|| ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
শুভ জন্মদিন মেজর(অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম এমপি- দৈনিক বাংলার অধিকার
প্রকাশের তারিখঃ ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২০
১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০খ্রি:। ৭৮ তম জন্মদিন।
শাহারাস্তি উপজেলার নাওড়া গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে ১৯৪৩ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর মরহুম আশরাফ উল্লাহ ও মরহুমা রহিমা বেগম এর ঘরে যে শিশুটির জন্ম হয়েছিল, অাজ সে এক বিশাল মহিরুহু। স্বনামে পরিচিত। মহান মুক্তিযুদ্ধের জীবন্ত কিংবদন্তি। মানবতার মূর্ত প্রতীক। মহান জাতীয় সংসদের ৪বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য। সাবেক সফল স্বরাষ্টমন্ত্রী। সুলেখক। বাংলা একাডেমি পুরস্কার প্রাপ্ত। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার একান্ত আস্থাভাজন। হাজিগঞ্জ-শাহারাস্তির উন্নয়নের রোলমডেল।
আমরা আপনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করি।শুভ জন্মদিনে আপনাকে জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা,অকৃত্রিম ভালোবাসা ও ফুলেল শুভেচ্ছা।×শিরোনাম রোববার শুরু হচ্ছে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি আবেদন লাভজনক প্রতিষ্ঠানে যুক্ত হতে পারবেন না শিক্ষকরা শিগগিরই ভিসির শূন্যপদ পূরণ করা হবে : শিক্ষামন্ত্রী দাউদকান্দি-ছেঙ্গারচর প্রশস্ত সড়ক নির্মাণে ৫২৪ কোটি টাকার প্রকল্প একনেকে অনুমোদন বৈদেশিক কর্মসংস্থানের জন্য দক্ষতা ও সচেতনতা শীর্ষক প্রেস ব্রিফিং বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে বিপর্যস্ত জনজীবন হরিণা ফেরিঘাটে গাড়ির জট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি ৩ অক্টোবর পর্যন্ত বৃদ্ধি তৃতীয় জানাজা শেষে পারিবারিক গোরস্থানে শায়িত হলেন উপাধ্যক্ষ হুমায়ুন কবির। চাঁদপুরের ইলিশ বলে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সাগরের ইলিশ চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে সংসদে বিল পাস, হোম জাতীয়,বাংলা একাডেমি পুরস্কার পাচ্ছেন মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম এমপি প্রকাশ : ২৪ জানুয়ারি ২০২০, ২১:৫৬
Online Desk মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সাহিত্যে বাংলা একাডেমি পুরস্কার পাচ্ছেন চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) নির্বাচনী এলাকার সাংসদ মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম। মুক্তিযুদ্ধের বীরত্বগাঁথা এ মহানায়কের উক্ত পুরস্কার পাওয়ার খবরে তাঁর নির্বাচনী এলাকার নেতা-কর্মীদের মাঝে আনন্দ ছড়িয়ে পড়ে। এ আনন্দে হাজার হাজার নেতা-কর্মী তাদের প্রিয় নেতাকে সামিজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অভিনন্দন জানাতে দেখা গেছে।
এদিকে গতকাল ২৩ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার বিকেলে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সাহিত্যে পুরস্কারের জন্যে মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম এমপির নাম ঘোষণা করেন। ২ ফেব্রুয়ারি অমর একুশে গ্রন্থমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ পুরস্কার তুলে দেবেন।
জানা যায়, মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম এমপির রচিত ‘এ টেল অব মিলিয়নস্’ বইটি ১৯৭৪ সালে এবং বইটির বাংলা অনুবাদ ‘লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে’ ১৯৮১ সালে প্রকাশিত হয়। মুক্তিযুদ্ধের সময়কার করুণ ও বেদনাময় কাহিনী নিয়ে রচিত তাঁর আরেকটি বই ‘মুক্তির সোপানতলে’ প্রকাশিত হয় ২০০১ সালের জুলাই মাসে। এ দুটি বই ছাড়াও আন্তর্জাতিক ও জাতীয় পত্রিকায় মুক্তিযুদ্ধের উপর বহু নিবন্ধ লিখেছেন মুক্তিযুদ্ধের ১নং সেক্টরের এ কমান্ডার। এছাড়াও তিনি দেশ-বিদেশের বহু টেলিভিশনে মুক্তিযুদ্ধের উপর সাক্ষাৎকারে অংশ নিয়েছেন।
