|| ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২১শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
মাননীয় মেয়র লিটনের দুই বছর আলোকিত সিটি পেয়েছেন মহানগরবাসী-দৈনিক বাংলার অধিকার
প্রকাশের তারিখঃ ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২০
আকাশ সরকা, রাজশাহী ব্যুরোঃ
রাজশাহী মহানগরীর শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামান চত্বরে দাঁড়িয়ে আছে মাস্তুল আকৃতির মজবুত দুইটি পোল। প্রতিটি পোলের উপর রিং বসিয়ে তার চতুরদিকে বসানো হয়েছে উচ্চমানের এলইডি লাইট। আর সেই লাইটের আলোয় আলোকিত বিস্তৃত এলাকা। শুধু শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামান চত্বর নয়, এভাবে মহানগরীর আরো গুরুত্বপূর্ণ ১৪টি চত্বর আলোকিত হয় প্রতি রাতেই। হঠাৎ কেউ মহানগরীতে প্রবেশ করলে চমকিত হন। কারণ যে চত্বরগুলো ছিল অন্ধকারাচ্ছন্ন, সেই চত্বরগুলো এখন আলো ঝলমলে।
২০১৮ সালের ৩০ জুলাই রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিপুল ভোটে মেয়র নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগ মনোনিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামানের সুযোগ্য সন্তান এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন। ৫ সেপ্টেম্বর গণভবনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাসিক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটনকে শপথবাক্য পাঠ করান। এরপর ৫ অক্টোবর ১০৩ কোটি টাকা ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে দায়িত্ব বুঝে নেন তিনি। দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন ও রাজশাহী মহানগরীকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, আধুনিক, উন্নত ও বাসযোগ্য শহর গড়তে কাজ শুরু করেন মেয়র লিটন। এরই অংশ হিসেবে আলোকিত মহানগরী গড়তে ১৫টি গুরুত্বপর্ণ মোড়/চত্বরে বসানো হয়েছে ১৬টি সুউচ্চ বিদ্যুৎ লাইটের পোল। যার সুফল পাচ্ছেন মহানগরবাসী।
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটনের উদ্যোগে মহানগরীর ১৫টি স্থানে বসানো হয়েছে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী সুুউচ্চ বিদ্যুৎ লাইট পোল (high mast pole with lighting system) | ২০১৯ সালের ১৫ ডিসেম্বর প্রথম শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামান চত্বরে প্রথম দুইটি সুউচ্চ লাইট উদ্বোধন করেন মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন। এরপর একই বছরের ৩১ ডিসেম্বর মহানগরীর ভদ্রা স্মৃতি অম্লান মোড়, তালাইমারি, আলুপট্টি, সাহেববাজার জিরোপয়েন্ট, সিএন্ডবি মোড়, ঐতিহ্য চত্বর, শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামান বিভাগীয় স্টেডিয়ামের সামনে মোড়ে, চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি মনিচত্বর, বড়কুঠি, লালনশাহপার্ক, রেলওয়ে স্টেশন, কোর্ট স্টেশন, আম চত্বর, আলিফ লাম মিম ভাটার মোড়ের সুউচ্চ বিদ্যুৎ লাইটের পোলের উদ্ভোধন করেন মেয়র। প্রতিটি পোলের উচ্চতা ৫৬ ফিট। একেকটি পোলে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ২০টি করে এলইডি লাইট লাগানো হয়েছে। প্রতিটি পোলের চারপাশে নূন্যতম আধা কিলোমিটার এলাকাজুড়ে এই পোলের লাইটে আলোকিত হচ্ছে। এই আলোর কারণে মহানগরীর সৌন্দর্য্য বৃদ্ধির পাশাপাশি নাগরিকদের চলাচল নির্বিঘ্ন ও নিরাপত্তা জোরদার হয়েছে।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.