ফরিদপুর সংবাদদাতাঃ
দেশে কিশোর অপরাধীর সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে, যা সমাজ, দেশ ও জাতির জন্য ভাবনার বিষয়। শেকড়েই এ সমস্যার সমাধান করা না গেলে বাংলাদেশ একসময় অকার্যকর রাষ্ট্র হিসেবে বিবেচিত হবে।
স্কুলপড়ুয়া কিংবা সদ্য কলেজে ভর্তি হওয়া কিশোর-কিশোরীরা বর্তমানে বিভিন্ন সামাজিক অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। চুরি, ছিনতাই, খুন, ধর্ষণের মতো মারাত্মক অপরাধেও জড়িয়ে পড়ছে এরা। দিন দিন এরা যেন অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠছে। এই সমাজে জন্ম নিয়ে এ সমাজেই ত্রাস সৃষ্টি করছে এরা।
বিভিন্ন কারণে এই কিশোররা অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত হচ্ছে, গ্যাং তৈরি করে হয়ে উঠছে সন্ত্রাসী। উন্নত প্রযুক্তির অপব্যবহার, রাজনৈতিক ছত্রছায়া কিংবা অভিভাবকদের অবহেলা এর অন্যতম, তেমনি চিত্র ফুটে উঠেছে ফরিদপুর সদরের ২৭নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায়, কে রুখবে এদের কে
মাদকসেবন,বিক্রিয়,ইভটিজিং,চুরি,ছিনতাই,মারামারি,জুয়া খেলা, টাকার বিনিময়ে জমি দখল,অধিক মুুুনাফায় সুধের কারবার সহ বিভিন্ন অপকর্মে জড়িয়ে পরে মোটর সাইকেল বহর নিয়ে বিভিন্ন এলাকা দাফিয়ে চলছে। এই বাহিনীর ক্ষমতার দাপট এতোটাই বেশি কেউ কোন প্রতিবাদ করতে গেলে তার উপর বা তার পরিবারের উপর নেমে আসে নির্ণম নির্যাতন।
কাফুড়া,গেরদা,বোকাইল,বিলমামুদপুর, গ্রামের একাদিক ব্যাক্তি জানায়,বর্তমান এই এলাকাগুলোর পরিস্থিতি এতোটায় ভয়ংকর আকাঁর ধারন করেছেন যে কোন ভদ্ররলোক,সাধারন মানুষ রাস্তাঘাটে চলফেরা করতে গেলে ভয় এবং আতঙ্কিত হয়ে করতে হয়।
কাফুড়া কবর স্থান, পুলিশের ভিটা,কালি মন্দির,বাবুর ভিটা মাঝিপাড়া, রেললাইনের পাশে নুরাব্যাপারির মেহগনির বাগন, নামক
জায়গাগুলো এই বাহিনীর প্রধান স্থান। কারন এদের বিশ্বাস আইন প্রশাসন হামলা করলে ও তাদের ধরতে পারবে না। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত শহর থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্থান থেকে আসা মোটর সাইকেল বহর নিয়ে কিশোর বাহিনী এই স্থানগুলো দখল করে তাদের অপকর্ম চালিয়ে চলছে।
আর এদের মধতদাতা হিসাবে কাজ করে চলছে এলাকার কিছু ও নামধারী নেতা ও বড়ভাইয়েরা যাদের ছত্রছায়ায় থেকে এলাকা জুড়ে গড়ে তুলছে এই বাহিনীর ত্রাসের রাজ্বত।
নাম না প্রকাশ সত্যে একাদিক এলাকাবাসী জানান, এই এলাকাগুলো পরিচালনা করতো এক সময়ের ক্ষমতাধর ব্যাক্তি শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি মানি লন্ডিং মামলার প্রধান আসামীর একজন খন্দকার নাজমুল ইসলাম লেভী ও সাবেক মন্ত্রী খন্দকার মোশারব হোসেনের এপিএস ফোহাদের আস্তভাজন গেরদা গ্রামের বাসিন্দা কোতায়ালী থানা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক শাহ্ মোঃ এমার হক।
