|| ৫ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ৩রা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
উলিপুরে ধরলা নদীর ভাঙ্গন অব্যাহত আতঙ্কে গ্রাম ছাড়ছে বাসিন্দারা-দৈনিক বাংলার অধিকার
প্রকাশের তারিখঃ ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০
নয়ন দাস,কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি :
ভয়াবহ ভাঙ্গনে শত শত পরিবারের বসতভিটা, আবাদী জমি, গাছপালা, আমন ফসল কেড়ে নিচ্ছে ধরলা নদী। হুমকির মুখে পড়েছে হাজারো মানুষ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ সরকারী বেসরকারী স্থাপনা।
জানা গেছে, কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলা নদ-নদী দ্বারা বেষ্টিত বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের ধরলা নদীর ভয়াবহ ভাঙ্গনে মানচিত্র থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে ইউনিয়নটি।
এক মাসের ব্যবধানে ইউনিয়নের সরকার পাড়া, ব্যপারী পাড়া, কবিরাজপাড়া, উত্তর বালাডোবা, মিয়াজী পাড়া ও মশালের চর সহ পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন এলাকা ধরলা নদীর ভাঙ্গনের শিকার হয়ে খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন যাপন করছে। গত ২৭ সেপ্টেম্বর রবিবার ভাঙ্গন কবলিত এলাকার খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়, পুরাতন বসতভিটা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ায় আশ্রয়ের সন্ধানে দিশেহারা হয়ে পড়েছে অনেকে। হুমকির মুখে পড়েছে আব্দুল হামিদ উচ্চ বিদ্যালয়, খুঁদিরকুটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, নুরনাহার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর বালাডোবা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, মোল্লার হাট, খুঁদিরকুটি বাজার সহ বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারী স্থাপনা।
স্থানীয় আহাদ আলী খলিফা, মঞ্জু মেকার, আব্দুস সালাম, আহাদ আলী, সৈয়দ আলী, আব্বাস আলী, এছাহাক আলী, সহিদুর রহমান, তাইজুল ইসলাম, মকবুল মিয়া, সেলিম বাবু, ডাক্তার খয়বর আলী, জাকির হোসেন, কামাল হোসেন, আলমগীর, সহিদুর, নুর ইসলাম, ছয়াদ আলী সহ তিন শতাধিক পরিবারের বসতভিটা ও আবাদী জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। স্থানীয় আহাদ আলী জানান, গত কয়েকদিনের ভয়াবহ ভাঙ্গন দেখা দিলেও আমাদের শান্তনা দেয়ার মতো কেউ নেই।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিগণ কোন খোঁজ খবর নেয়নি। ভাঙ্গনের শিকার হয়ে বর্তমানে তাবু টাঙ্গিয়ে আব্দুল হামিদ উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ, আফতাব গঞ্জ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ সহ বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়েছে।
এ ব্যাপারে উলিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুর এ জান্নাত রুমি’র সাথে এ প্রতিবেদকের কথা হলে তিনি জানান সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিকে তালিকা প্রস্তুত করে জমা দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে বেগমগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান বেলাল হোসেন এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, পূর্বের ভাঙ্গন কবলিত পরিবারের তালিকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে প্রেরণ করা হয়েছে কিন্তু ভাঙ্গন রোধে বা ভাঙ্গন কবলিত পরিবারের জন্য কোন বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। বর্তমানে ভাঙ্গন কবলিত পরিবারের তালিকা দেয়ার নির্দেশনা পাওয়া গেছে নির্দেশনা অনুযায়ী তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.