মোঃমাহফুজুর রহমান বিপ্লব,ফরিদপুর প্রতিনিধিঃ
ফরিদপুর জেলা থেকে বিগত দিনে ছাত্রলীগের প্রতি যে কালোদাগ পড়েছে সেই কালোদাগের কলঙ্ক নব-নির্বাচিত ছাত্রলীগ কমিটি কাজের মাধ্যমে মানুষের মন জয় করে সব কলঙ্ক মুছে দিবে বলে আশা ব্যাক্ত করেন ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তামজিদুল রশিদ চৌধরী রিয়ান। শুধু তাই নয় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ শুরু থেকে যে ভাবে দেশের ও জনগনের সুখে দুঃখে ছায়ার মত থেকে সেবা করে আসছে সেই ধারাবাহিতা ধরে আমরা ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগ সেই আদর্শ বুকে ধারন করে ফরিদপুর বাসীর পাশে থেকে সকল ধরনের বিপদ আপদের সাথী হয়ে সুন্দর একটি আদর্শ নগর গড়ের তুলার জন্য কাজ করে যাবে।
গত (১৯ জানুয়ারি) মঙ্গলবার বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আগামী ১ বছরের জন্য ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তামজিদুল রশিদ চৌধুরী রিয়ান ও সাধারন সম্পাদক মোঃফাহিমের নাম সহ একটি কমিটি ঘোষনা করা হয়। দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে কোন ধরনের আনন্দ উল্লাস না করে রাতদিন একাকার করে শুরু হয় তাদের জনসেবা মূলক কর্মকান্ড, শহর থেকে শুরু করে শহরের বাইরে অসহায় শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরন,বৃদ্ধাশ্রমে সেবা প্রধান,রাতের আধাঁরে রাস্তায় রাস্তায় ঘুড়ে দুঃখি মানুষের ধারপ্রান্তে গিয়ে তাদের খোঁজ খবর নিয়ে সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দেয়াটা তাদের প্রথম কাজের উদ্বোধন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে রিয়ান বলেন, আমার স্কুল জীবন থেকেই আমি রাজনীতি ও লড়াই সংগ্রাম করে আজ একজন রাজনৈতিক সাংগঠনিক শিক্ষক হয়েছি। এর মধ্যে আমাকে অনেক ঘাত প্রতিঘাতের মোকাবেলা করতে হয়েছে, আমি রাতারাতি কোন নেতা হয়নি,নিজে কে সর্বদা মানুষের সেবায় নিয়োজিত রাখার চেষ্টা করেছি,নিজের কাছে যাহা ছিল তাই দিয়ে মানুষের উপকার করে আনন্দ পেয়েছি,আমার উপরে সংগঠনের যে দায়িদ্ব যে
সময় পড়েছে সেটা সঠিক ভাবে পালন করেছি,সংগঠনের বদনাম হয় এমন কোন কাজ আমি কখনো করিনি।
সৃষ্টিকর্তা হয়তো পুরুস্কার হিসাবে আজ আমাকে এই জায়গায় এনেছেন। তার দরবারে লক্ষ্য লক্ষ্য শুকরিয়া জানায়। আমি জানি আজ আমার এই জায়গায় আসার কারনে একটি ছাত্র মহলের অনেকেই আমার উপরে হিংসায় ক্ষিপ্ত হয়ে নানা ধরনের মিথ্যা বানোয়াট কথা আমার বিরুদ্বে আমার সংগঠনের বিরুদ্বে বিভিন্ন ভাবে প্রচারনা করে চলছে, আমি তাদের কে হুসিয়ারি করে বলতে চাই, যারা বঙ্গবন্ধু আদর্শ কে বিশ্বাস করে না মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেক হাসিনার নির্দেশ মানে না, তারা আর যায় হক না কেন আওয়ালীগের সৈনিক হতে পারে না,ছাত্রলীগের কর্মী হতে পারে না।যারা দেশ কে দেশের জনগনকে ভালোবেসে থাকেন তারা সবাই একিত্র হয়ে হিংসা নিন্দা ভুলে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী আদেশ নির্দেশ মেনে নিয়ে দেশ ও জনগনের কল্যানে কাজ করে থাকেন। মনে রাখতে হবে আমরা সবাই জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শে গড়া বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সৈনিক। এখানে কোন দুর্নীতিবাজ, কুচক্রীয় মহল,দেশ বিরুদ্বির কোন কালোছায়ার জায়গায় নেই। আর কেউ সেটা করতে চাইলে শক্তহাতে তাকে দমন করা হবে।