১৯৬০ সালে প্রবর্তিত বাংলা একাডেমি পুরস্কার ১০টি বিষয়ে দেয়া হয়। পুরস্কারপ্রাপ্ত কবি ও লেখকদের হাতে তিন লাখ টাকা, সনদপত্র ও স্মারক তুলে দেয়া হবে।
জীবনী : ১৯৪৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসের ১৩ সেপ্টেম্বর চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি উপজেলার নাওড়া গ্রামে জনাব রফিকুল ইসলাম জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মরহুম আশরাফ উল্লাহ ঢাকা জেলার ডিস্ট্রিক্ট অ্যাডুকেশন অফিসার ছিলেন। তিন ভাই ও ছয় বোনের মধ্যে রফিকুল ইসলাম পিতা মাতার জ্যেষ্ঠ সন্তান। তাঁর স্ত্রী চট্টগ্রামের আনোয়ারা থানার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের কন্যা। তাঁদের এক ছেলে ও এক মেয়ে আছে।
রফিকুল ইসলাম নিজ গ্রামের নাওড়া স্কুল, পিরোজপুরের ভা-ারিয়া, গোপালগঞ্জ মডেল স্কুল, শরীয়তপুরের পালং, কুমিল্লার চান্দিনা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় লেখাপড়া করেন এবং ১৯৫১ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া অন্নদা মডেল হাইস্কুল হতে প্রথম বিভাগে মেট্রিক পাস করেন। পরে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ হতে আইএসসি পাস করার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতিতে অনার্স পড়াশোনা করেন।
১৯৬২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত অবস্থাতেই তৎকালীন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে ছাত্র আন্দোলনে প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ করেছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে তিনি ‘ইউপিপি’ সংবাদ সংস্থায় সাংবাদিকতা করেন।
১৯৬৩ সালে তিনি পাকিস্তান আর্মিতে যোগ দেন এবং ১৯৬৫ সালে পাকিস্তান আর্মির ইঞ্জিনিয়ারিং কোরে কমিশন লাভ করেন। পরবর্তীতে তাঁকে আর্টিলারী কোরে নেয়া হয়।
১৯৬৮ সালে তিনি লাহোর ক্যান্টনমেন্ট থেকে তাঁর ইউনিট ২৪ ফিল্ড রেজিমেন্ট (আর্টিলারী)সহ যশোহর ক্যান্টনমেন্ট আসেন এবং রেজিমেন্টের অ্যাডকুট্যান্ট-এর দায়িত্ব পালন করেন। পরে ডেপুটেশনে দিনাজপুরে ৮ উইং ইপিআর-এর অ্যাসিস্ট্যান্স উইং কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭০ সালের প্রথমদিকে তিনি ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস্-এর চট্টগ্রামস্থ হেডকোয়ার্টারে অ্যাডজুট্যান্ট পদে যোগ দেন।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাত ৮:৪০ মিনিটে তিনি তাঁর অধীনস্থ ইপিআর-এর বাঙালি সৈনিক ও জেসিওদের নিয়ে পাকিস্তানীদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন এবং রাত ১১টা ৩০ মিনিটে সমগ্র চট্টগ্রাম শহর দখলে আনতে সক্ষম হন।
স্বাধীনতাযুদ্ধে তিনি ১নং সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার ছিলেন। ৫টি সাব-সেক্টর নিয়ে গঠিত ১নং সেক্টরটি চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, পার্বত্য চট্টগ্রাম ও নোয়াখালী জেলার অংশ নিয়ে গঠিত ছিলো। মুক্তিযুদ্ধে সাহসিকতা ও বীরত্বের জন্যে আরো অনেকের সাথে তাঁকে জীবিত ব্যক্তিবর্গের মধ্যে সর্বোচ্চ সম্মান ‘বীর উত্তম’ খেতাবে ভূষিত করা হয়।
১৯৭২ সালের ২৯ এপ্রিল সেনাবাহিনী অবসর নিয়ে চট্টগ্রামে সে সময়কার বহুল প্রচারিত ইংরেজি দৈনিক ‘দি পিপলস ভিউ’-র সহযোগী সম্পাদক হিসেবে কাজ করেন। ১৯৭৭ সালে তিনি ঢাকা ওয়াসার চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন এবং ১৯৮১ সালের অক্টোবর পর্যন্ত এ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.