|| ২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২৫শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
নীলা হত্যা- মায়ের আহাজারি -দৈনিক বাংলার অধিকার
প্রকাশের তারিখঃ ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০
মেয়েকে হারিয়ে মায়ের আহাজারি ফাইল ছবি ঢাকার সাভারে ভাইয়ের সঙ্গে রিকশায় করে যাওয়ার পথে ছিনিয়ে নিয়ে কিশোরী নীলা রায়কে (১৪) হত্যার ঘটনায় গত রোববার রাত আটটার দিকে সাভার পৌরসভার দক্ষিণপাড়ায় তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন বখাটে মিজানুর রহমান (২০)।
ছবি বখাটে মিজানুর রহমান সংগৃহীত
সাভার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম বলেন, ঘটনার পর থেকে মিজানকে গ্রেপ্তারে পুলিশের একাধিক দল অভিযান চালাচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। নীলার বাবা নারায়ণ রায় সোমবার রাতে সাভার থানায় মিজান, তাঁর বাবা আবদুর রহমান ও মা নাজমুন্নাহার সিদ্দিকাকে আসামি করে মামলা করেন।
নিহত নীলা রায় মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার বালিরটেক গ্রামের নারায়ণ রায়ের মেয়ে। নারায়ণ মেট্রোরেল প্রকল্পে চাকরি করেন। পরিবারের সঙ্গে নীলা সাভারের ব্যাংক কলোনি এলাকায় থাকত। সে স্থানীয় অ্যাসেড স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
ছবি নীলা রায় নীলা রায় সংগৃহীত
পরিবারের অভিযোগ, প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় নীলাকে হত্যা করেন মিজান। তিনি একই এলাকার ব্যবসায়ী আবদুর রহমানের ছেলে। স্থানীয় একটি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী তিনি। এর আগে একবার টেস্ট পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়া তিনি এইচএসসি পরীক্ষা দিতে পারেননি।
সাভার থানার পুলিশ ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বছর দেড়েক ধরে নীলাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন মিজান। নীলা গত রোববার সন্ধ্যা সাতটার দিকে শ্বাসকষ্টে ভুগছিল। তার ভাই অলক রায় তাকে রিকশায় করে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিলেন। বাসা থেকে কিছু দূর যাওয়ার পর মিজান রিকশার গতি রোধ করেন।
এরপর ভাই অলক আটকিয়ে বোনকে অস্ত্রের মুখে টেনেহিঁচড়ে রিকশা থেকে নামিয়ে দক্ষিণপাড়া এলাকায় নিজেদের একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে যান মিজান ও তার সহযোগিরা, রাত আটটার দিকে সেখানে নীলার গলায়, পেটে, মুখে ও ঘাড়ে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান তিনি। পরে নীলার মৃত্যু হয়।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.