কচুয়া প্রতিনিধিঃ
চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার ১২ নং আশ্রাফপুর ইউনিয়নের জনপ্রিয় চেয়ারম্যান মাসুদ এলাহী সুভাসকে নিয়ে একটি কুচক্রি মহল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (ফেসবুকে) মিথ্যা অপ-প্রচার চালাচ্ছেন। প্রকৃত ঘটনা আড়াল করে চেয়ারম্যান মাসুদ এলাহী সুবাসের মান সম্মান ক্ষুন্ন করছেন বলে তিনি অভিযোগ করেন।
জানা গেছে, আশ্রাফপুর ইউনিয়নের জগতপুর গ্রামের ফকির বাড়ি এলাকার শাহরাস্তির ঠাকুর বাজার এলাকার ন্যাশনাল ব্যাংক কর্মকর্তা মো. সিরাজুল হক গত ২২জুন করোনায় রির্পোট পজেটিভ আসে। ওই দিন কচুয়া থানা ও শাহরাস্তি থানা প্রশাসনের কর্মকর্তারা ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদ এলাহী সুবাসকে নিয়ে ব্যাংক কর্মকর্তার বাড়ি লকডাউন করে দেন এবং ওই বাড়ির লোকজনদের চলচালে সরকারি নিয়ম ও স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে অনুরোধ করেন। পরদিন ২৩ জুন কচুয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার দীপায়ণ দাস শুভ’র নির্দেশে করোনা আক্রান্ত ওই ব্যাংক কর্মকর্তার বাড়িতে খাবার ও ফলমূল পৌছে দেয়ার জন্য যান ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদ এলাহাী সুবাস।
ওই বাড়ীতে যাওয়ার পর তার সাথে থাকা একই এলাকার আতিকুল হক বাচ্চু ও ইউপি সদস্য মো: ওমর ফারুকের সাথে অবাধে চলাফেরা নিয়ে তর্কে জড়িয়ে পড়েন এক যুবক। তিনি বলেন, করোনা কোন মহামারী কিংবা ছোয়া ছুয়ি রোগ না। এ কথা বলে তর্কে জড়িয়ে পড়েন, চেয়ারম্যান মাসুদ এলাহী সুবাস তাদের উভয়ের মধ্যে তর্ক থামাতে গেলে যুবক চেয়ারম্যানের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ ও গালমন্দ করেন। এসময় স্থানীয় লোকজন উত্তেজিত হয়ে চেয়াম্যানের সাথে খারাপ আচরন করায় যুবক । কিন্তু পরবর্তীতে ওই যুবক ফেসবুকে বিভিন্ন ভাবে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপ-প্রচার করে আজে বাজে পোষ্ট দেন।
ইউপি সদস্য ওমর ফারুক ও স্থানীয় অধিবাসী আতিকুল হক বাচ্চু বলেন, চেয়ারম্যানকে নাজেহাল করায় স্থানীয় উত্তেজিত এলাকাবাসীর সাথে ওই যুবকের এর হাতাহাতি হয়েছে বলে শুনেছি। কিন্তু পরে দেখি সে চেয়ারম্যানসহ আমাদের বিরুদ্ধে ফেসবুকে উল্টো মিথ্যা অপ-প্রচার চালাচ্ছেন। আমরা বিষয়টি প্রশাসনের মাধ্যমে তদন্তপূর্বক ওই যুবকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই। তা-না হলে তাঁর বিরুদ্ধে তথ্য অধিকার আইনে আইনানুগ ব্যবস্থা নিবো।