|| ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসার নামে প্রতারণা, ভুয়া চিকিৎসক আটক-দৈনিক বাংলার অধিকার
প্রকাশের তারিখঃ ২৩ নভেম্বর, ২০২০
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসার নামে রোগীদের সাথে প্রতারণা করেছে এশিয়া ডিজিটার চক্ষু হাসপাতাল। চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্প পরিচালনা ও রোগী দেখার সময় ভুয়া চিকিৎসক আয়শা সিদ্দিকা (৪০) ওরফে বিনোদিনী মন্ডল বীনাকে এলাকাবাসী আটক করে পুলিশে দিয়েছে। এ সময় সাথে থাকা আরো দুইজন কৌশলে পালিয়ে গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার বিকাল ৪ টায় উপজেলার কোলা ইউনিয়নের নন্দন কোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
এলাকাবাসী জানায় গতকাল এলাকায় মাইকিং করেছে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা দিবে। তাই আমরা সকাল ১০ টা থেকে অনেকে এসেছি। রোগী দেখে ঔষধ দেয়, চশমা দেয় আর টাকা নেয়। আবার কোন কোন রোগীকে ছানি হয়েছে অপারেশন করতে হবে বলেন। ঢাকার দক্ষিণ যাত্রাবাড়ি এশিয়া ডিজিটাল চক্ষু হাসপাতালে যেতে বলেন তারা। আমরা আরো ডাক্তার দেখিয়েছি কিন্তু মহিলা যে ভাবে চিকিৎসা দিচ্ছে তাতে সন্দেহ হয়।
পাড়াভোম নন্দনকোনা গ্রামের শেখ হালিম জানান, দেড় মাস আগে তারা শ্রীনগরের মজিদপুর দয়াহাটা স্কুলে এসেছিলো সেখানেও তাদের দেখিয়েছি। সিরিঞ্জ দিয়ে চোখের কোনে ২ ফোটা ঔষধ দিয়ে বলে আপনার অপারেশন হয়েছে বলে সাড়ে ৩শত টাকা নিয়ে নেয়। কোন কাজ হয় নাই, চোখের সমস্য রয়েগেছে। তাই আজ জিজ্ঞেস করতে এসে দেখি এড়া ভুয়া, এলাকাবাসী আটকাইছে।
ভুয়া চিকিৎসক আয়শা সিদ্দিকা জানান, তিনি আগে হিন্দু ছিলেন তার বাড়ি বাগের হাটে। তার আগের নাম বিনোদিনী মন্ডল বীনা। ইন্টারে ফেল করে গ্রামের কমিউনিটি হাসপাতালে চাকরী করতেন। স্বামী নাই সংসার চালাতে সমস্যা তাই যাত্রাবাড়ি এশিয়া চক্ষু হাসপাতালে ডাক্তারের সহকারির কাজ করেন। তাকে যখন যেখানে পাঠানো হয় সেখানে যান তিনি। বিনিময়ে সারা দিনে তাকে ৫’শ টাকা দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের সভাপতি খোরশেদ আলমের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারা যোগাযোগ করেছে আমার সাথে এ স্কুলে বিনামূল্যে এলাকাবাসীর চক্ষু চিকিৎসা করবে। আমি ভালো কাজ মনে করে বিদ্যালয়ের চাবি দিয়েছি। তারা যে ভুয়া আমি বুঝি নাই।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. বাচ্চু জানান, আমি তাদের কে বললাম কয়েকদিন আগে এ এলাকায় চক্ষু চিকিৎসা হলো, আবার কেন? কাগজ-পত্র সব ঠিক থাকলে আসবেন। আমি স্কুলের চাবী দেই নাই। সভাপতি খোরশেদ লোক পাঠাইছে তারপর চাবী দিছি। লোকমুখে শুনি চাবী দিতে দেরী হওয়ায় এই ভুয়া চিকিৎসক আমাকে বাজে মন্তব্য করেছেন। তাকে থানা পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
সিরাজদিখান থানার উপ পরিদর্শক মনির হোসেন জানান, বিনা মূল্যে চক্ষু চিকিৎসার নামে প্রতারণার অভিযোগে এলাকাবাসী তাকে আটক করে। সে কোন ডাক্তার না। স্থানীয় ইউপি সদস্য আমাদের হাতে তাকে তুলে দেয়। থানায় নিয়ে যাচ্ছি ওসি স্যার ব্যবস্থা নিবেন।
২২-১১-২০২০
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.