স্টাফ রিপোর্টারঃ
কয়েক দিন আগে বাংলাদেশের সুনামগঞ্জ জেলায় শাল্লা উপজেলায় ঘটে যাওয়ার খন্ড চিত্র।
শান্তি, সম্প্রতি ও মানবতার ধর্ম ইসলাম। কখনোই গুপ্তহত্যা
কিংবা আত্মঘাতী হয়ে কাউকে হত্যা বা লুটতরাজ ইসলাম অনুমোদন করেনা। রাসুল মুহাম্মদ( সাঃ) বদরের যুদ্ধ সহ বিভিন্ন যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি কিন্তু কখনো তাঁর সহযোদ্ধা
বা সাহাবাদের শত্রু পক্ষের কাউকে গুপ্তহত্যা বা আত্মঘাতী
হওয়ার নির্দেশ প্রদান করেননি। বা দিয়েছিলেন এমন কোন
নজির পাওয়া যায়না। রাসুল মোহাম্মদ( সাঃ) ঐতিহাসিক 'মদিনা সনদ ' এর ভিত্তিতে মদিনা ও এর পাশ্ববর্তী এলাকার বিভিন্ন ধর্ম গোত্রের মানুষকে একটি চুক্তিতে আবদ্ধ করে একটি জাতি (কওম)রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সূচনা করেছিলেন। মদিনা
সনদে চুক্তি ভুক্ত মুসলমান, ইহুদি, খিষ্টান সহ সব ধর্ম ও
সম্প্রদায়ের মানুষকে একটি রাষ্ট্র ব্যবস্হার আওতায় এনে
নিজ নিজ ধর্ম পালনের অধিকারের পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় সকল
সুযোগ সুবিধা ও সমঅধিকার সুনিশ্চিত করা হয়েছিল। রাসুল মুহাম্মদ সাঃ এই মদিনা সনদ বিশ্বের এক অন্যন্য নজির হয়ে
আছে। মহান আল্লাহ তাআলা তাঁর বিশ্বাসীদের চরমপন্থা
পরিহার করে মধ্যেপন্হা অবলম্বনের নির্দেশ দিয়েছেন পবিত্র কুরআনে সীমা লঙ্ঘনকারীদের বারংবার সতর্ক করেছেন।
তবে বাংলাদেশী মৌলবাদ ও জঙ্গিদের বক্তব্য অবস্থান ও
কর্মকান্ড থেকে এটাই স্পষ্ট তাদের অবস্থান বাংলাদেশের সংবিধান, আইন, বিচার ব্যবস্হা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে।
ইতিমধ্যে বাংলাদেশে ধর্মের কারণে যে সকল ছোট বা বড় যে কোন ঘটনা ঘটে থাকুক না কেন ? আমার ধারণা সমস্ত ঘটনাই
অহেতুক, অযুক্তিক ও যথাযথ প্রমাণ ছাড়াই ঘটে থাকে।
আমাদের প্রিয় নবীজির আসা ও যাওয়ার পথে যে বুড়ি কাটা
দিয়ে রাখতেন, হঠাৎ করে পথে কাটা না দেখে প্রিয় নবীজি যে ভাবে সশরীরে বুড়ির খোঁজখবর নিলেন এবং উনার সাথে যে
ধরনের আচরণ করেছেন, আমরা সকল মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষজন কি সংখ্যালঘুদের সাথে এই ধরনের আচরণ করতে পারিনা?
সাথে সুনামগন্জে ঘটে যাওয়া হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।