সারাদেশের ন্যায় জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়ক গুলোতে ট্রাফিক পুলিশের কার্যক্রম বৃদ্ধি করা হয়েছে। তারা সড়কে আইন প্রয়োগের পাশাপাশি মহাসড়ক এলাকা গুলোতে সড়কের দুপাশের বসতি পরিবার গুলোর পাশাপাশি সর্বস্তরের মানুষকে সড়ক ও যান বাহন আইন বিষয়ে ও দূর্ঘটনারোধে করনীয় সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধকল্পে নানা কর্মসূচী চালিয়ে যাচ্ছেন। কঠোর হওয়ার পাশাপাশি নমনীয়তাও রয়েছে জেলা ট্রাফিক পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশের চলমান এ কর্মপরিকল্পনায় এরধারাবহিকতায় পৌরশহরের মোহাম্মাদী মসজিদ সংলগ্ন ঢাকা রংপুর মহাসড়কে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের উপস্থিতি দেখতে পেয়ে আইনের ভয়ে পালাতে ঘুরতে গিয়ে সড়ক দূর্ঘটনায় ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে মোটর সাইকেল চালক সাব্বির ইসলাম(২২) ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছেন। এসময় তার টিভিএস এ্যাপাসি বাইকটি ছিঁটকে গিয়ে দুমড়ে-মুচড়ে যায়। নিহত সাব্বির ইসলাম (২২) সাদুল্লাপুর উপজেলার রাঘবেন্দ্রপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে । প্রত্যক্ষদর্শি সূত্রে জানা যায়,অন্যান্যদিনের ন্যায় ১৪ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার দুপুরে এসময় সাব্বির ইসলাম তাঁর মোটরসাইকেল চালিয়ে সাদুল্লাপুর এলাকার নিজ বাড়ী থেকে পলাশবাড়ী শহরের দিকে আসছিলেন । এসময় তার মাথায় হেলমেটও ছিলো না পথিমধ্যে ব্যস্ততম মহাসড়কের পাশে মোহাম্মাদি মসজিদের সামনে এসময় শহরের অদূরে ট্রাফিক পয়েন্টের ওইস্থানে দায়ীত্বরত ট্রাফিক পুলিশের ভয়ে পালাতে গিয়ে বা তাড়া খেয়ে হতকচিৎ সে মোটরসাইকেল ড্রাইভিংয়ের নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ফেলে। এদিকে সড়ক ও জনপথ বিভাগ কার্যালয় ঘেঁষে মহাসড়কের বামপাশে অপর একটি মালবোঝাই ট্রাক দাড়িয়ে ছিল। একইসময় অজ্ঞাত একটি ট্রাক বগুড়া হতে রংপুর অভিমুখে যাচ্ছিল। ঘটনার আকস্মিকতায় চলন্ত ট্রাকটি মোটরসাইকেল চালক সাব্বিরকে চাপা দিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে সটকে পড়ে। এদিকে দুর্ঘটনাস্থলের স্থানীয়রা মুমূর্ষু মৃতপ্রায় সাব্বিরকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। গোবিন্দগঞ্জ হাইওয়ে থানা পুলিশের এসআই জাহিদুল ইসলাম জানান,নিহতের মরদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তর ও মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ট্রাফিক পুলিশের বিষয়ে যেটা বলা হয়েছে সেটা সঠিক নয়। কারণ ট্রাফিক পুলিশের উপস্থিতির স্থান হতে একটু দুরত্বে ছিলো দূর্গটনার স্থান । সড়কের পাশে দাড়িয়ে থেকে সেবা দেওয়ায় ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্ব। তিনি জীবন বাচাতে হলেও সর্বস্তরের মানুষ কে ট্রাফিক আইন মেনে চলার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, মোটরসাইকেল চালকগণ অনেকেই আছেন হেলমেট ব্যবহার করেন না আসলে যদি হেলমেট থাকতো তাহলে হয় তো প্রান বাচতো নিহত সাব্বিরের।