|| ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
কুড়িগ্রামে তহশিলদার ও সার্ভেয়ারের মদদে সরকারি পুকুর দখল-দৈনিক বাংলার অধিকার
প্রকাশের তারিখঃ ৯ এপ্রিল, ২০২১
রৌমারী সদর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা(তহশিলদার) ও উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার আব্দুল আউয়ালের বিরুদ্ধে অবৈধ পন্থায় যাদুরচর ইউনিয়ন পরিষদের দলিলকৃত ও ভোগদখলীয় একটি পুকুরের একাংশ দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় ওই দুই ভূমি কর্মকর্তাসহ ৭জনের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন যাদুরচর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সরবেশ আলী। এর আগে পুকুরটি অবৈধ দখলের আশঙ্কায় সোমবার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন ইউপি চেয়ারম্যান।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, রৌমারী উপজেলার যাদুরচর মৌজার অন্তর্ভুক্ত যাদুরচর ইউনিয়ন পরিষদের নামে দলিলকৃত ও ভোগদখলীয় জমিতে নির্মিত পুকুরের একটি অংশ আরএস রেকর্ডে ১নং খতিয়ান ভুক্ত হয়।যার আরএস দাগ নং ৩৬৪৬, জমির পরিমাণ ৩০শতাংশ। গত সোমবার গভীর রাতে হঠাৎ করে একটি চক্র জমিটিতে অবৈধ অনুপ্রবেশ করে পুকুরের পাড়ের একাংশে টিনের ঘর তুলে। এ সময় ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্বে থাকা ৮জন গ্রাম পুলিশ অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদেরকে ঘর তুলতে বাঁধা দিলে তারা নানা ভাবে হুমকি দেন এবং গ্রাম পুলিশদেরকে চলে বাধ্য করে ঘর তোলে।
গ্রাম পুলিশ সোনা মিয়া বলেন, সোমবার রাতে অবৈধভাবে ঘর তুলতে বাঁধা দিতে গেলে তারা আমাদেরকে হুমকি দেন এবং জোরপূর্বক পুকুরের পাড়ে ছোট ছোট ৪টি ঘর তোলে। বিষয়টি তাৎক্ষনিক ইউপি চেয়ারম্যানকে জানানো হলে চেয়ারম্যান মহোদয় থানায় ফোন দিবেন বলে জানান।
যাদুরচর ইউপি চেয়ারম্যান সরবেশ আলী বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের নামে কবলাকৃত ও ভোগদখলীয় জমিতে নির্মিত পুকুরটি প্রতি বছর ইজারা দেওয়া হয়। সোমবার রাত ৩টার দিকে স্থানীয় মোশারফ হোসেন, মোস্তফা,জাহাঙ্গীর আলম, কাউয়ুম আলী ও খবিরন বেওয়া নামে ৫জন ব্যক্তি অবৈধভাবে উক্ত জমিতে অনুপ্রবেশ করে জোরপূর্বক ঘর তুলেছে।
বিষয়টি জেলা প্রশাসক,ইউএনওসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। এতে রৌমারী সদর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা সাহাদৎ ও সার্ভেয়ার আব্দুল আউয়ালের প্রত্যক্ষ মদদ রয়েছে বলেও অভিযোগ করেন। তিনি আরো বলেন, কোনো প্রকার যাচাই-বাছাই ও মাঠ জরিপ ছাড়াই ওই দুই ভূমি কর্মকর্তা ইউনিয়ন পরিষদের দলিলকৃত ও দখলীয় পুকুরের একাংশ অবৈধ পন্থায় ওই ৫ ব্যক্তির নামে ভূমিহীন বন্দোবস্ত দিয়েছেন বলে জানতে পেরেছি।
যাদুরচর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন সবুজ বলেন,চেয়ারম্যান সরবেশ আলীর গাফিলতিতে যাদুরচর ইউনিয়ন পরিষদের পুকুরটি বেদখল হয়ে যাচ্ছে। উপজেলা ভূমিহীন বন্দোবস্ত কমিটিতে থাকার পরও কীভাবে ইউনিয়ন পরিষদের জায়গা অন্যের নামে হয়ে যায়?
রৌমারী উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার আব্দুল আউয়াল বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের পুকুর ১নং খাস খতিয়ানভূক্ত হওয়ায় জমিটি ভূমিহীন বন্দোবস্ত দেওয়া হয়েছে।
সাবেক যাদুরচর ইউনিয়ন ও রৌমারী সদর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা সাহাদৎ হোসেন। বলেন বিধি মোতাবেক সব করা হয়েছে।
রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল ইমরান বলেন, অবৈধভাবে ভূমিহীন বন্দোবস্ত দিয়ে থাকলে তা তদন্ত করে বাতিল করা হবে।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.