আকাশ সরকার:রাজশাহী ব্যুরোঃ
রাজশাহীতে চাঁদার দাবীতে মাস্তান দিয়ে হুমকি ও হয়রানির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছে রাজশাহী ইন রেসিডেন্সিয়াল লিঃ এর মালিক আবু উইসুফ মাসুদ।
রবিবার ১১ এপ্রিল ২০২১ইং তারিখ বিকাল ৪ টায় রাজশাহী ইন রেসিডেন্সিয়াল লিঃ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন হোটেল মালিক আবু ইউসুফ মাসুদ ( ৪১ )। তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, বিবাদী মােঃ আনিসুর রহমান ( ৪৫ ) , পিতাঃ মৃতঃ নূর মােহাম্মদ , সাং - আহমেদ নগর , সপুরা , থানা - বােয়ালিয়া আমার ব্যবসায়ীক পার্টনার ছিলেন। কিন্তু আর্থিক সমস্যার কারনে ব্যবসায়ীক পার্টনারশীপ ছেড়ে দিতে চান। যা পরবর্তীতে কোর্ট এভিডেভিডের মাধ্যমে পার্টনারশীপ হস্তান্তর করা হয়। এবং বিবাদী আনিসুর রহমান ব্যবসার সুবাদে ২৩,০০,০০০ / - (তেইশ লক্ষ) টাকা আমার নিকট হতে পেতে থাকেন। উক্ত টাকাটা ২০২১ সালের মার্চের ২০ তারিখে পরিশােধের কথা থাকলেও বিল্ডিংয়ের কাজ অসম্পূর্ন থাকায় উক্ত টাকার মধ্যে সম্পূর্ণ টাকা পরিশােধ করতে না পেরে ৯,০০,০০০/- নগদ বিবাদীর বন্ধু মাে : আনােয়ার হােসেন এর মাধ্যমে পরিশােধ করি ।
কিন্তু পরবর্তীতে চলতি মাসের ৩ তারিখ অর্থাৎ এপ্রিলের ৩ তারিখ রাত্রি ৭.৩০ ঘটিকার সময় ১ নং বিবাদীর ভাড়াটিয়া গুন্ডা বিবাদী আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের ( ৪ র্থ তলা ) , বােয়ালিয়া এলাকার সামসুল ইসলাম এর ছেলে শিপন ( ৪৫ ) ও তার সন্ত্রসী বাহিনী আমার অফিসে এসে তারা ১ নং বিবাদীর অংশের দাবীদার হিসেবে আবারাে ২৩ লক্ষ টাকা পুনরায় দাবী করেন । তারা বলেন, এখন যদি তেইশ লক্ষ টাকা না দেন তবে হােটেলের মালিকানা বুঝিয়ে দে। বিবাদীরা আরাে বলেন টাকা না দিলে তারা প্রতিষ্ঠানে তালা বন্ধ করে দিবেন। বিবাদীরা চলে যাওয়ার সময় আমাকে মেরে ফেলার হুমকিসহ আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন, তখন আমি ঘটনা বেগতিক দেখে বোয়ালিয়া থানা পুলিশকে বিষয়টি জানায় এবং সঙ্গে সঙ্গে উপশহর পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক মোঃ শাহিনুর রহমান কে আমার হোটেলে হাজির হয় এবং পরিবেশ শান্ত করেন। এসআই শাহিনুর বিবাদী শিপনকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যাওয়ার কথা বললে, ঘটনা স্থলে উপস্থিত রাসিকের ১০ নং ওয়ার্ড আওয়ামিলীগ সভাপতি মোঃ জাফর তাকে (শিপনকে) ছেড়ে দেয়ার জন্য অনুরোধ করে তখন আমি সহ উপস্থিত সকলে সার্বিক বিষয় এবং সভাপতি জাফরের সম্মানের কথা ভেবে শিপনকে ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। সভাপতি জাফর আমার কোম্পানির প্যাডে জিম্মা নামায় সই করে শিপনকে নিয়ে যায়। যা এ
ঘটনার সাক্ষী ১। রমজান আলী ( ২৯ ) , পিতা - আব্দুল মান্নান , সাং - উপশহর ১/২৬০ থানা - বােয়ালিয়া , জেলা - রাজশাহী , ২। কৌশিক আহম্মেদ ( ৩২ ) , পিতাঃ মােঃ দুদু মিয়া , সাং- ১৩২/১ উপশহর , থানা - বােয়ালিয়া , মহানগর রাজশাহী সহ আরাে অনেকেই জানেন এবং শুনেছেন।
পরবর্তীতে ১ নং বিবাদী স্থানীয় সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে আমাকে ঘায়েল করতে না পেরে এপ্রিলের ৪ তারিখের রাজশাহী সি এম এম কোর্টে ১৪৫ ধারায় একটি মামলা দায়ের করে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন। বিবাদী আনিস মামলা করেও ক্ষান্ত হননি তিনি এপ্রিলের ৭ তারিখে আনুমানিক সকাল ১১.৩০ ঘটিকার সময় আমার উপস্থিতে তার স্ত্রীকে সাথে নিয়ে আমার হোটেলে এসে স্টাফদেরকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিয়ে যায় এবং বলে যায় প্রয়োজন হলে তোদের বসকে গুম করে দিয়ে আমি এই হোটেলের মালিক হব। তার এমন হুমকির প্রেক্ষিতে ৮ এপ্রিল ২০২১ তারিখে বোয়ালিয়া মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী ( জিডি) করি। যার জিডি নাম্বার ৩৭৪। আমি তার এই হুমকি ও মিথ্যা মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সাংবাদিক ভাইয়েরা জাতি ও আমাদের এই সমাজের আয়না। আমি এখনো বিশ্বাস করি সাংবাদিকরা সমাজের দর্পণ এবং সত্য প্রকাশে সদা প্রস্তুত।আমি আপনাদের স্বরনাপন্ন হয়ে আপনাদের নিকট সহযোগিতা কামনা করছি।
এবিষয়ে বিবাদী আনিসুর রহমান আনিসের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তার ফোন পাওয়ায় তার কোন বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।