|| ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
উলিপুরে “গাড়ি আটক” চাঁদা না পেয়ে ইট ভাটায় হামলা,ভাঙচুর-দৈনিক বাংলার অধিকার
প্রকাশের তারিখঃ ১৩ মার্চ, ২০২১
কুড়িগ্রামের উলিপুরে আটারো পাইকার গ্রামের ইট ভাটার মালিক মোছাঃ ছখিনা বেগম, এর কাছে আনুমানিক ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে টাকা না পেয়ে তার মালিকানাধীন ইটের ভাটায় হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা।
এ ঘটনায় ছখিনা বেগম তার ছেলে মোঃ ওবাইদুল হোসেন দুইজনকে প্রত্যক্ষদর্শী করেন। মোঃ ইব্রাহিম ইসলাম (৫৫) পিতা মোঃ শমসের আলী সরকার,এবং তার ছোট ভাই মোঃ ফুলবাবু ইসলাম (৪৫) পিতা শমসের আলী সরকার,
রিপোর্ট করা পর্যন্ত মামলার প্রস্তুতি চলছে।
উলিপুর উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের আটারো পাইকার এলাকায় তার মালিকানাধীন ইটের ভাটা জিমি ব্রিকস প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ইব্রাহিম তার ছোটভাই ফুলবাবু বাহিনী নিয়ে চাঁদা দাবি করে আসছিলো।
ঘটনা পরিদর্শন করলে জানাযায়, ১১ ই মার্চ অর্ধ দুপুরবেলায় আনুমানিক দেড়টার দিকে ৪০ হাজার ইট কুড়িগ্রামের উদ্দেশ্যে গাড়ি লোড করে পাঠান। সব গাড়ী গেলেও তিনটি গাড়িকে আটক করে দেন মন্ডলেরহাট বাজারের উত্তরে ২৫ গজ দূরে রামেশ্বর গ্রামে ইব্রাহিম ও ফুলবাবু তার বাহিনী লোকজন নিয়ে তার বাড়ির সামনে তিনটি গাড়িকে আটক করে দেন। গাড়ি চালকের নামঃ মোঃ রফিকুল ইসলাম,(২৮)পিতা মোঃ জলিল সরকার,গ্রাম আটারো পাইকার,মোঃ শাহিন মিয়া,(২৫)পিতা মোঃ কুদ্দুস আলী,মোঃ শাহেদুল ইসলাম,(২২)পিতা আবুল হোসেন, এবং ড্রাইভারদের উপরে বেধড়ক গালিগালাজ করেন পরে ফুলবাবু বড় ভাই ইব্রাহিম বাড়ি থেকে রামদা নিয়ে এসে ড্রাইভার দের উপর কোপানো খুন করার বিভিন্ন হুমকি ধমকি দেয় কোনরকম প্রাণ নিয়ে পালিয়ে আসে তারা।
পরে কোনো আশ্বাস না পেয়ে ইব্রাহিম ও তার ছোট ভাই ফুলবাবু তার বাহিনীর লোকজন নিয়ে। ইটভাটায় চলে আসে এসেই মোছাঃ ছখিনা বেগম ও তার ছেলে ওবাইদুল ইসলাম সহ তার ম্যানেজার মোঃ মজিবর রহমান( ৪০) বেধড়ক মারপিট চালায় ভাঙচুর করেন।
ম্যানেজারের রুম ইট এবং ইটভাটার শ্রমিকদের ওপর হামলা চালায় পরে ৫ লক্ষ টাকার মুক্তিপণ দাবি করেন চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তারা জিমি ব্রিকস এর অফিস কক্ষে হামলা ও ভাঙচুর করে। ইব্রাহিম ও তার ছোটভাই ফুলবাবু বাহিনী লোকজন নিয়ে। এ সময় দুর্বৃত্তরা ক্যাশ বাক্সের তালা ভেঙে ইট বিক্রি ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
ফুলবাবু তিনি জানান,আমি সাইদুর এর কাছে কিছু টাকা পাই একাধিকবার দেওয়ার পরেও টাকা দিচ্ছে না এই কারণে তার তিনটি গাড়ি আমি আটক করি কিন্তু তার ইটভাটার অফিস ভাঙচুর করিনি আমি বা আমার লোক করেনি ৷
উলিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে ব্যবস্থা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ৷
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.