|| ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
মহামারী করোনায় মানুষ নামের অমানুষদের কুৎসিত বিকৃত চরিত্র কেন- দৈনিক বাংলার অধিকার
প্রকাশের তারিখঃ ১৯ জুন, ২০২০
উন্মোচিত / ক্ষমা চাই তুমি মোদের ক্ষমা করো । করোনাকালে মানুষকে দেখা হয়েছে, সন্তান তার মৃত বাবাকে হাসপাতালে রেখে ডেথ সার্টিফিকেট নিয়ে চলে গেছে। নিজ মাতাকে করোনা রুগি ভেবে সন্তানরা বনের মধ্যে ফেলে দিয়েছে। সন্তানের করোনা হওয়ায় বাঁশ বাগানে ফেলে রেখে যায় নিজ পিতা-মাতা। জানাজা দাফনে কেউ আসতে চায়না, পুলিশ সদস্যগন বাধ্য হয়েই নিজেরাই দায়িত্ব নিয়ে দাফন কাফন করছে সাথে কিছু সামাজিক সংগঠন।
এলাকার লোকজন করোনার কারনে এলাকায় ঢুকতে না দেয়ায় একপিতা তার মৃতা কন্যাকে ৫০০০ টাকার বিনিময়ে মাটি দেয়ার জন্য এ্যাম্বুলেন্স ওয়ালাকে দিয়ে দিল হতভাগীর স্থান হয় নদীতে। স্বামী অসুস্থ হওয়ায় বাড়ি থেকে বের করে দিলে, বোনের বাড়িতে গিয়ে মারা যায়। আরেক স্বামী অসুস্থ হওয়ায় বাড়িতে আসলে স্ত্রী সন্তানসহ স্বামীকে একটি ঘরে আটকে রাখলে বেচারা খাবার পানি ছাড়া বিনা চিকিৎসায় অমানবিকভাবে মারা যায়। হাসপাতাল কতৃপক্ষ রুগীর চিকিৎসা অপারগ হওয়ায় রুগীর স্বজন হাসপাতালে ঘুরতে ঘুরতেই জীবন দ্বীপ নিভে যায়, স্বজনদের হাহাকারে আকাশ বাতাস ভারী হয়ে উঠলেও আমরা যারা বেচে থাকা মানুষ তারা নির্বিকার, মনে হয় আমরা কখনই মরবোনা বা আমাদের এমন বিপদ আসবেনা।
এমনকি মানুষ মারা যাওয়ার পরও কেউ কেউ উল্লাসিত হয় বা মৃত ব্যাক্তির কবরে লাঠি জুতা নিয়ে আঘাত করে। এ কেমন নির্মমতা। কয়েকদিন আগে মা যায় ক্যান্মারে মৃত স্বামীর লাশ আনতে আর পশুর দল তার কিশোরী মেয়েকে ধর্ষন করে মেরে ফেলেদেয় আমরা নিজেদের মানুষ বলি, আর মানুষ হলো মহান আল্লাহর শ্রেষ্ট জীব। একবার ভাবুন পরকালে কি জবাব দিবেন। হে মহান ঈশর হয়তো তোমার সকল আদেশ ঠিকমত পালন করতে পারিনি তবুও তোমার কাছে ক্ষমা চাই। একজন সুমহান হিসেবে স্বাভাবিক মৃত্যু দিও এবং বিদায়টা যেন সন্মানের সহিত হয়। মানুষ কে আর কাদিওনা।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.