|| ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২১শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
কুয়েতে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত-দৈনিক বাংলার অধিকার
প্রকাশের তারিখঃ ২০ ডিসেম্বর, ২০২০
উৎসাহ উদ্দীপনার মাধ্য দিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় কুয়েতে মহান বিজয় দিবস পালিত হয়েছে। কুয়েতে অবস্থানরত বাংলাদেশ দূতাবাস আঙিনায় ১৬ ডিসেম্বর সকাল ৯ টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্য দিয়ে দিবসটির আনুষ্ঠানিক কার্যক্রমের সূচনা করা হয়। বাংলাদেশের মান্যবর রাস্ট্রদূত মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশিকুজ্জামানের সভাপতিত্বে পতাকা উত্তোলনকালে উপস্থিত ছিলেন কুয়েতের সামাজিক, রাজনৈতিক ব্যাক্তিবর্গ ও দূতাবাসের কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ । পরে বিজয় দিবসের উপর আলোচনা সভা ,বানী পাঠ , মহামান্য রাট্র্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও প্রদর্শনী , বঙ্গবন্ধু কর্নার উদ্ভোধন , শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠানের উপস্থাপনায় ছিলেন দূতাবাসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা সাজেদুল ইসলাম । মাওলানা হাফেজ জাকির হোসেনের পবিত্র কোরান তেলওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান আরাম্ভ হয় । দেশ থেকে পাঠানো মহামান্য রাস্ট্রপতির বানী পাঠ করে শুনান দূতাবাসের ডিফেন্স এ্যাটাশে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবু নাসের , মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বানী পাঠ করে শুনান দূতাবাসের শ্রম কাউন্সিলার আবুল হোসেন , পররাস্ট্র মন্ত্রীর বানী পাঠ করে শুনান দূতাবাসের পাসপোর্ট ও ভিসা বিষয়ক কাউন্সিলর মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম খাঁন , পররাস্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বানী পাঠ করে শুনান দূতাবাসের প্রথম সচিব ও দূতালয় প্রধান নিয়াজ মোর্শেদ । মহান বিজয় দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনায় অংশ নেন কুয়েত কমিউনিটির নেতৃস্থানীয় নেতা কর্মিরা ।
অনুষ্ঠানের সমাপনী বক্তব্য রাখেন মান্যবর রাস্ট্রদূত মেজর জেনারের মোহাম্মদ আশিকুজ্জামান । তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত , জাতীয় ৪ নেতা সহ সমস্ত শহীদের মাগফেরাত কামনা করেন । তিনি বলেন , আমাদের দেশ যদি ১৯৪৭ সনে ভাষাবিত্তিক স্বাধীন হত তবে তা হত আসাম ,ত্রিপুরা , পশ্চিমবঙ্গের বাংলা ভাষাভাষিদের নিয়ে বৃহত্তর বাংলাদেশ কিন্তু তা না হয়ে কুচক্র মহলের ইন্দনে দেশ ভাগ হল ধর্মভিত্তিক , যা হাস্যকর হলেও সত্য ১০০০ মাইল দূরের পশ্চিম পাকিস্তানের মুসলিমদের মিলিয়ে দেওয়া হল আমাদের সাথে । তাই এটাতে ভাঙ্গনের সুর জন্ম থেকেই শুরু হয়েছিল । পশ্চিম পাকিস্তানীরা আমাদের ২৫ বৎসর নির্যাতনের পর জাতির পিতার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দীর্ঘ্য সংগ্রাম ও অত্যন্ত দূরদর্শি নেতৃত্বের ফলে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা পেলাম । এই স্বাধীনতার মূল্য আপনাদের , আমাদের বুঝতে হবে । এই মহান বিজয়ের মূল্যবোধ আমাদের নতুন প্রজন্মদের শিক্ষা দিতে হবে । ওদের গড়ে তুলতে হবে জাতির পিতার নীতি আদর্শে - ওদের গড়ে তুলতে হবে দেশ পরিচালনার যোগ্য করে - আর এ মহান দায়িত্ব সমস্ত বাবা-মা’য়ের । তিনি আরও বলেন , মানব সম্পদ অভিশাপ নয় , মানবসম্পদ আর্শিবাদ - এটি আল্লাহ প্রদত্ত একটি Asset . এ মানবসম্পদ আছে বলেই আমরা বিদেশে এসে রেমিট্যান্স যোদ্ধা হয়ে দেশের অর্থনীতির প্রবাহকে বেগমান করতে পেরেছি । আজ আমাদের দেশের ছেলেরা আইটি ( IT ) সেক্টরে কাজ করছে ৫ থেকে ৬ লক্ষ । ওরা বেশীর ভাগই স্বনির্ভর - আমাদের গার্মেন্টস সেক্টর , যা থেকে কোটি কোটি টাকা উপার্জন করছে দেশ । মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ অনেক দূর এগিয়ে গেছে / আরও এগিয়ে যাবে । আপনারা সবাই জননেত্রীর জন্য ওঁনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে দোয়া করবেন । জাতির পিতার স্বপ্ন সোনার বাংলা গড়তে আমাদের প্রজন্মরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করে যাচ্ছে - জয় আমাদের হবেই হবে ।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.