|| ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২১শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
ঠাকুরগাঁওয়ে নিখোঁজ বাবার জন্য সন্তানদের অপেক্ষা-দৈনিক বাংলার অধিকার
প্রকাশের তারিখঃ ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২০
ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার কোটপাড়া বিওপির মেইন পিলার ৩৮৩এর ২এস এর আয়রন ব্রিজের নিকট দিয়ে ৭/৮ জন বাংলাদেশি গরু চোরাকারবারি অবৈধভাবে ভারত থেকে গরু আনতে গেলে ভারতের ১৭১ বিএসএফের সোনামতি টহল দল তাদেরকে তাড়া দেয়।
এসময় বিএসএফ সদস্যরা চোরাকারবারীদের লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপ করে।বিএসএফদের হাত থেকে প্রাণ বাঁচাতে নাগর নদীতে ঝাঁপ দিলে আব্দুল আলী আদু (৩৫) নামের একজন নিখোঁজ হন।
গত বৃহস্পতিবারের ওই ঘটনায় রবিবার দুপুর পর্যন্ত আদুর কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।আব্দুল আলী আদু বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার যুগীহার গ্রামের এজাবুলের ছেলে।
তার দুই ছেলে,এক মেয়ে ও স্ত্রী রয়েছেন।আদুর ফিরে আসার অপেক্ষা করছে তিন শিশু।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,১৭১ বিএসএফের সোনামতি ক্যাম্পের টহল দল তাদের ধাওয়া দিলে তারা আয়রন ব্রিজের নিচে নদীতে ঝাঁপ দেয়।এ সময় বিএসএফের সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে ব্রিজের উপর থেকে পাথর নিক্ষেপ করে। বাকিরা নদী পার হয়ে বাংলাদেশ সীমান্তে ফেরত এলেও আদু নিখোঁজ হন।
আব্দুল আলীর ছোট ভাই জয়নাল জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর আদু বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরেননি। পরিবারের দাবি, তাকে বিএসএফ হত্যা করেছে।
আদুর বাবা এজাবুল বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে অনেকবার চাওয়ার পর আদুকে ২ হাজার টাকা দিই।
সেই টাকা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয় সে।এখন পর্যন্ত তার কোনো খবর নেই।শুনেছি ভারত সীমান্তে তার মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত লাশ পাচ্ছি না।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আকালু জানান,ফেরত আসা অন্য চোরাকারবারিদের কাছে শুনেছি পাথরের আঘাতে আদুর মৃত্যু হয়েছে। ভাবছিলাম বিএসএফ তার মরদেহ পানিতে ভাসিয়ে দেবে,কিন্তু তা করেনি।ভারতে প্রবেশের অনুমতি না থাকায় আদুর মরদেহ কোথায়, কী অবস্থায় আছে বলতে পারছি না।
বিজিবি জানায়,আদুর পরিবার তার মৃত্যুর বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করলে বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।কিন্তু বিএসএফ ঘটনাটি অস্বীকার করেছে।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.