|| ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
কেন্দুয়ায় নির্দোষ দাবি করে ধর্ষকের নেতৃত্বে মানববন্ধন !- দৈনিক বাংলার অধিকার
প্রকাশের তারিখঃ ২৫ জুন, ২০২০
স্টাফ রিপোর্টার নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় পাড়াতলী গ্রামের এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে প্রভাবশালী মুকুল খানের ছেলে প্রিন্স খান বাবু’র বিরুদ্ধে একটি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ধর্ষণের অভিযোগের পর থেকে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে রক্ষা পেতে এলাকার একটি কুচক্রী মহলকে নিয়ে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন প্রিন্স খান বাবু। নির্দোষ দাবি করে বুধবার তার নেতৃত্বে কেন্দুয়া শহরে মানববন্ধন করেছেন । ইতিপূর্বে নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় পাড়াতলী গ্রামের এক এসএসসি পরীক্ষার্থী রোজীকে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা না নেওয়ার অভিযোগে কেন্দুয়া থানার ওসির বিরুদ্ধে ওই ছাত্রীর ভাই নেত্রকোনা জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সন্মেলনে অভিযোগ করা হয়, গত ২৯ জানুয়ারি কেন্দুয়া পৌরসভার শান্তিনগর এলাকার সোহরাব মাস্টারের বাড়িতে আমার বোনকে একই উপজেলার ছিলিমপুর গ্রামের প্রভাবশালী মুকুল খানের ছেলে প্রিন্স খান বাবু ধর্ষণ করেন। পরে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ প্রিন্স বাবু আটক ও তার বোনকে থানায় নিয়ে যায়। পরদিন প্রিন্স খান বাবুর বিরুদ্ধে থানায় মামলা করতে যান তিনি। অজ্ঞাত কারণে তাদের থানার একটি কক্ষে ১৪ ঘণ্টা আটকে রাখে পুলিশ। পরে অভিযোগকারী ও ভিকটিমকে তিন দিন আটক রেখে সাদা কাগজে সই নিয়ে ছেড়ে দেন। ওসি মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান উল্টো অভিযোগকারী ও ভিকটিমকে হুমকি দেন। তবে কেন্দুয়া থানার ওসি মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, অনেকদিন আগের ঘটনায় থানায় অভিযোগ করা হয়েছিল। এ ব্যাপারে সার্কেল এএসপি বিষয়টি তদন্ত করেন। অভিযোগ উঠেছে,ধর্ষণকারী প্রিন্স খান বাবু বিষয়টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে এবং নিজেকে আড়াল করতে মানববন্ধনের নামে অবৈধ পস্থা অবলম্বন করেছেন তা অচিরেই বেরিয়ে আসবে। এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, প্রভাবশালী প্রিন্স খান বাবু এলাকার এক চিহ্নিত সন্ত্রাসী হওয়ায় তার বিরুদ্ধে এলাকার কোন লোক কথা বলতে সাহস পায় না। এসএসসি পরীক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযোগ দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত তাকে রহস্যজনক কারণে মামলা আমলে নেয়নি পুলিশ। গ্রেফতার ও মামলা না হওয়ায় ধর্ষণকারী হয়েও বীরদর্পে সাজানো মানববন্ধন ও সমাবেশ করার মত দৃষ্টতাও দেখিয়ে চলেছে ।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.