মিরসরাই ( চট্রগ্রাম ) প্রতিনিধিঃ
রোকসাানা আক্তার প্রকাশ ঢাকাই সুন্দরী প্রতারক লিলির মিথ্যা মামলার প্রতিকার চেয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে মিরসরাইয়ের প্রবাসী পরিবার।
রবিবার (২৯ নভেম্বর) সকাল ১১টায় মিরসরাই প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। এসময় প্রবাসী পরিবারের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন পিতা আবুল কালাম, বড় ভাই রেজাউল করিম, বোন বিবি রহিমা ও ভগ্নিপতি জসিম উদ্দিন।
সংবাদ সম্মেলনে ভূক্তভোগী পরিবারের পক্ষে রেজাউল করিম লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমার ছোট ভাই ইউনুসের সাথে রোকসানা আক্তার প্রকাশ ঢাকাই সুন্দরী লিলি ও তার স্বামী জাকির হোসেনসহ ঢাকার একটি শক্তিশালী প্রতারক চক্র কৌশলে পারিবারিক সখ্যতা তৈরি করে আমার ভাইয়ের কাছ থেকে কৌশলে ২০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এছাড়া আরো ১৫ লক্ষ টাকা দাবি করে সেই টাকা না দেওয়ার কারণে প্রতারক লিলি ও তার চক্র ভূয়া কাবিন বানিয়ে আমার ভাই ও আমাদের পরিবারের সকলের বিরুদ্ধে একের পর এক হয়রানিমূলক মামলা করে আমাদের স্বাভাবিক জীবন বিষণ্ন করে তুলেছে। রোকসানা আক্তার প্রকাশ ঢাকাই সুন্দরী লিলি একজন সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র দলের সদস্য। তার পেশা প্রবাসী যুবকদের ফেইসবুকে কৌশলে বন্ধু তালিকায় যুক্ত হয়ে যৌন আবেগকে কাজে লাগিয়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলে তাদের সর্বস্ব হাতিয়ে নেওয়া।
তিনি আরো বলেন, সম্পর্কের প্রথম দিকে প্রতারক সদস্য লিলি যুবকদের কাছে নিজেকে পিতা-মাতাহীন এতিম অসহায় নারী হিসেবে প্রকাশ করে মানুষের কোমল মনে স্থান করে নেয়। কিন্তু সময়ের ব্যবধানে বেরিয়ে আসে তার আসল চরিত্র। আমার প্রবাসী ভাই ইউনুসকে ছলে-বলে কৌশলে আর্থিক লোভ দেখিয়ে তার স্বামীর ব্যবসায়ের অংশীদার করার কথা বলে ২০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। পরবর্তীতে আমার ভাই ইউনুস যখন বুঝতে পারে লিলি ও তার স্বামী একটি প্রতারক চক্রের সদস্য তখন লিলির থেকে দূরে সরে যেতে চাইলে তারা গোপন ভিডিওর ভয় দেখিয়ে আরো ১৫লক্ষ টাকা দাবি করে। ১৫ লক্ষ টাকা না দিলে প্রতারক লিলি আমার ভাইয়ের সাথে লিলির বিয়ে হয়েছে মর্মে দুটি ভূয়া কাবিন তৈরি করে আদালতে দাখিল করে। দেনমোহর ও বরণ পোষণ বাবদ একাধিক দাবি মামলা করে ঢাকার একটি আদালতে। প্রতারক লিলি মামলার নথি হিসেবে আদালতে জমাকৃত প্রথম কাবিনটি আদালতের নির্দেশে নিকাহ রেজিষ্টারের সত্যতা যাচাই করলে নিকাহ রেজিষ্টার কর্তৃক ভূয়া কাবিন বলে প্রমাণিত হয়।
প্রথম কাবিন ভূয়া প্রমাণিত হওয়ার পর প্রতারক লিলি ও তার চক্র পুনরায় আরেকটি ভূয়া কাবিন তৈরি করে আদালতে দাখিল করে যা এখনো তদন্তাদিন রয়েছে। আমরা আশা করছি দ্বিতীয় কাবিনও ভূয়া বলে প্রমাণিত হবে। ১৫ লক্ষ টাকা দিতে রাজি না হলে ইউনুসকে আসামি করে ভরন পোষণ ও দেনমোহর বাবদ প্রায় ২০ লাখ টাকা চেয়ে তৃতীয় সিনিয়র সহকারী জজ ও পারিবারিক আদালত, ঢাকা বরাবর মামলা করে। এছাড়া পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের হয়রানি করতে সকল সদস্যদের আসামী করে পারিবারিক সহিংসতা(প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইনে মামলা করে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে। এতে আসামী করা হয়েছে ইউনুসসহ বৃদ্ধ পিতা-মাতা, বোন, জামাতাসহ সাত জনকে।
এছাড়া চট্টগ্রাম আদালতেও একটি মামলা করেছে যা আমাদের অজান্তেই আমাদের নামে ওয়ারেন্ট হয়। তার হয়রানি থেকে আমরা পরিত্রাণ চাই। আদালতে ভূয়া প্রমাণিত কাবিনের বিরুদ্ধে আমরা চট্টগ্রাম আদালতে প্রতারণা মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
ইউনুস পরিবারের অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে ইমোতে অডিও বার্তায় রোকসানা আক্তার লিলি সাংবাদিকদের বলেন, প্রতারক আমি না ওরা? সব ডকুমেন্টস আছে। কি ডকুমেন্টস চাই আপনাদের। ও আমার সাথে প্রতারণা করছে। আমার কাছ থেকে টাকা নিয়েছে। ওর গ্রামের চেয়ারম্যন-মেম্বার সবাই আমার পক্ষে আছে। ওর গ্রামের মেম্বার চেয়ারম্যান ওর পক্ষে কথা না বলে আমার পক্ষে কথা বলে। কারণ প্রমাণ ছাড়া পৃথিবীতে কেউ কারো পাশে দাড়ায় না।