|| ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
বীর মুক্তিযোদ্ধা ফরিদ আলী খানকে অন্যায় ভাবে ইয়ানতাই চাইনিজ রেস্টুরেন্ট লুট করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন-দৈনিক বাংলার অধিকার
প্রকাশের তারিখঃ ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০
বীর মুক্তিযোদ্ধা ফরিদ আলী খানকে অন্যায় ভাবে ইয়ানতাই চাইনিজ রেস্টুরেন্ট
লুটপাট করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন, মিরপুর-১০ নম্বরে একটি চাইনিজ
রেস্টুরেন্টে বুধবার, ৩০ ডিসেম্বর, দুপুরে অনুষ্ঠীত হয়। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে
লিখিত ব্যক্তবে বলেন- আমি বীর মুক্তি যোদ্ধা ফরিদ আলী খান। বিসিক ইলেট্রনি´
কমপ্লেক্স, শিল্প প্লট নং-১/১, মেইন রোড-৩, এভিনিউ-৪, সেকশন-৭, ঢাকা-১২১৬
এর ১ম ও মেজানিন ফ্লোর -২ তলা প্রাথমিক ১০ বছরের জন্য ২০০৫ সালে একটি
ভাড়া চুক্তি করি যাহা ২০১৬ সালের ফেব্রুয়রি পযর্ন্ত প্রাথমিক মেয়াদ উল্লেখ
থাকে।
ভাড়া চুক্তিপত্রে উল্লেখ থাকে যে, ১০ বছরের মেয়াদ অতিবাহিত হওয়ার পরে
বর্তমান চুক্তিপত্রের শর্ত মোতাবেক পরবতিতে চুক্তিপত্র নবায়ন করা যাবে।
ইতমধ্যে দুটি ফ্লোরে আমি ১০,৪২৯ বর্গফুট যায়গা ভাড়া নিয়ে ব্যাংক
হতে বসতবাড়ি বন্ধক রেখে ২,২০,০০,০০০/= (দুই কোটি বিশ লক্ষ টাকা) ঋণ
নিয়ে প্রায় সাত কোটি টাকা বিনিয়োগ করে একটা আধুনিক চাইনিজ
রেষ্টুরেন্ট নির্মান করি। যেখানে ৬৫ জন কর্মচারির কর্ম সংস্থান হয়। ভাড়া
চুক্তির ২নং শর্তে উল্লেখ থাকে যে প্রতি ০৫ বছর অন্তর ১০% হারে ভাড়া বৃদ্ধি
হবে যা একটি চলমান প্রক্রিয়া।
ভাড়া চুক্তির ৫নং অনুচ্ছেদে উল্লেখ থাকে যে প্রাথমিক চুক্তির মেয়াদন্তে উভয়
পক্ষের সম্মতিতে পূর্বের চুক্তির শর্তানুসারে ভাড়া চুক্তি নবায়ন করা যাবে। সে
মোতাবেক ভাড়া চুক্তির র্শতানুসারে নিয়মিত ভাবে ভাড়া ও অন্নান্য বিল
সমুহ পরিশোধ করে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি।
ভাড়া চুক্তির শর্তানুসারে চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্বেই ০৯/০৪/২০১৫ ইং
তারিখে “চাইনিজ রোস্তোরা শিল্প বান্ধব নয় বিধায় ভাড়া চুক্তি নবায়ন না করার
সিদ্ধান্ত গৃহিত হল” মর্মে বিসিক কর্তপক্ষ আমাকে একখান পত্র দেন।
সে মোতাবেক আমি গত ১৪/০৬/২০১৫ ইং তারিখে পুনরায় ১০ বছরের চুক্তি
নবায়নের জন্য আবেদন করি। বিসিক কর্তৃপক্ষ গত ১৩/০১/২০১৬ ইং তারিখে
তাদের পূর্বের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে ০৫ বছরের জন্য নতুন করে নবায়নের সিদ্ধান্ত
গ্রহন করে আমাকে একটা পত্র দেন। কিন্তু সেখানে পূর্বের চুক্তির শর্ত প্রতি
বর্গফুট ১০ টাকা এবং ৫ বছর অন্তর ১০% ভাড়া বৃদ্ধির কথা অমান্য করে
একতরফা ভাবে ৩০০% ভাড়া বৃদ্ধি করে আমাকে একখানা পত্র দেন। এখানে উল্লেখ
থাকে প্রতি বর্গফুট প্রতি ৩০ টাকা এবং সার্ভিস চার্জ ৪টাকা যা
পূর্বের চুক্তি শর্তের সম্পুর্ন পরিপন্থি।
পরবর্তিতে বিসিক কর্তৃপক্ষে এহেন সিদ্ধান্তের পরিবর্তনের জন্য
বিভিন্নভাবে যোগাযোগ করে ফল না পাওয়ায় প্রাক্তন মন্ত্রী কর্ণেল ফারুক খান
এম, পি মহোদয়ের স্মরণাপন্ন হলে তিনি গত ১৯/০৫/২০১৮ ইং তারিখে বিসিক
চেয়ারম্যান বরাবরে পূর্বের ভাড়া চুক্তি অনুসারে নতুন করে চুক্তি নবায়নের
জন্য একটা ডি,ও লেটার প্রেরণ করেন। তথাপি বিসিক কর্তৃপক্ষ ডি,ও লেটারের
প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন না করে আমাকে করোনা কালীন সময় গত ০৩/১০/২০২০
ইং তারিখে সরকারী ছুটির দিনে আমাকে উচ্ছেদের কোন নোটিশ না দিয়ে
সমস্ত মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায় এবং অন্যায় ভাবে উচ্ছেদ করে। উল্লেখ থাকে যে,
অক্টোবর ২০২০ ইং মাস পর্যন্ত নিয়মিত ভাবে পূর্বের রেটে ভাড়া সম্পুর্ন পরিশোধ করিয়াছি।
আমাকে করোনা কালীন সময় বিনা নোটিশে উচ্ছেদ করে
এবং সমস্ত মূল্যবান জিনিসপত্রসহ ব্যক্তিগত/পারিবারিক এবং রেষ্টুরেন্ট
সংশ্লিষ্ট সকল কাগজ পত্র ভাংচুর ও লুট করে নিয়ে যায়। বর্তমানে আমি প্রায়
দুই কোটি টাকা ব্যাংক ঋণের বোঝা ঘাড়ে নিয়ে এবং ব্যবসার সাত কোটি টাকা পুজি হারিয়ে সর্বসান্ত হয়েছি।
মুক্তিযুদ্ধা ফরিদ আলী দৈনিক বাংলার অধিকার কে জানান - আমার প্রতি যে চরম অন্যায় ও
অবিচার হয়েছে আমি তার প্রতিকার চাই।
আমি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও গণতন্ত্রের মানসকণ্যা
জননেত্রী প্রধান মন্ত্রীর কাছে আমার উল্লেখিত বিষয় সুদৃষ্টিদানে আপনার
হস্তক্ষেপসহ আমার প্রতিষ্ঠান ফিরে পেয়ে ব্যাংক ঋণের দায় হতে
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.