|| ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
জগন্নাথদেবের রথযাত্রা উপলক্ষে পূজা উদযাপন কমিটির পক্ষ থেকে দেশবাসীকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা – দৈনিক বাংলার অধিকার
প্রকাশের তারিখঃ ২৩ জুন, ২০২০
জগন্নাথদেবের রথযাত্রা উপলক্ষে দৈ
এস ডি স্বপন,
৯ আষাঢ় ১৪২৭, শ্রী শ্রী জগন্নাথদেবের রথযাত্রা উপলক্ষে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ এর সভাপতি শ্রী মিলন কান্তি দত্ত ও সাধারণ সম্পাদক শ্রী নির্মল কুমার চ্যাটার্জি এক বিবৃতিতে দেশবাসীকে আন্তরিক ও প্রীতিময় শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
রথযাত্রা উৎসব বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন উৎসবসমূহের অন্যতম। এটা সার্বজনীন উৎসবও বটে। রাজধানীতে কেন্দ্রীয়ভাবে রথযাত্রা উদযাপিত হলেও দেশের বিভিন্ন স্থানে ঐতিহাসিকভাবেই এই উৎসব উদযাপিত হয়ে আসছে, যা গোটা উপমহাদেশেই খ্যাতি লাভ করেছে। যেমন ঢাকার ধামরাই, সিলেট, মৌলভীবাজার, কুমিল্লা, রাজশাহীর পুটিয়া, ফরিদপুরের ওড়াকান্দি, বাগেরহাটের ফকিরহাটের রথযাত্রা উৎসব ঐতিহাসিক গুরুত্ব বহন করে আসছে। অখন্ড ভারতবর্ষে কুমিল্লায় রথযাত্রা উৎসবের সূচনা করেছিলেন ত্রিপুরার মহারাজা। বর্তমানে সে পর্যায়টি কালের অমোঘ নিয়মেই গৌরব হারিয়েছে। ঢাকায় স্বামীবাগ থেকে ইসকন-এর রথযাত্রা শুরু হয়, জগন্নাথ, সুভদ্রা ও বলরামের রথ দীর্ঘ পথ পরিক্রমার পর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে যাত্রা সমাপ্ত করে। মন্দির মেলাঙ্গণে আনুষ্ঠানিকভাবে রথ বরণ করা হয়। এ সময় ভক্ত সমাগমে তিল ধারণের জায়গা থাকে না। আবার সাতদিন পর উল্টোরথের দিন ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির থেকে জগন্নাথ, সুভদ্রা ও বলরামের রথ ইসকন মন্দিরের দিকে যাত্রা করে। দেশের বিভিন্ন স্থানে রথযাত্রা উপলক্ষে মেলা বসে, যেখানে সব সম্প্রদায়ের মানুষ অংশগ্রহণ করেন। উৎসব এভাবেই সার্বজনীন রূপ নিয়েছে।
বৈশ্বিক মহামারীর পরিবর্তিত সামাজিক পরিস্থিতিতে এবারের রথযাত্রা অনুষ্ঠান সীমিত আকারে করার যে সিদ্ধান্ত হয়েছে তা’ ইতিমধ্যেই গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। শারীরিক দুরত্ব বজায় রেখে মন্দির প্রাঙ্গণের মধ্যেই এবারের রথযাত্রা’র আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করার অনুরোধ করেছেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ এর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.