|| ২৮শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১৩ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২৬শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
মিরসরাইয়ে তিন ফসলি জমি অধিগ্রহণ না করার দাবিতে মানববন্ধন-দৈনিক বাংলার অধিকার
প্রকাশের তারিখঃ ২৪ নভেম্বর, ২০২০
মিরসরাইয়ে তিন ফসলী কৃষি জমি অধিগ্রহণ না করতে মানববন্ধন করেছে কৃষকরা। মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) উপজেলার করেরহাট ইউনিয়নের জয়পুর পূর্ব জোয়ার মৌজার প্রায় ৩৭ একর জমির মালিক, বর্গাচাষী, জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয়রা অংশগ্রহণ করেন।
ভূমি অধিগ্রহণ প্রতিরোধ কমিটির উদ্যোগে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। ‘ফসলী জমি ধ্বংস করে বিদ্যুতায়ন, অশুভ চক্রান্ত রুখে দাঁড়াও জনগণ’; ‘বিদ্যুৎ নয় খাবার চাই, ফসলী জমির বিকল্প নাই’, ‘বাপ-দাদার তিন ফসলী জমি লুটে নিতে চায় কোন হারামী’- সহ বিভিন্ন বক্তব্য ব্যানার, ফেস্টুনে তুলে ধরে ফসলী জমিতে মানববন্ধন করে।
জানা গেছে, উপজেলার করেরহাট ইউনিয়নের জয়পুর পূর্ব জোয়ার মৌজায় ১নং সীটে তিন ফসলী কৃষি জমিতে বিদ্যুতের সাব ষ্টেশন স্থাপন করার জন্য অধিগ্রহণের নোটিশ জারি করে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহণ বিভাগ। জমি অধিগ্রহণ না করার জন্য শুরু থেকে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে স্থানীয় কৃষক ও জমির মালিকরা। ভূমি অধিগ্রহণ প্রতিরোধ কমিটির উদ্যোগে ভূমি অধিগ্রহণ না করতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, মিরসরাইয়ের সংসদ সদস্য, কৃষি মন্ত্রণালয়, ভূমি মন্ত্রণালয়, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার, পানি উন্নয়ন বোর্ড সহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে আবেদন করা হয়েছে।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামীলীগ নেতা স্বপন চৌধুরী, করেরহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এনায়েত হোসেন নয়ন, করেরহাট ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি সুলতান গিয়াস উদ্দিন জসিম, সাধারণ সম্পাদক শেখ সেলিম, ইউপি সদস্য শহিদুল্লাহ, ভূমি অধিগ্রহণ প্রতিরোধ কমিটির শোয়াইব মেম্বার, আক্তার হোসেন, আরবের রহমান, তাইফ উদ্দিন, সো. সরোয়ার, আবদুল্লাহ আল মামুন।
ভূমি অধিগ্রহণ প্রতিরোধ কমিটির দায়িত্বশীল মো. শোয়াইব মেম্বার বলেন, ‘জয়পুর পূর্ব জোয়ার মৌজার ১ নং সীটের ৩ ফসলী জমিতে বৈদ্যুতিক সাব স্টেশন স্থাপন করার জন্য ভূমি অধিগ্রহণ করার জন্য নোটিশ জারি করা হয়েছে। অথচ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন কৃষি জমি নষ্ট করে কোন স্থাপনা করা যাবে না। কৃষি জমি রক্ষ করে উন্নয়ন কাজ করতে হবে। এখন বিদ্যুৎ বিভাগ করেরহাটে তিন ফসলী জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। আমরা জীবন থাকতে ভূমি দিবো না।’
তিনি আরো বলেন, ‘করেরহাট ইউনিয়নের ছত্তরুয়া ও গেড়ামারা মৌজায় অনবাদী জমি, ১নং খাস খতিয়ানভুক্ত জমি ও ফরেষ্ট রিজার্ভ ভূমি রয়েছে। সেখানে বিদ্যুতের সাব ষ্টেশন করলে কৃষি জমি রক্ষা পাবে পাশাপাশি আমরাও সরকারকে সহায়তা করবো।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.