চলতি মৌসুমে আড়াই লাখ টাকার স্ট্রবেরি বিক্রয়ে আশাবাদী জাহেদ। স্ট্রবেরির পাশাপাশি তিনি ১০ শতক জমিতে চাষ করেছেন ক্যাপসিকাম, চায়না টমেটো, আলু, পেঁয়াজ, মরিচ, বরবটিসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি। ইতোমধ্যে স্বল্প পরিসরে গড়ে তুলেছেন এম. জে. এগ্রো এন্ড নার্সারি। নার্সারিতে রয়েছে ক্যাপসিকাম, ড্রাগন, পেঁপে, অ্যালোভেরা, মরিচসহ বিভিন্ন প্রজাতির চারা। তিনি স্বপ্ন দেখছেন কৃষিতে স্বাবলম্বী হওয়ার। জাহেদ জানান, পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ স্ট্রবেরির ভালো চাহিদা রয়েছে। স্ট্রবেরি অনেকটা দুর্লভ ফল, তাই এটি চাষের দিকে মনস্থির করেছেন তিনি। আমাদের দেশে সচরাচর এ ফলের দেখা মেলে না। রাজশাহী থেকে চারা সংগ্রহ করে দুই ইউনিটে ২৩ শতক জমিতে স্ট্রবেরি চাষ করেন তিনি। চারা লাগানোর কিছুদিনের মধ্যে প্রমোসিস ব্লাইট ভাইরাসের আক্রমণে প্রায় ৫০ শতাংশ চারা নষ্ট হয়ে যায়। বাকি চারা থেকে উৎপাদন চলমান। আগামী এপ্রিল মাস পর্যন্ত গাছগুলো থেকে ফল পাওয়া যাবে। এখন পর্যন্ত স্ট্রবেরি চাষে তার ব্যয় হয়েছে প্রায় এক লাখ ত্রিশ হাজার টাকা। তিনি আশাবাদী চলতি মৌসুমে আড়াই থেকে তিন লাখ টাকার স্ট্রবেরি বিক্রি করতে পারবেন। চট্টগ্রাম শহর ও মিরসরাই সদর এবং অনলাইনে তিনি প্রতি কেজি স্ট্রবেরি বিক্রি করেন ১ হাজার থেকে ১২ শত টাকায়। জাহেদ আরও জানান, ২০১১ সালে স্ট্রবেরি চাষে চট্টগ্রামে ৩ দিন এবং পরবর্তীতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মনজুরুল হোসেনের কাছে ৮ দিনের বিশেষ প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। আগামী বছর ৫০ শতক জমিতে স্ট্রবেরি চাষের পরিকল্পনা রয়েছে তার। মিরসরাইয়ের আবহাওয়া স্ট্রবেরি চাষের জন্য খুব উপযোগী। স্ট্রবেরি চাষের ওপর বেকার যুবকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে উদ্বুদ্ধ করার পরিকল্পনাও রয়েছে তার। মিরসরাই উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসের সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শাহজাহান এ ব্যাপারে তাকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রঘুনাথ বলেন, মিরসরাইয়ে স্ট্রবেরি চাষ হওয়ার কথা শুনেছেন। জাহেদসহ স্ট্রবেরি চাষে অন্য উদ্যোক্তারা চাইলে সরকারিভাবে তাদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।কলেজে পড়াশোনার পাশাপাশি ২০১১ সাল থেকে স্ট্রবেরি চাষ শুরু। মাঝে কয়েক বছর নিয়মিত করতে না পারলেও চট্টগ্রাম সরকারি কমার্স কলেজ থেকে মাস্টার্স শেষ করে ফের স্ট্রবেরি চাষ শুরু করেন মিরসরাই উপজেলার খৈইয়াছড়া ইউনিয়নের মোহাম্মদ জাহেদ। যাকে এলাকায় স্ট্রবেরি জাহেদ হিসেবে চেনে সবাই। উচ্চশিক্ষা অর্জন করে চাকরির পেছনে না ছুটে কৃষিকে আদর্শ পেশা হিসেবে গ্রহণ করেছেন তিনি।