|| ১৯শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৫ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ১৯শে রজব, ১৪৪৬ হিজরি
কুড়িগ্রামের বানভাসিরা দীর্ঘায়িত হচ্ছে বন্যা, কষ্টে বানভাসিরা- দৈনিক বাংলার অধিকার
প্রকাশের তারিখঃ ২৫ জুলাই, ২০২০
কুড়িগ্রামে বন্যাকবলিত এলাকার অধিকাংশ মানুষের হাতে কাজ না থাকায় চরম খাদ্য সঙ্কটের মুখে রয়েছে। সরকারিভাবে জিআর ও ভিজিএফের বরাদ্দের পরিমাণ কম হওয়ায় অধিকাংশ মানুষ সরকারি ত্রাণ থেকে বঞ্চিত থাকছে বলে জানিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যানরা। এ অবস্থায় অনেকেই খেয়ে না খেয়ে দিন পার করছে।
শনিবার (২৫ জুলাই) বেলা বারোটা থেকে বিকেল তিনটা পর্যন্ত চিলমারী পয়েন্টে ব্রম্মপুত্রের পানি ৭৮ ও নুনু খাওয়া পয়েন্টে ৬৩ সেন্টিমিটার বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও পানি স্থির অবস্থায় ছিল। এছাড়া ধরলা নদীর পানি ব্রীজ পয়েন্টে দুই সেন্টিমিটার কমে ৫৮ সেন্টিমিটার বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তা নদীর পানি ৪ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ৪৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে পাউবো’র সূত্র জানিয়েছে।
জেলার বন্যা কবলিত এলাকাগুলোর বেশির ভাগ ঘর-বাড়ি দীর্ঘ সময় ধরে পানির নিচে তলিয়ে থাকায় তা ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। এসব এলাকার মানুষজন প্রয়োজনীয় খাদ্য ও বিশুদ্ধ খাবার পানির অভাবে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে । বন্যাকবলিত এলাকার সর্বত্রই গো-খাদ্যের সংকট চরম আকার ধারণ করছে।
সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের পোড়ার চরের মনছের আলী জানান, টানা ১ মাসেরও বেশি সময় ধরে বন্যার মধ্যে পড়ে আছি। কাজ-কাম নাই। ঘরে খাবার নাই। মেম্বার চেয়ারম্যানও কিছু দেয় না। বন্যার আগে ভাইরাসের কারনে তো কোথাও যেতেও পারি না। এক কথায় খুব কষ্টে আছি।
কুড়িগ্রাম-যাত্রাপুর সড়কে আশ্রয় নেয়া এনতাজ আলী জানান, ১৫ দিন ধরে এই সড়কে গরু, ছাগল নিয়ে অবস্থান করছি। নিজের খাবারের কষ্ট। তার উপর গরু, ছাগলের খাবার। সবমিলে খুব কষ্টে দিন পাড় করছি।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বন্যা কবলিত এলাকায় পানিতে তলিয়ে আছে প্রায় ৪০ হাজারেরও বেশি নলকুপ।কুড়িগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মো: হাবিবুর রহমান জানান, গত ১ মাসে পানিতে ডুবে ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ১৭ জনই শিশু।
Copyright © 2025 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.