|| ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
চাঁদপুরের অবৈধ বালু উত্তোলনের হোতা কে এই কাজী মিজান-দৈনিক বাংলার অধিকার
প্রকাশের তারিখঃ ২৩ জুন, ২০২০
মোঃ ইমাম হোসেন,চাঁদপুর ব্যাুরো প্রধান,
চাঁদপুরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে কয়েকশ কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন মতলব উত্তর উপজেলার কথিত আওয়ামী লীগ নেতা কাজী মিজান।
জামায়াত-বিএনপি ক্ষমতা থাকাকালীন সময়ে মিজানের উত্থান।এরপর আর পিছনে তাকাতে হয়নি তাকে। জীবনের শুরুতে ট্রলার, লঞ্চ, স্টিমার থেকে চোরাই তেল পাচার করে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করতো।
অন্যায়, অপরাধ আর ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে কাজী মিজান ৭/৮ বছরের ব্যবধানে হাজার কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েই চালিয়ে যাচ্ছেন তার সকল অপকর্ম।
আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মেঘনায় বালু উত্তোলনের মহোৎসবে মেতে উঠেছে তার বাহিনী।
তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বললেই তার বাহিনী দিয়ে অত্যাচার নির্যাতন চালানো হয়। সেই সাথে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়।
তার জুলুম অত্যাচারে কোনঠাসা স্থানীয় আওয়ামী লীগের ত্যাগি নেতা কর্মীরা। মতলব উত্তরের ষাটনল থেকে জহিরাবাদ ইউনিয়ন পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে তার বালু উত্তোলনের ড্রেজার।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মেঘনা নদী থেকে বালু উত্তোলনের জন্য তার রয়েছে ১৯টি বলগেইট আর ১৫টি ড্রেজার মেশিন। যার এক একটির আনুমানিক মূল্য ১থেকে দেড় কোটি টাকা। অবৈধভাবে বালু উত্তোলনসহ বিভিন্ন ব্যবসার নিয়ন্ত্রনে রয়েছে শক্তিশালী বাহিনী। অনুসন্ধানে জানা যায়, রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় নামে-বেনামে রয়েছে জায়গা জমি ও প্লট ফ্ল্যাট। বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে রয়েছে কোটি-কোটি টাকা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, কাজী মিজান কত টাকার মালিক হতে পারে এটা ধারনা করা অসম্ভব। কেবল দুদকই পারে সঠিক তথ্য বের করতে। সে আরো জানায়, ৭/৮ বছর আগে শুনতাম সে চোরাই তেলের ব্যবসা করে। আর এখন যে তার কত ব্যবসা তার সঠিক হিসাব কারো জানা নাই। অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কাজী মিজান বলেন, বালু উত্তোলনের জন্য আমার কোন ড্রেজার মেশিন নেই। আমি গার্মেন্ট ব্যসার সঙ্গে জড়িত। তার বিরুদ্ধে আনীত অন্যান্য অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেন।
সম্পদের পাহাড় গড়তে কাজী মিজান সব সময় ব্যবহার করেছেন ক্ষমতাসীন দলকে। তবে যখন যে সরকার ক্ষমতায় ছিল তাদের কাজে লাগিয়ে সকল অপকর্ম করতেন। অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় মতলব উত্তর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন ১টি পৌরসভা ও ২৬৫ গ্রাম ও ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীনের আশঙ্কা রয়েছে। এরই মধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে অনেকের বসতভিটা ও ফসলি জমি। বালুদস্যু কাজী মিজানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় তার বাহিনীর অত্যাচার নির্যাতনে এলাকা ছেড়ে অনেক নিরীহ মানুষ। এদিকে মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্প এলাকা থেকে বালু উত্তোলন বন্ধে ভুমি মন্ত্রীকে ডিও লেটার দিয়েছেন চাঁদপুর-২আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট নুরুল আমিন রুহুল। যার অনুলিপি চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার ও চাঁদপুর জেলা প্রশাসককে দেয়া হয়েছে।
তারপরও বালু উত্তোলন বন্ধ হচ্ছেনা বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.