ফেনীর ছাগলনাইয়া টু করেরহাট সড়কের উপর উপজেলাধীন ৮ নং রাধানগর ইউনিয়নস্থ রাধানগর বাজার এর সড়কের দুই পাশে সরকারী জায়গা দখল করে এক পাশে ইট বালি রেখে ও অপর পাশে স’মিলের গাছ ও লাকড়ি ফেলে রমরমা ব্যবসা করে আসছে মোঃ মামুন, আনিসুল হক ও আবুল কালাম। ছাগলনাইয়া হতে করেরহাট এর গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি ইট বালু দিয়ে দখল করে রেখেছে মোঃ মামুন ও অপরদিকে গাছ ও লাড়কি রেখে দখলে নিয়েছে স’মিলের মালিক আনিসুল হক ও আবুল কালাম অভিযোগ স্থানীয়দের। দেখে বোঝার উপায় নেই যে এটা রাস্তার ফুটপাত নাকি দখলদারদের নিজস্ব আঙ্গিনা। কারণ ইট বালু রাস্তার পাশে রাখার কারণে দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়। তেমনি জনসাধারণের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে রাস্তাটি।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, উদাসীনতার কারনে কর্তৃপক্ষ এগুলো খেয়াল করছে না। রাস্তার এক পাশে ইট বালু অপর পাশে স’মিলের গাছ লাড়কি রেখে যানজট সৃষ্টি সহ প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ। কয়েক বছর আগেও এই জায়গা বার বার দুর্ঘটনায় শিকার হয়ে অনেক জন নিহত ও আহত হয়েছে। স্থানীয়রা আরো জানান, বর্তমানে এই রাস্তায় চলাচল করা খুবই দুস্কর। রাস্তায় ইট বালু রাখায় বাতাস হলেই বালি উড়তে থাকে। যা রাস্তায় চলাফেরা মানুষের নাকে মুখে ঢুকে। এতে রোগ জীবাণুর সংক্রমণ বাড়ে। ইট বালু দিয়ে রাস্তার পাশ আটকে রাখায় চলাচলের দুর্ভোগে পড়ছে পথচারীরা। প্রশাসন দখলদারদের বার বার বলা সত্বেও তারা প্রভাবশালী হওয়ায় কোন কর্ণপাত করেনি দাবি স্থানীয়দের। স্থানীয়দের দাবি প্রশাসন কঠোর হলে দখল হওয়া সরকারী জায়গাগুলি উদ্ধার হবে। উদ্ধার হলে সাধারণ জনগন উপকৃত হবে।
সরকারী জায়গা ইট বালি রাখার অভিযুক্তকারি মোঃ মামুন জানান, আমি একজন ঠিকাদারি ব্যবসায়ী। আমি ইট বালি রেখেছি সত্য তবে অস্থায়ীভাবে। তবে অস্থায়ীভাবে আর কতদিন রাখবে সেটা তিনি স্পষ্ট কোন সদুত্তর দিতে পারেনি।
আরেক অভিযুক্তকারি স’মিলের মালিক আনিসুল হক দৈনিক বাংলার অধিকার কে জানান, দীর্ঘদিন ধরে আমরা ব্যবসা বানিজ্য করে আসছি। এখানে সমস্যা হওয়ার কথা নয়। যদি সমস্যা হয় তাহলে সরিয়ে পেলবো। অভিযুক্ত আরেক স’মিলের মালিক আবুল কালাম জানান, আমি এখানে জায়গা ভাড়া নিয়ে ব্যবসা বানিজ্য করে আসছি দীর্ঘদিন ধরে। যদি এখানে সরকারী জায়গা থেকেও থাকে তাহলে মালিকপক্ষ বলতে পারবে।