|| ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ১৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ১৩ নং শ্রীপুর ইউপি পরিষদে সেবার নামে জন্ম সনদ অর্থ বানিজ্য-দৈনিক বাংলার অধিকার
প্রকাশের তারিখঃ ২৬ মে, ২০২১
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ১৩ নং শ্রীপুর ইউপি পরিষদে সেবার নামে অর্থ আদায়ের বানিজ্য চলছে।
সরকার প্রতিটি নাগরিকে জন্ম সনদের আওতায় আনার লক্ষে ইউপি পরিষদকে তাগিদ দিয়ে জন্ম সনদ গেজেট প্রকাশ করেছে।
ইউপি পরিষদ গুলো জন্ম সনদ গেজেট আইন তোয়াক্কা না করে মন গড়া মতো অর্থ আদায়ের মধ্যদিয়ে নিবন্ধন কার্যক্রম চলমান রেখেছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে শ্রীপুর ইউপি পরিষদে কয়েকজন ভুক্তভোগী সচিব মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে অর্থ বানিজ্যের অভিযোগ তুলে ধরে।
ইউপি পরিষদে সাংবাদিক দেখে, মোঃ শান্তি মিয়া, জগ্ননাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এস.এইচ.এম সাইফুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মাহফুজার রহমান (ডাকুয়া) সাংবাদিকের হাতে পরিষদের দুর্নীতির কিছু ভিডিও তুলে দিয়ে তারাও অভিযোগ করে বলেন,
সরকার কর্তৃক প্রকাশিত গেজেটে উল্লেখ আছে, ১ থেকে ৪৫ দিনের শিশুর জন্মসনদ ফি, ১ বছর থেকে ৫ বছর বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে নিবন্ধন ফি মাত্র ২৫ টা প্রহণ করার নির্দেশ রয়েছে, ৫ বছরের উদ্ধে যে কোন বয়সের ব্যক্তির নিবন্ধনেও মাত্র ৫০ টাকা প্রহণ করার নির্দেশ রয়েছে প্রকাশিত ঐ গেজেটে।
সচিব মিজানুর রহমান সমাজের কিছু অসত ব্যক্তিকে ম্যানেজ করে নিবন্ধন প্রতি ২৫০/৩০০ টাকা আদায় করে নিজ তহবিল মোটা করে আসছেন।
আমরা এ বানিজ্যের তীব্র নিন্দা জানিয়ে সাধারণ জনগণের পক্ষে দাড়িয়েছি, আমরা দেশের সচেতন নাগরিক, আমরা এলাকায় বসবাস কালীন সময়ে পরিষদে কোন প্রকার দুর্নীতি বা সাধারণ মানুষকে হয়রানি, মেনে নিবো না, অন্যায়ের প্রতিবাদ চালিয়েই যাবো।
সাংবাদিক ভাইয়েরা আপনারাও জনগণের দুঃখ লাঘব করতে, এ দুর্নীতি বাজদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে দুর্নীতি বাজদের মুখোশ দেশের জনগণের কাছে উন্মোচন করুন।
এর আগেও উপজেলার শ্রীপুর ইউপি পরিষদের সচিব মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে জন্ম নিবন্ধনে বার্তি অর্থ আদায়ের নিউজ প্রকাশ হলেও সচিব মিজানুর রহমান এখন পর্যন্ত জন্ম সনদে অর্থ বানিজ্য বন্ধ করেন নি।
পুর্বের নিউজের সময় মুঠোফোনে চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম, বলেছিলেন শ্রীপুর ইউপি পরিষদে জন্ম নিবন্ধনে কোন প্রকার বার্তি অর্থ আদায় করা হয় না।
কিন্তু আজ মঙ্গলবার দুপুরে গণমাধ্যমকর্মী উপস্থিত থাকা কালীন সময়েও নিবন্ধন প্রতি ২৫০ টাকা আদায় করা হয়েছে।
সচিব মিজানুর রহমানের অনিযম ও দুর্নীতি ধরার জন্য, গণমাধ্যমকর্মী তথ্য সংগ্রহ করলে, সচিব মিজানুর রহমান সাংবাদিকের নাম ও মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করে, আঃলীগ নেতাদের দারা নিউজ না প্রকাশের বিষয়ে কথা বলাতে থাকেন।
এ বিষয়ে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আল মারুফকে বিষয়টি অবগত করার জন্য মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.