|| ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চ্যুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে ‘কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আইন,চূড়ান্ত অনুমোদন
প্রকাশের তারিখঃ ৯ মার্চ, ২০২১
কুড়িগ্রামে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে আইনের খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মঙ্গলবার (৯ মার্চ) ভার্চ্যুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে ‘কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আইন,২০২১’ এর খসড়ার অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, এর আগে মন্ত্রিসভা থেকে প্রাথমিকভাবে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। তারপর ভেটিং শেষে আবার নিয়ে আসা হয়েছে এবং আজকে যার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
তিনি জানান, অন্যান্য কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনগুলোকে অনুসরণ করে নতুন এ আইন করা হচ্ছে। নতুন এ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন হলে দেশে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হবে ৪৬টি, আর বর্তমানে ১০৭টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন রয়েছে।
বর্তমানে বাংলাদেশে সাতটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় চালু আছে।
আরও পড়ুন : ঠাকুরগাঁওয়ে বিয়ের প্রলোভনে অন্যের স্ত্রীকে ধর্ষণ, মামলা করায় হুমকি
কুড়িগ্রামে একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য গত বছরের ২১ ডিসেম্বর এ সংক্রান্ত আইনের নীতিগত অনুমোদন দিয়েছিল মন্ত্রিসভা।
খসড়া আইনটি আইন মন্ত্রণালয়ের যাচাই-বাছাই শেষে এর চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হলো।
এ আইনের নীতিগত অনুমোদন দেওয়ার দিন মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেছিলেন, কৃড়িগ্রাম এক সময় মঙ্গাপীড়িত ছিল, সেখানে যদি এ ধরনের বিশ্ববিদ্যালয় হয় তবে গবেষণা হবে, ফার্মিং হবে। এর মধ্যে দিয়ে তাদের অবস্থার আরও উত্তরণ হবে।
“কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা ও ফার্মিংয়ের মাধ্যমে যে টেকনোলজি ডেভেলপ হবে তা কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, লালমনিরহাটে বিস্তৃত হলে ওই লোকজন ফার্মিংয়ের মাধ্যমে ভুট্টা, শাক-সব্জি, মিষ্টি আলু ও মিষ্টি কুমড়া, মাছ উৎপাদনের মাধ্যমে তাদের অবস্থার আরও উন্নত করতে পারবে। ”
কুড়িগ্রামে এ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য নিয়ে সেদিন মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেছিলেন, “ওই এলাকার লোকজনের কৃষি ও সার্বিক অর্থনীতির উন্নয়ন করার লক্ষ্য নিয়ে সেখানে এ বিশ্ববিদ্যালয় করা হচ্ছে। ”
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.