|| ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২১শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ির সবাইকে মুর্খ বলে কটাক্ষ করলেন সেবা ক্লিনিকের মালিক-কাকলী – দৈনিক বাংলার অধিকার
প্রকাশের তারিখঃ ১০ জুন, ২০২০
মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি: সেকমোকে ডাক্তার বানিয়ে রোগী দেখানোর অপরাধে সম্প্রতি ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা গুনতে হয়েছিলো টঙ্গীবাড়ীতে অবস্থিত সেবা ক্লিনিককে। এবার অভিযোগ সরকারী অফিস সময়ে উপজেলা সরকারি ডিউটিকালীন সময় স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে দিয়ে সিজার করানো হয় সমালোচিত এই ক্লিনিকটিতে। এমনকি কিছুদিন পূর্বে করোনা পজেটিভ হওয়ার পর পুরোপুরি সুস্থ হওয়ার আগেই তাকে দিয়ে সিজার করানো হয়। তবে ডা. তাসলিমা আক্তারের দাবী কোয়ারেন্টাইন যাওয়ার ২দিন আগে ও ১৪দিন শেষ হওয়ার একদিন পর সিজার করেছেন তিনি। আর ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের দাবি কোয়ারেন্টাইন শেষ করার ৩দিন পর সিজারে অংশ নেয় সে। এদিকে অভিযোগ আরো রয়েছে সরকারি ডিউটিকালীন সময়েও স্বাস্থ্য কর্মকর্তা উক্ত ক্লিনিকে সিজার করে থাকেন। জানাগেছে, গত ১৩ই মে করোনা পজেটিভ আসে টঙ্গীবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা তাসলিমা আক্তারের। এরপর ১৪দিন অর্থাৎ ২৭ই মে পর্যন্ত আইসোলেশনে ছিলো এই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা। কিন্তু ১৫তম দিনেই সেবা ক্লিনিকে আরো একটি সিজারে অংশ নেয় সে। ফলে পুরোপুরি সুস্থ হতে না হতেই সিজারে অংশ নেওয়ায় মরণব্যাধি করোনার আংশকাজনক অবস্থায় সিজারে অংশ নেওয়ায় সংক্রমণ ছড়িয়ে পরার আংশকা থেকে যাচ্ছে। ডিউটিকালীন সময় ও করোনা আশংকা অবস্থায় বেসরকারী ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়ার বিষয়ে জানতে চালেই টঙ্গীবাড়ী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা তাসলিমা আক্তার বলেন, এসব বিষয় নিয়েতো অনেক আগেও একবার কথা হয়েছে ,আবার একই জিনিস আপনারা বারবার কেন প্রশ্ন করেন? করোনা আক্রান্ত হয়ে নয় ১৪দিন শেষ হওয়ার একদিনপর সিজারে অংশ নিয়েছি। পরে আপনারা সরাসরি এসে আমার সাথে কথা বলেন বলে ফোন কেটে দেয় তিনি। এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ক্লিনিকটির মালিক পরিচয়দানকারী কাকলী আক্তার সাংবাদিকদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে সিজারের রেজিস্ট্রে খাতা দেখাবে না বলে লুকিয়ে রাখে। সাংবাদিকরা ক্লিনিকে প্রবেশ করতে পারবে না বলে মামলা করার হুমকি প্রদান করেন। কাকলী আক্তার আরো বলেন, আমি এই ক্লিনিকের মালিক, মুর্খ এলাকায় আমরা ক্লিনিক চালাই,টঙ্গীবাড়ির মানুষ হচ্ছে সবাই মূর্খ, এছাড়াও সাংবাদিকরা বিভিন্ন বিষয়ে তথ্য জানতে চাইলে তাদের নানা ভাবে কঠাক্ষ করে কথা বলে লাঞ্ছিত করেন তিনি। একইসময় মালিক পক্ষের আরেকজন ডাক্তার বুলবুল সাংবাদিকদের ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। ডা. বুলবুল বলেন, কাকলী যা বলেছেন তা ঠিকই বলেছে । আপনাদের কোন তথ্য দিবোনা। অনুমতি নিয়ে আসেন । বেশী বারাবারি করলে মামলা দিয়ে দিবো । এ বিষয়ে টঙ্গীবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোসামৎ হাসিনা আক্তার জানান, এর আগে সেকমোকে ডাক্তার বানিয়ে রোগী দেখানো অভিযোগ ক্লিনিকটি ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছিলো। তবে যদি আবারো কোন অনিয়ম পাওয়া যায় তাহলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। ক্লিনিকে স্বাস্থ্য কর্মীর সিজারের বিষয় মুন্সীগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন ডাক্তার আবুল কালাম আজাদের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে ডিউটিকালীন সময় বাইরে কেউ কাজ করতে পারবে না। আপনাদের মাধ্যমে বিষয়টি জানলাম, তবে খোঁজ নিয়ে দ্রুত এবিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.