এমার হক বর্তমান তার অপকর্মের জন্য ঘা-ডাকা দিলে ও তার অপকর্ম থেমে নেই, তার তৈরী করা সন্ত্রাসী বাহিনীর প্রধানরা এক এক জন একটি করে এলাকা পরিচালনা করে থাকেন।
এবংতাদের প্রধান টার্গেট স্কুল,কলেজে পড়ুয়া উঠান্ত বয়সের কিশোর ছেলেরা। আর এদের খপ্পরে পড়ে এই কিশোর ছেলেগুলো বিভিন্ন অপকর্মে জড়িয়ে পড়ছে। অসহায় পিতামাতারা শুধু কান্না জড়িত চোখে তাকিয়ে থাকে, ছেলেমেয়েরা তাদের কথাবার্তা শুনে না, পিতামাতারা সন্তানদের সাথে না পারুক।
গেরদা ইউনিয়নের রেললাইনের চত্বরের আশেপাশের বিভিন্ন অপকর্মে মূলহোতা এমার হকের বউয়ের ভাই (শালা) এবং খন্দকার লেভীর ভাতিজি জামাই সেক সাগর। যার অপকর্মের চিত্র একাদিকবার পত্র পত্রিকায় তুলে ধরলে ও আইন প্রশাসনের চোখে ধূলো দিয়ে বুক ফুলিয়ে দুলাভাই ও চাচা শ্বশরে দাপটে এলাকায় বিভিন্ন অপকর্ম করে চলছে,তার সহযোগী আছে মাদক ব্যাবসায়ীও সেবনকারী বনোব্যাপারী,টিটনব্যাপারী,ইসমাইল,
শাহাজানসহ নাম না জানা অনেকেই।
২৭নংওয়ার্ড আওয়া লীগের সাধারন সম্পাদক সেলিম মল্লিক এবং পাশের পূর্ব কাফুরা গ্রামের, মৃত হাতেম সেকের ছেলে সেক শহীদ,যিনি ফরিদপুর মেডিকেল হাসপাতালের ওয়ার্ডবয়ে চাকুরি করে এলাকায় নিজেকে ডাক্তার পরিচয় দিয়ে গ্রামের ছোটবড় সবাইকে হাত করে জামাত শিবির গড়ে তুলার পাশাপাশি
এই বাহিনীর প্রধান বড়ভাই,তার সাথে থাকা ইউপি মেম্বর সেক জিলু, যুবলীগ নেতা মোস্তফা, মতিয়ারসহ একাদিক ব্যাক্তি এই কিশোর গ্যাংক বাহিনীর মধতদাতা।
এই বাহিনী দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় মাদক সাপ্লাই দিয়ে থাকেন,নেতা ও মধনদাতাদের বিশ্বাসিত গুপ্তচর,কাফুরা গ্রামের মাদকের সম্রাট নুরা ব্যাপারীর নাতি সেক রুবেল, সেক হাকিমের দুই ছেলে সোহেল,সুজাত, সয়লা মল্লিকের ছেলে আবজাল, স্বপন,মুন্সিবাজারে অবস্থিত গ্রামম্ব চান্দা ডাক্তারের ছেলে দুরদাষ্য ডাতাত সেক এলো, ডিশ শাহন, বিলার ভাই নিরুসহ একাদিক ব্যাক্তি।
এদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপকর্মের অপরাদে কোতায়ালী থানায় নানা ধরনের অভিযোগ রয়েছে তার পরিপ্রেক্ষিতে আইন প্রশাসন আটক করলে ও কিছুদিন পর বের হয়ে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠছে।
এলাকাবাসী আরো বলেন, আইন প্রশাসন যদি এদের বিরুদ্বে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে আইনের আওতায় নেয়া হয় তবে সমাজের আরো অনেক অপকর্মের ঘটনা বের হয়ে আসবে।এবং সমাজে ছেলেমেয়েরা নিজের কে অপরাদ থেকে বিরত থাকবে।তার কারন নামধারী কিছু নেতা ও এলাকার মাত্তুব্বর, বড়ভাইরা নিজের সার্থ আসিল করার লক্ষে এই সব স্কুল কলেজে পড়ুয়া ছেলেদের দিয়ে বিভিন্ন অপকর্ম করিয়ে চলছে।