আরিফুল ইসলাম খান শাকিল সিরাজদিখান প্রতিনিধি:
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে চলমান নির্মানাধীন রেলসড়কে আন্ডারপাস নির্মাাণের দাবীতে এলাকাবাসী মানববন্ধন করেছে। শনিবার ৩০ জানুয়ারী সকাল সাড়ে ১০ টা থেকে বেলা সাড়ে ১১ টা পর্যন্ত ঘন্টাব্যাপী এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলার কেয়াইন ইউনিয়নের কুচিয়ামোড়া এলাকায় মানববন্ধনে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার হাজারো নারী-পুরুষ অংশ গ্রহণ করেন। এলাকাবাসীর আয়োজনে এ মানবন্ধনে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান,ইউপি সদস্য,শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা একাত্বতা ঘোষণা করেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, কুচিয়ামোড়া মৌজার উপর দিয়ে নির্মিত হচ্ছে রেললাইনের সংযোগ সড়ক। যেটি পদ্মাসেতু হয়ে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের রেললাইনের সড়ক হিসেবে ব্যবহৃত হবে। কুচিয়ামোড়া, ঘোড়ামারা, কেয়াইন, পাথরঘাটা ও বাজারখোলাসহ ৫ টি গ্রামের হাজারো মানুষ এ রাস্তায় চলাচল করে। কিন্তু আন্ডারপাস না থাকায় কুচিয়ামোড়া কলেজগেট থেকে ঘোড়ামারা পর্যন্ত এলজিডির ইটের সলিং এর রাস্তায় চলাচলে বেকায়দায় পরতে হচ্ছে। তাই উল্লেখিত রেলসড়কে আন্ডারপাসটি এলজিইডি’র রাস্তা বরাবর নির্মাণের দাবী জানিয়েছেন তারা।
এ সময় বক্তারা আরো বলেন, কৃষিপণ্য আনা নেওয়াসহ শিক্ষার্থী, বয়স্ক মানুষ, চাকুরিজীবী ও রোগীরা পরবে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে। এখানকার ৮০ ভাগ মানুষ কৃষি নির্ভলশীল। আলু, ধান, সরিষা, শাক-সব্জি সবচেয়ে বেশি উৎপাদন হয় এ এলাকায়। এসব কাঁচা মালামাল প্রতিনিয়ত ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে পাঠানোর একমাত্র রাস্তা এটি। তাই তাদের একমাত্র দাবী আন্ডারপাস করার জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ দ্রæত ব্যবস্থা নিবেন।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন কেয়াইন ইউনিয়ন পরিষদ এর চেয়ারম্যান শেখ আশ্রাফ আলী, ইউপি সদস্য ইকবাল হোসেন,ঘোড়ামারা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি হরিশ চন্দ্র সরকারসহ স্কুল কলেজের শিক্ষক,শিক্ষার্থী ও সাধারন মানুষ ।
এ বিষয়ে সিরাজদিখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ফয়েজুল ইসলাম বলেন, ‘এলাকা পরিদর্শণ করেছি। স্থাানীয়দের সাথে কথা বলেছি। এখানে আন্ডারপাস রাখা না হলে বিপদে পড়ে যাবে শিক্ষার্থীসহ ৪/৫ টি গ্রামের মানুষ। আন্ডারপাস না হলে কৃষকের কৃষিপণ্য মালামাল আনানেওয়া নিয়ে বিপদে পরবে কৃষকেরা । বিষয়টি নিয়ে আমি উর্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করবো।