|| ২রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ১৯শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ৩রা শাবান, ১৪৪৬ হিজরি
প্রথম আলোর সিনিয়র সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার দাবি-দৈনিক বাংলার অধিকার
প্রকাশের তারিখঃ ২১ মে, ২০২১
শুক্রবার বেলা সাড়ে ১০ টার দিকে মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে হলদিয়া বাজারে বিক্রমপুর প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধক কর্মসূচি করা হয়। এ সময় সাংবাদিকদের সাথে একাত্মা ঘোষনা করে অন্যান্য পেশার লোকজনও এতে অংশ গ্রহন করে।
বিক্রমপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. মাসুদ খানের সভাপতিত্বে ও লৌহজং প্রেসক্লাবের সভাপতি এম তরিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বিক্রমপুর প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শেখ সাইদুর রহমান টুটুল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান, লৌহজং প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন শিকদার, সুশাসনের জন্য নাগরিক(সুজন)-এর মুন্সীগঞ্জ জেলা কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট জসিম মোল্লা, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. মাসুম খান ডালু, শ্রীনগর প্রেসক্লাবের সাবেক দপ্তর সম্পাদক মো. অমিত খান, সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম, শাহ নেওয়াজ খান শানু, শহীদ সুরুজ, মুজাহিদুল ইসলাম বায়েজিদ, মো. শুভ হোসেন, রমি আক্তার, ফরহাদ হোসেন জনি, কেএম রাজু আহমেদ, আরিফুল ইসলাম শাকিল, শহীদ শেখ, রুবেল মাদবর, মেহেদী হাসান সুমন, শফিকুল ইসলাম তাপস, প্রমূখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, যেভাবে সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে সচিবালয়ে ৫ ঘন্টা আটকে রেখে হেনস্তা করা হয়েছে, তা মুক্ত গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতার জন্য হুমকিস্বরূপ।
স্বাস্থ্য বিভাগের ভঙ্গুর অবস্থা, দুর্নীতি নিয়ে করোনাকালীন সময়ে বহু অনুসন্ধানী সংবাদ প্রকাশ করায় তার উপর প্রতিশোধ নিতেই এরকম মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। তাঁকে যে নির্যাতন করা হয়েছে সেটা সমগ্র বাংলাদেশকে নির্যাতন করার সামীল। তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাটি মিথ্যা ও বানোয়াট।
সাংবাদিক নেতারা আরও বলেন, একের পর এক দুর্নীতির ঘটনা তুলে ধরার কারণে রোজিনা ইসলাম স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের রোষানলে পড়েন। পরিকল্পিতভাবে তাঁকে ফাঁসানোর জন্য হেনস্তা করে এই মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। দেশের অনুসন্ধানী সাংবাদিকতাকে শেষ করে দিতে রোজিনা ইসলামের উপর এমন নির্যাতন করা হয়েছে। তাঁকে মিথ্যা মামলায় করাগারে নেওয়া হয়েছে। এ মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করে তাঁকে নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়ার দাবি জানান বিক্রমপুর-মুন্সীগঞ্জের সাংবাদিক নেতারা। সেই সাথে রোজিনাকে হেনস্তাকারী সচিবালয়ের সেই নারী এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন সংগঠন দু’টির সাংবাদিক নের্তৃবৃন্দ।
বক্তারা আরও বলেন, দুর্নীতিবাজ এসব আমলা নিজেদের কুকীর্তি ঢাকতে রোজিনাকে হেনস্তা করেছেন। প্রশসনের ভেতর ঘাপটি মেরে বসে থাকা একদল কর্মকর্তা সরকারের সুনাম ক্ষুন্ন করতে সাংবাদিকদের গায়ে হাত তুলছেন। তাঁদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে হবে।
Copyright © 2025 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.