|| ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
শাহরাস্তিতে ভাংতি টাকা দেয়াকে কেন্দ্র করে আহত-৪ থানায় অভিযোগ- দৈনিক বাংলার অধিকার
প্রকাশের তারিখঃ ২৫ জুন, ২০২০
সিদ্দিকুর রহমান নয়ন: চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে ভাংতি টাকা দেয়াকে কেন্দ্র করে দোকানদারকে মারধরের ঘটনায় ৪ জন গুরুতর আহত হয়েছে। আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধিন রয়েছে। এব্যাপারে আহত পরিবার থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। গত ২১ জুন সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় উপজেলার মেহার উত্তর ইউনিয়নের পতিচোঁ গ্রামের তিন রাস্তার মোড়ে হোসেনের দোকানের সামনে এই ঘটনাটি ঘটে। জানা যায়, ওইদিন আসরের নামাজের পর একই গ্রামের আলী আহাম্মদ চৌকিদার বাড়ির আবদুল কাদেরের ছেলে আলমগীর হোসেন মোহাম্মদ হোসেনের দোকানে চা নাস্তা করে। এসময় দোকানে হোসেনের ছেলে কাউসার (২০) উপস্থিত ছিলো। নাস্তা শেষে আলমগীর দোকানদারের পাওনা ৩৫ টাকা পরিশোধ করতে একশত টাকার নোট দিলে অবশিষ্ট টাকা খুচরায় ফেরত দেয়াকে কেন্দ্র করে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এতে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। পরে মাগরিবের নামাজ শেষে হোসেনগং আলমগীর গংয়ের উপর হামলা চালায়।
এতে এক নারীসহ ৪ জন আহত হয়। আহতরা হলেন, বিল্লাল হোসেনের স্ত্রী সুফিয়া বেগম (৩৫), আবদুল কাদেরের পুত্র বিল্লাল (৪৫), আজাদ হোসেন (৩০) ও আলমগীর হোসেন (২৩)। এঘটনায় আহতদের ভাই মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে থানা একটি অভিযোগ করেন। এবিষয়ে আলমগীর হোসেন বলেন, আমি তাদের দোকানে প্রতিদিনই চা নাস্তা করি। ঘটনার দিন বিকেলে নাস্তা শেষে কাউসারকে একশত টাকার নোট দিয়ে ৬৫ টাকা ফেরত চাই। তখন সে আমাকে দুই টাকা ও পাঁচ টাকার নোট মিলিয়ে ৬৫ টাকা দেয়। আমি তাকে বলি টাকাগুলো রাখার জায়গা নেই। তুমি ৫০ টাকার নোটটা দিয়ে মিলিয়ে দাও।
তখন কাউসার বলে, আমি দিতে পারবো না। আপনি এটাই নিয়ে যান। এ কথায় তার সাথে আমার কথা কাটাকাটি হয়। উপস্থিত সবাই আমাদের বিরোধ মিটিয়ে দিলে আমি চলে যাই। মাগরিবের নামাজ পড়ে মসজিদ থেকে বাড়ি ফেরার পথে মোঃ আবদুল মান্নানের ছেলে শহিদুল্লাহ (৪৫), মোঃ সোহেল (৩৫) মোঃ হোসেন (৬০) ও মোঃ হোসেনের পুত্র কাউসার হোসেন (২০) আমাদের উপর অতর্কিতে হামলা চালায়। এতে আমরা ঘটনাস্থলে গুরুতর আহত হই। নিজেদের নিরাপত্তা ও সুষ্ঠু বিচারের জন্য আইনের আশ্রয় গ্রহন করেছি। অন্যদিকে অভিযোগের বিবাদী মোঃ হোসেন বলেন, প্রথম ঘটনায় আমি উপস্থিত ছিলাম না। মসজিদ থেকে মাগরিবের নামাজ শেষ করে দোকানের পশ্চিম ব্যাঞ্চের দক্ষিন কোণে বসে আছি। এমন সময় হঠাৎই দু'পক্ষের ডাক-চিৎকার, মারামারি ও দৌঁড়াদৌঁড়ি দেখতে পাই। আবছা অন্ধকারে তাৎক্ষণিক কিছুই বুঝা যায়নি। পরে বুঝলাম পূর্বেকার ঘটনার জের ধরে চলছে মারামারির পরবর্তী ঘটনা। তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় আমাকে জড়ানো হলেও ওই সময়ের হতভম্বতাই আমাকে নিরব করেছে। এমন নেক্কার ঘটনাকে তিনি সমর্থন করেন না বলে জানান। এলাকাবাসী বলেন, মাগরিব শেষে বাড়ি ফেরার পথে কাউকে অতর্কিতে হামলা করা কাপুরুষের কাজ। এমন নেক্কারজনক ঘটনায় অপরাধিদের কঠোর শাস্তি দাবি জানান তারা।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.