|| ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
সুপ্রীম কোর্টে চলমান মামলার সম্পত্তির মৎস্য মার্কেট উচ্ছেদের পর সিমানা প্রাচীর নির্মাণ-দৈনিক বাংলার অধিকার
প্রকাশের তারিখঃ ১৫ নভেম্বর, ২০২০
যাত্রাবাড়ি ঢাকা বাজার মৎস্য মার্কেট উচ্ছেদ করার পর এখন সিমানা প্রাচীর নির্মাণ করছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) সম্পত্তি বিভাগ। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সম্পত্তি কর্মবর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মনিরুজ্জামান ী সিনিয়র সহকারী সচিব এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ শনিবার দুপুরে এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন। রোববার ওই স্থানে সিমানা প্রাচীর নির্মাণ করেন।
আদালত সুত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানাগেছে, অধুনাবিলুপ্ত ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন মার্কেট ও কাঁচাবাজার নির্মানের জন্য, ঢাকা জেলা প্রশাসককে ৫একর জায়গা অধিগ্রহনের জন্য নির্দেশনা দেয়। জেলা প্রশাসক যাত্রাবাড়ী মৌজার আর এস দাগ নং ২৩৫৭ এর মূলে ৫ একর ২১ শতাংস জায়গা অধিগ্রহন করে। প্রয়োজনের চেয়ে অতিরিক্ত জায়গা অধিগ্রহন করায় আর এস দাগ নং ২৩৫৭ অংশের মালিক হুমায়ুন কবির তার ৬শতাংস জায়গা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। তিনি সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে মামলা করেন। এ মামলাটি বর্তমানে আপিল বিভাগে চলমান, যার আপিল নং ৬৯৯৫/২০১৮। সুপ্রীম কোর্টে মামলা চলমান অবস্থায় ব্যক্তি মালিকানাধীন সম্পত্তিতে থাকা মৎস মার্কেট গুঁড়িয়ে দিয়ে, ডিএসসিসি দখল করে নিল।
এদিকে আনোয়ার কবির ভুইয়া উচ্ছেদকৃত জায়গার মালিক দাবী করে বলেন, উচ্ছেদকৃত ও দখলকৃত জমির আমি মালিক। আমার জায়গায় টিনশেড বিল্ডিং নির্মাণ করে ২০টি দোকান করা হয়েছে। ওই মার্কেটের নাম দেয়া হয়েছে যাত্রাবাড়ি ঢাকা বাজার মৎস মার্কেট। সেখানে দীর্ঘদিন যাবৎ মৎস ব্যবসা করছে ব্যবসায়ীরা। এ সম্পত্তি নিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সাথে সুপ্রীম কোর্টে মামলা চলমান ও স্থগিতাদেশ রয়েছে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সম্পত্তি বিভাগের কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মনিরুজ্জামান এবং এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ আমাকে পূর্বে কোন নোটিশ না দিয়ে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার কোন কাগজ না দেখিয়ে হঠাৎ করে সরকারী বন্ধের দিন শনিবার দুপুরে আমার নির্মিত টিনশেড ২০টি দোকান বোলডোজার দিয়ে ভেঙ্গে ফেলেন। এসময় আমি তাকে বারবার অনুরোধ করে বলেছি এ সম্পত্তি নিয়ে উচ্চ আদালতে মামলা চলমান রয়েছে এবং স্থগিতাদেশ রয়েছে। আমি তাদেরকে আদালতের আদেশের কাগজপত্র দেখিয়েছি। আমার কোন কথারই গুরুত্ব দেয়নি। আদালতের আদেশ অগ্রাহ্য করে আমাকে তোয়াক্কা না করে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন। এতে আমার প্রায় এক কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তারা উচ্ছেদ অভিযান করেই ক্ষান্ত হয়নি। শনিবার উচ্ছেদ করেন রোববার ওই জায়গা দখল করে সিমানা প্রাচীর নির্মাণ করেন। আদলতের আদেশ অমান্য করে সম্পত্তি দখলে নেয়ার ঘটনাটি সুপ্রীম কোর্টের সামনে তুলে ধরার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।
মামলার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবি এডভোকেট আব্দুল হাই বলেন, যেখানে উচ্চ আদালতে মামলা চলমান ও স্থগিতাদেশ রয়েছে। সেখানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন আদেশ অমান্য করে নোটিশ না দিয়ে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে জমির মালিকের ব্যাপক ক্ষতি সাধন করেছেন। পরবর্তীতে আবার সিমানা প্রাচীর নির্মাণ করেন। যা আদালত অবমাননার সামিল।
এ বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সম্পত্তি বিভাগের কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মনিরুজ্জামান বলেন, উচ্ছেদকৃত সম্পত্তি ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের অধিগ্রহনকৃত। সম্পত্তির উপর উচ্চ আদালতের ২০১৮ সালের পর নতুন কোন আদেশ নেই।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.