|| ২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২৩শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
চেয়ারম্যান আবু সাঈদ হাত বাড়িয়ে দিল সম্প্রতি ধর্ষিতা চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রীর সন্তানের চিকিৎসার-দৈনিক বাংলার অধিকার
প্রকাশের তারিখঃ ৮ অক্টোবর, ২০২০
সম্পত্তি ধর্ষিতা চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী এবং তার সন্তানের চিকিৎসা এবং যাবতীয় সকল খরচ ব্যয় করে যাচ্ছেন বুড়িমারী ইউনিয়নের সুযোগ্য চেয়ারম্যান আবু সাঈদ নেওয়াজ নিশাত রহমান। চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী ধর্ষিতা আমিনার চিকিৎসার জন্য নিজস্ব এ্যাম্বুলেন্সে রংপুর রোজ হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে দেন ,এর পর আমিনা ছেলে সন্তানের জন্ম দেয় তার ছেলে সন্তান এবং তার চিকিৎসার সকল খরচ ব্যায় করে যাচ্ছেন তিনি। এবং সবসময় তার পরিবার এবং তার চিকিৎসার খোঁজ খবর নিচ্ছেন, যদিও তার সহধর্মিণী খুবই অসুস্থ এমতাবস্থায়ও তিনি মানুষের সেবায় কখনো পিছপা হননি । শুধু ধর্ষিতা আমিনা খাতুনই নয় এরকম হাজারো পরিবারের পাশে সর্বদা বটগাছের ছায়া হয়ে আছেন বুড়িমারী ইউনিয়নের সুযোগ্য চেয়ারম্যান জনাব মোঃ আবু সাঈদ নেওয়াজ নিশাত রহমান।
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারি ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের এক বখাটের হাতে বুড়িমারি ইসলামপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। এ ঘটনায় ওই শিশুটির বাবা বাদী হয়ে পাড়াপড়শি তহিদুল ইসলামের পাষন্ড ছেলে ধর্ষক ওয়াজেদ আলী (৩২) আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের পাটগ্রাম থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।গত ২৬.০৭.২০২০ ইং রাতে পাটগ্রাম থানায় লিখিত অভিযোগটি দায়ের করা হয়।
পাটগ্রাম থানায় দায়ের করা নির্যাতিতার বাবার অভিযোগের বিবরণে জানা গেছে , বুড়িমারি ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের তহিদুল ইসলামের ছেলে ওয়াজেদ আলী (৩২) গত জানুয়ারি মাসের ১৪ তারিখে ফাঁকা বাড়িতে ডেকে নিয়ে আনুমানিক ৫.৩০ মিঃ ফাঁঁকা বাড়ির দক্ষিণ সংলগ্ন জনৈক দুলালের বাসায় ডাকিয়া নেয় এবং মেয়ের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। কিন্তু ঘটনার বিষয় ভবিষ্যতে প্রকাশ করিতে বাধা দিয়া প্রাণনাশের হুমকি দিলে আমার উক্ত মেয়ে প্রাণ ভয়ে প্রকাশ করে নাই। ঘটনার পর থেকেও আসামী ওয়াজেদ একাধিক দিন ডাকিয়া যৌন সঙ্গম করিলে আমার নাবালিকা মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে, এর পর আমার মেয়ে গুরুত্বর অসুস্থ হয়ে পড়লে বুড়িমারি ইউনিয়নের সম্মানিত চেয়ারম্যান জনাব আবু সাঈদ নেওয়াজ নিশাত রহমান তার নিজস্ব অর্থায়নে আমার মেয়েকে তার নিজস্ব এ্যাম্বুলেন্সে রংপুর রোজ হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে দেন, এরপর আমার মেয়ে পুত্র সন্তান জন্ম দেয়, আমার মেয়ের চিকিৎসা এবং তার সন্তানের সকল খরচ ব্যায় করে যাচ্ছেন তিনি। এই দুঃসময়ে আমাদের পাশে চেয়ারম্যান সাহেব ছাড়া আর কেউ নেই, আমরা একবারে অসহায় একটি পরিবার।
এ ঘটনায় বুড়িমারী ইউপি চেয়ারম্যান জনাব মোঃ নেওয়াজ নিশাত ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমি ঘটনা শুনেই ভুক্তভোগীর বাড়িতে যাই এবং চতুর্থ শ্রেণীর ছোট্ট মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়েছে ঘটনাটি সত্যি বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে, এর পর মেয়েটি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে আমি আমার নিজস্ব এম্বুলেন্সে রংপুর রোজ হাসপাতালে ভর্তি এবং চিকিৎসা সেবা সহ সকল প্রকার খরচ এখন পর্যন্ত বহন করে আসছি। এরপর মেয়েটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন ,আমিনা এবং তার সন্তানের সকল খরচ আমি বহন করে আসছি। অপরাধী যেই হউক আইন অনুযায়ী অপরাধীর দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা সুমন কুুুমার মহন্ত, ধর্ষণ অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ভুুুক্তভোগী মেয়ের বাবা একটি অভিযোগ দিয়েছে। আমরা অভিযোগটিকে গুরুত্ব দিয়ে মামলাটি রেকর্ড করেছি। আসামীকে দ্রুত গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.