|| ২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২৩শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
কেন্দুয়া থানায় আসামীকে মারধরের অভিযোগ – দৈনিক বাংলার অধিকার
প্রকাশের তারিখঃ ১৩ জুন, ২০২০
কেন্দুয়া থানায় আসামীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে, পুলিশের দাবি ও উদেশ্য প্রনোদিত মিথ্যা অভিযোগ। নেত্রকোণার কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তার নিরোধে আসামীকে মারধরের অভিযোগ করেন রত্না। গত ৮ জুন নেত্রকোণা পুলিশ সুপার বরাবরে স্বামী গোলাম মোস্তফার পক্ষে রত্না আক্তার এক লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগে উল্লেখ, ৪ জুন আমার স্বামী মোঃ গোলাম মোস্তফা কেন্দুয়ার সাউদপাড়া এলাকায় পূর্ব নির্ধারিত হায়দার আলী ও জুয়েল মিয়ার মধ্যে একটি সালিশ হয় ঐ সালিশে উপস্থিত ছিলেন আমার স্বামী টাকা পয়সার একটি বিষয় নিয়ে ঝামেলা ছিলো,সে সমস্যা সমাধানে যায়, কিন্তু কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাশেদুজ্জামান কিছু পুলিশ নিয়ে এই সালিশে উপস্থিত হন। মাতাব্বর ও আমার স্বামীসহ আরও ৮ জনকে গ্রেপ্তার করে।এ সময় পুলিশ মাতাব্বরদের পাশে কিছু তাস ছিটিয়ে ভিডিও করে থানায় নিয়ে যায় আসামীদের। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাশেদুজ্জামান মোস্তফাকে পৃথক আর একটি কামরায় নিয়ে বেদরক মারধর করে ওসির বিরোধী উপজেলা ভাইস চেয়াম্যান মোফাজ্জলের দায়ের করা একটি মামলার শাক্ষী হওয়ার কারণে।ওসি আমার স্বামীকে ধরে নিয়ে গত ৫জুন জুয়া আইনে মামলা দিয়ে নেত্রকোণা কোর্টে পাঠায়। ঐ দিনেই জামিনে মুক্তি পেয়ে মোস্তফা চিকিৎসার জন্য নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়। মোস্তফার জানায়, ওসি আমাকে খুব বেশী মারধর করেছে। তবে তিনি কোর্ট হাজতে ও বিচারককে কিছু বলেননি মারধরের ব্যাপারে। আসামী মোস্তফাকে মারধরের ব্যাপারে কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাশেদুজ্জান জানান, ২৫ ফেব্রুয়ারী কেন্দুয়া ইপজেলা ভাইসচেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন ভূইয়া থানায় এসে স্থানীয় ও এলাকার ক্ষমতার দাপটে মহিলা রক্ষী ও ডিউটি অফিসারের সাথে খারাপ ব্যাবহার করে এ বিষয়ে থানায় সাধারণ ডায়রী হয়, যা পরবর্তিতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহজাহান তদন্তে সত্যতা পায়। ভাইসচেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন ভূইয়া আমার বিরোদ্বে অভিযোগ করার কারণ, আমি তার ব্যক্তিগত চেম্বারের পিছনে জুয়ার আসর থেকে জুয়ারী ধরে মামলা দিয়েছি আর জুয়ার আসর ভেঙ্গে দিয়েছি এটাই আমার অপরাধ। কেন্দয়া থানায় ১৩ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা রয়েছে আমার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নাই। কেন্দুয়া থানার পুলিশের বিরোদ্বে ,একমাত্র তিনিই অভিযোগ করেছেন। ওসি রাশেদুজ্জামান আরও বলেন, ২০১৯ সনের ২৪ মে আমি কেন্দুয়া থানায় ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করি। তার পর থেকে আমি পুলিশ সুপার স্যারের দিকনির্দেশনায় সন্ত্রাস, চাঁদাবজি, জঙ্গিবাজ, ইভটেজিং, মাদক ও জুয়ার বিরোদ্বে জিরো টলারেন্সে কাজ করে যাচ্ছি। তারই ধারাবাহিকতায় ৪ জুন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জোয়ার আসর থেকে পৌর কাউন্সির, ইউপি মেম্বার সহ ৯ জন জুয়ারীকে কেন্দুয়া থানা পুলিশ আটক করে জুয়া খেলার সরঞ্জাম ৫ বান্ডেল তাস ও তাদের কাছে থাকা ১ লক্ষ ৫৩ হাজার ১শত ৮২ টাকাসহ হাতেনাতে ধরা হয়েছে। পুলিশ যেন তাদের মনোবল হারায় সে জন্য আমার বিরোদ্বে ষরযন্ত্র ভাবে মিথ্যা প্রচারণা করছে। মোস্তফা আমাদেরকে দেখে জুয়ার আসর থেকে পালানোর টেষ্টাকালে হুরাহুরির করে মোস্তফার দুতলা থেকে কাঠের সিড়িদিয়ে নামার সময় পিছলাখেয়ে পড়েগিয়ে পায়ে আঘাত পায় তার চিকিৎসা আমি আমার অফিসারকে দিয়ে কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থকেন্দ্রে করিয়েছি রাতেই। এসময় আরও দুজন জুয়রী পালিয়ে য়ায়, তাদের বিরোদ্বে একাধিক জুয়া সহ অন্যান্য মামলা রয়েছে। নেত্রকোণা কোর্টের জিআরও জাহাঙ্গির বলেন, এটিএসআই তুষার ৪ জুন ৯ জন আসামী আমার কাছে সুস্থ স্বাভাবিক বুঝিয়ে দেয়। আমি তাদের কাউকে অসুস্থ দেখিনি বা আমার কাছে তারা কেউ বলেননি যে আমি অসুস্থ।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.