|| ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
গোমস্তাপুরে ছিনতাই-চুরির হিড়িক-দৈনিক বাংলার অধিকার
প্রকাশের তারিখঃ ৩ অক্টোবর, ২০২০
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলায় আশংকাজনক হারে ছিনতাই ও চুরি বৃদ্ধি পেয়েছে। এলাকা বাসি জানান টহল পুলিশের ভূমিকা নিয়ে রয়েছে দূর চিন্তা এলাকাবাসী ও ভুক্তোভোগীরা আরে জানায়, সম্প্রতি গোমস্তাপুর উপজেলায় রাতের আঁধারে ছিনতাইসহ গরু, চার্জার ভ্যান ও বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটেই চলেছে। এতে তৈরি হয়েছে জনমনে আতঙ্ক, নিরাপত্তা হুমকিতে ভুগছেন উপজেলাবাসী। স্থানীয়দের অভিযোগ, বেলালবাজার-আড়গাড়া রাস্তাটি অত্যান্ত ছিনতাইপ্রবণ এলাকা। এই এলাকা থেকে গোমস্তাপুর থানার দুরত্ব মাত্র ৩ কিলোমিটার হলেও পুলিশের কোন টহল থাকে না ঝুকিপূর্ণ এই রাস্তাটিতে।
চৌডলা মমিনপাড়া গ্রামের জামরুদ্দিনের ছেলে এনামুল ও বেনীচক গ্রামের মো. চুটুর ছেলে ডালিম বলেন, আনুমানিক গত ১৫দিন আগে আমরা দুইজনে একসাথে আড়গাড়া থেকে বেলালবাজার আসার পথে গোমস্তাপুর উপজেলার কুচিয়াডাঙ্গা ব্রিজ এলাকায় আসলে ছিনতাইকারীদের কবলে পড়ি। এসময় আমাদেরকে বেঁধে রেখে বিভিন্ন অস্ত্রের মুখে মোবাইল ও নগদ অর্থ ছিনতাই করে দুর্বিত্তরা। এমনকি এসময় তারা আরো কয়েকজন পথচারীকে উল্টোভাবে বেঁধে রেখে এমন নির্যাতন করে ছিনতাই করছিলো বলে জানায় এনামুল ও ডালিম।
গোমস্তাপুর উপজেলার শুক্রবাড়ী এলাকার হাজ্বী আতাউর রহমান বলেন, শিবগঞ্জ থানাধীন বিনোদনগর আডগাড়া শশুরবাড়ি থেকে আমরা দুজন আসার পথে আনুমানিক রাত ৭টার দিকে ৪-৫ জন মুখোশধারী ব্যক্তি আমাদের আটক করে। মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে আসার সময় সাথে পৌত্রকে রামদার কোপ দিলে গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসার জন্য আগে গোমস্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি আরো জানান, এখানে মাঝেমধ্যেই এমন ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। তবে ঝুকিপূর্ণ এই রাস্তায় পুলিশকে কখনও টহল দিতে দেখা যায় না।
গোমস্তাপুর সদর ইউনিয়নের ভিটাবাড়ী গ্রামের সেন্টুর ছেলে হেলাল উদ্দীন জানান, গত ২৩ সেপ্টেম্বর বুধবার রাতে গরু গোয়াল রেখে ঘুমিয়ে পড়ি। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি গোয়ালে গরু নেয়। গরুটির আনুমানিক মূল্য প্রায় ৫০ হাজার টাকা। পরে গোমস্তাপুর থানায় এনিয়ে একটি সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে বলে জানান হেলাল।
বোয়ালিয়া ইউনিয়নের লক্ষীনারায়নপুর গ্রামের আরেক গরুর মালিক লিটন জানান, ১৮ আগস্ট রাতে গরুকে গোয়াল ঘরে রেখে ঘুমিয়ে পড়ি। সকালে ঘুম থেকে উঠে গরু বের করতে গেলে দেখি গোয়াল ঘরে গরু নাই। আশেপাশে খোঁজ নিয়েও গরু পাওয়া যায়নি। গরু দুটির আনুমানিক মুল্য১০০০০০একলক্ষ টাকা পরে গোমস্তাপুর থানায় একটি সাধারন ডায়রী করা হয়েছে বলে জানান লিটন।
গত কয়েকমাসে গোমস্তাপুর উপজেলায় ছিনতাই ও চুরির এমন ঘটনায় ব্যাপক উদ্বেগে রয়েছেন উপজেলাবাসী। অনেকের অভিযোগ টহল পুলিশের ভূমিকা নিয়েও। এ ব্যাপারে গোমস্তাপুর থানার অফিসা-ইন-চার্জ (ওসি) জসীম উদ্দীন জানান, সাম্প্রতিক সময়ে গোমস্তাপুর থানায় কোন চুরি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেনি। এছাড়াও এবিষয়ে পুলিশ তৎপর রয়েছে বলেও জানান।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.