এস এম মাসুদ রানা
বিরামপুর (দিনাজপুর)প্রতিনিধি-
দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার ৭টি ইউনিয়ান ও একটি পৌরসভায় প্রথমবারের মত চাষ হচ্ছে সূর্যমুখী ফুলের। সূর্যমুখী চাষ করে এলাকায় প্রথমবার ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন বিরামপুর উপজেলার দুই ইউনিয়নের সূর্যমুখী চাষী জোনাব আলী ও জহুরুল ইসলাম। শুধু তারাই নয় আরও অনেক কৃষক এবার তাদের জমিতে সূর্যমুখীর ফুলের চাষ করেছে।
তথ্য মতে জানা যায়-বিরামপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে ভোজ্য তেলের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে প্রথমবারের মত বিরামপুর উপজেলার পৌরসভাসহ কয়েকটি ইউনিয়নে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করা হচ্ছে। অনাবাদি জমিতে প্রথমবারের মত পরীক্ষা মুলক ভাবে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করা হয়েছে। তাই এ সকল জমিতে সূর্যমুখী ফুল চাষ করে ভালো ফলন পাওয়ার আশা করছেন সংশিষ্ট্যরা। দু'টি ইউনিয়নে দেখা যায়-গাছে গাছে ফুটেছে সূর্যমুখী ফুল। এসব ফুলেই স্বপ্ন দেখছেন স্থানীয় কৃষকরা। বাগানগুলো সড়কের পাশে হওয়ায় দূর থেকে তাকালে যে কারও মনে হতে পারে আকৃষ্ট। প্রকৃতি যেন হলুদ গালিচা বিছিয়ে দিয়েছে, যেখানে সাময়িক সময়ের জন্য হারিয়ে যেতে মন চায়।
কৃষক জোনাব আলী বলেন, আমি ১ বিঘা জমিতে আরডিএস-২৭৫ জাতের সূর্যমুখীর বীজ লাগিয়েছি। এর আগে এই এলাকায় এই ফসলটি চাষ হয়নি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে আমি সূর্যমুখীর চাষ শুরু করি। এখন ফলন দেখে আমি অনেক খুশি। তিনি আরও বলেন-প্রতিদিনই অনেক দুর দুরত্ব থেকে আমার বাগান দেখার জন্য ভ্রমণপিয়াসী দর্শনার্থী আসে। তারা ছবি তুলে আবার ফেজবুকে আপলোড দিচ্ছে। তা দেখে আমার অনেক ভালো লাগে।
কৃষক জহুরুল ইসলাম বলেন, আমি ৩ বিঘা জমিতে আরডিএস-২৭৫ জাতের সূর্যমুখীর বীজ লাগিয়েছি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে ও দিক নির্দেশনায়য় সূর্যমুখী চাষ শুরু করছি। তিনি আরো জানান- আমি আমান জমি থেকে (প্রায়) ২৪ মন বীজ পাবো এ মৌসুমে।
বিরামপুর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা নিকছন চন্দ্র পাল জানান-এবার এই মৌসুমি উপজেলার ৭টি ইউনিয়ান এবং একটি পৌর সভায় ১৩৫ জন কৃষককে বিরামপুর উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর থেকে বীজ প্রণোদনা দেয়া হয়েছে। দিওড়, জোতবানী ও বিনাইল ও খানপুর ইউনিয়নে সূর্যমুখীর ব্যাপক চাষ হচ্ছে। এছাড়াও দেশে ভোজ্য তেলের চাহিদা পূরণ করতে এবার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে সূর্যমূখী চাষের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমরা চাষীদের সকল ধরণের সহযোগিতা করে যাচ্ছি। কৃষকেরা সূর্যমূখী চাষ করে লাভবান হবেন বলে আমরা আশা করছি। এ বছর প্রায় ৩৫ হেক্টর জমিতে কৃষক আবাদ করেছে সূযমুখী তেলবীজ।