাহিরে নদীর সাইটের অংশ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।অতিরিক্ত জোয়ারের পানিতে রাস্তাটি পানির নিচে তলিয়ে যায়। ৭,৮ও ৯ নং ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার জনাবা মোসাঃ মাহিনুর বেগম বলেন, রাস্তাটি আমার ওয়ার্ডের গুরুত্বপূর্ণ একটি রাস্তা এই রাস্তাটি দিয়ে দিন রাত আনেক মানুষ চলাচল করে। আমার দাবি রাস্তা টি দ্রুত পাকা করনের মাধ্যমে এলাকা বাসির কষ্ট দূর হয়। স্থানীয় ৯নং ওয়ার্ডের মেম্বার মোঃ সুমন হাওলাদার বলেন। রাস্তাটি অতি জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটির পাশে একটি বাজার ও কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে। রাস্তাটির অবস্থা খারাপ হওয়ায় এলাকার মা বোনদের অনেক ভোগান্তি শিকার হতে হচ্ছে। এলজিআরডি কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করছি যাহাতে রাস্তা টি দ্রুত সংস্করণ করে পাকা করন করা হয়।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.