|| ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশের তারিখঃ ৪ অক্টোবর, ২০২০
সাইফুদ্দিন, রিপোর্টার
কক্সবাজার উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নে অবস্থিত দেশের বৃহৎ রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প কুতুপালং এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন কুতুপালং ক্যাম্প ওয়েস্ট এর ডি ৫-ব্লকের মৃত সৈয়দ আলমের ছেলে ইমাম শরীফ (৩২) এবং ডি ব্লকের মৃত ইউনুস এর পুত্র শামসুল আলম (৪৫)
আজ রবিবার (৪ অক্টোবর) ভোর চারটা থেকে মাদক কারবারিরা ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ ও আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে দফায় দফায় দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে, এতে আরও অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে।
আহতদের কি উদ্ধার করে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পার্শ্ববর্তী হাসপাতাল গুলোর মধ্যে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহত দুই রোহিঙ্গার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
জানা যায় কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান হাফেজ মাওলানা জালাল আহমদ জানান মাদক নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে দুই গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল অনেকদিন থেকে এর আগেও দুই গ্রুপের মধ্যে বেশ কয়েকবার ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়েছে।
বৃহৎ শরণার্থী ক্যাম্প কুতুপালং আইন-শৃংখলার দায়িত্বে নিয়োজিত ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন এর অধিনায়ক আতিক রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
উখিয়া থানার নবাগত ওসির আহমদ সঞ্জুর মোর্শেদ জানান, দুই গ্রুপে সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত দুই জনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
একাধিক রোহিঙ্গারা জানাই সম্প্রতি পুলিশি কার্যক্রম স্থবিরতার কারণে ক্যাম্পের অভ্যন্তরে সন্ত্রাসীরা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।
ক্যাম্পের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা জোরদারের জন্য সরকারের নিকট আবেদন জানিয়েছেন রোহিঙ্গা মাঝিরা।
ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.